মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
পেশায় মডেল। বয়স ২৮। ব্যাগে ভরা তার দেহ উদ্ধার হয়েছিল নদী থেকে। তদন্ত এগোতেই বেরিয়ে আসে ভয়ঙ্কর কাহিনি। খুনি ওই যুবতীরই প্রেমিক। খুনের কারণ, সন্দেহ। কিসের সন্দেহ? প্রেমিক চার্লস বায়ের্নের মনে হত, প্রেমিকা ক্রিস্টিনা রো দিনের পর দিন, একের পর এক কিশোরকে ধর্ষণ করেন, যৌন নির্যাতন করেন। কিশোরদের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন ক্রিস্টিনার নেশা। এমনটাই মনে হত চার্লসের।
সন্দেহের পরিণতি, গত ফেব্রুয়ারির এক রাতে সোজা প্রেমিকার বাড়িতে হানা দেওয়া। পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে, এই সন্দেহ একেবারেই ভিত্তিহীন। মানসিক ভাবে অবসাদগ্রস্ত ছিল চার্লস। নিজের মনে প্রেমিকাকে নিয়ে এ সব ভাবত সে। সন্দেহ থেকে ক্রিস্টিনাকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে ফেলার সুযোগ খুঁজতে থাকে চার্লস। হঠাৎ এক দিন মাঝরাতে হাজির হয় ক্রিস্টিনার বাড়িতে। সেই রাতে নিজের হাতে খুন করে প্রেমিকাকে। বাদ পড়েনি ক্রিস্টিনার পরিবারের এক সদস্যও। পরে দোষী সাব্যস্ত হয় চার্লস।
ক্রিস্টিনার সঙ্গে থাকত তার একমাত্র নাবালিকা মেয়ে। ঘটনাক্রমে চার্লসকে খুন করতে দেখে ফেলে মেয়েটি। তখনই বাচ্চাটিকে খুন করার ছক কষে সে। নৃশংস ভাবে বাচ্চাটির গলা টিপে বারবার মেঝের উপর মাথা ঠুকতে থাকে। মেয়েটি শেষে অজ্ঞান হয়ে পড়ার পর চার্লস নিহত প্রেমিকার দেহ ব্যাগের ভিতর ভরে দেয়। পরে ব্যাগের ওজন ভারী করতে মৃতদেহের উপর ইট চাপিয়ে দেয়। প্রেমিকার দেহ হাপিশ করতে চার্লস তার মায়ের গাড়িতে ওরসেসটারের ডিগলিস ব্রিজে যায় এবং ব্রিজের উপর থেকে ব্যাগটি সেভের্ন নদীর জলে ফেলে দেয়।
ক্রিস্টিনার বন্ধু জর্জ জানান, “ক্রিস্টিনা ওর মেয়েকে নিয়ে আমার বাড়িতে এসেছিল। পরে জানতে পারি, সে দিন মাঝরাতেই চার্লস ওর বাড়িতে যায়।”বাচ্চা মেয়েটি এখন গুরুতর আহত। অভিযুক্তকে আপাতত মানসিক হাসপাতালে রাখা হয়েছে, পরে তাকে হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হবে। খুনের অভিযোগে চার্লসকে ষোলো বছরের জন্য শাস্তি দেওয়া হয়েছে। মনোবিদদের মতে, মানসিক স্থিতি ঠিক না থাকার কারণে এমন নৃশংস ভাবে খুন করার পরিকল্পনা মাথায় আসে চার্লসের।
এর আগেও ক্রিস্টিনার সঙ্গে নানা কারণে অশান্তি করত চার্লস। ক্রিস্টিনার পরিবারের সদস্যরা এবং বন্ধুবান্ধবেরা বারবার তাকে এই সম্পর্ক ছেড়ে বেরিয়ে আসার কথা বলতেন। হাজার অশান্তির পরও ক্রিস্টিনা এই সম্পর্ক ছেড়ে পুরোপুরি বেরিয়ে আসতে পারেননি। প্রেমিকের মানসিক অসুস্থতার কারণেই প্রাণ হারালেন ক্রিস্টিনা। সূত্র: টাইমস নাউ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।