নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বিশ্বের সেরা ব্যাটসম্যান, কোহলি-রোহিত বা স্মিথ-উইলিয়ামসন-রুটের চেয়েও ভালো, তিন ফরম্যাটের সেরা ব্যাটসম্যান-ক্যারিয়ারে এমন অনেক কথাই তো শুনেছেন বাবর আজম। কিন্তু তার শ্রেষ্ঠত্বের পরিমাপ করতে গিয়ে মাপকাঠি হিসেবে কোহলি, স্মিথ, রুট, উইলিয়ামসনদের দিয়ে যেন ঠিক মন ভরেনি রশিদ লতিফের। পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক সরাসরি আলোচনায় আনলেন স্যার ডন ব্র্যাডম্যান ও ব্রায়ান লারাকে। বাবরকে সরাসরি এ যুগের ডন ব্র্যাডম্যান আর ব্রায়ান লারা আখ্যা দিয়েছেন দেশটির সাবেক এই উইকেটকিপার।
২০১৯ সালেই বাবর আজমকে পাকিস্তানের ইতিহাসের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান হিসেবে আখ্যা দিয়েছিলেন রশিদ লতিফ। কিন্তু তিন বছর পর বাবর ব্যাটসম্যান হিসেবে আরও নতুন উচ্চতায় উঠেছেন বলে দাবি সাবেক এই উইকেটকিপারের। গতকাল নিজের ইউটিউব চ্যানেলে বাবরকে প্রশংসায় ভাসাতে গিয়ে রশিদ লতিফ বলেন, ‘আমি এই টুইটটা ২০১৯ সালে করেছিলাম। একবার আমরা ইংল্যান্ড সফরে গিয়েছিলাম, সেখানে এক জায়গায় আমি সব খেলোয়াড়দের নাম লিখেছি, যাদের সঙ্গে আমি খেলেছি। মিয়াঁদাদ, ওয়াসিম, ওয়াকার, আনোয়ার, ইনজামাম, ইউসুফ, ইউনুস, সাকলায়েন- কিন্তু বাবর সবার চেয়ে এগিয়ে। আমি কিন্তু আরও অনেক আগের কথা বলছি। এখনকার কথা চিন্তা করলে ও আরও অনেক বড় খেলোয়াড় হয়ে গিয়েছে।’
তবে বিভিন্ন যুগের ক্রিকেটারদের মধ্যে সরাসরি তুলনা করতে রাজি হননি রশিদ, ‘এখন ত্রিশ গজ বৃত্তের মধ্যে পাঁচজন ফিল্ডার থাকে, আগে থাকত চারজন। আনোয়ার ইনজামামদের সময় বৃত্তের বাইরে এখনকার মতো একজন ফিল্ডার কম থাকলে ওরা বোলারদের আস্ত খেয়ে ফেলত। ওরা ওই যুগের সেরা ব্যাটসম্যান ছিল। বাবর এই যুগের ব্র্যাডম্যান-লারা। আমি শুধু এটাই বলতে চাইব।’ বাবরকে এ যুগের ব্র্যাডম্যান-লারা বললেও রশিদের চোখে পাকিস্তানের ইতিহাসে বাবরের চেয়ে ভালো ব্যাটসম্যান আছে, ‘আমি সাঈদ আনোয়ারের কথা বলব। ওর মতো ব্যাটসম্যানই হয় না। কোনো সন্দেহ ছাড়াই পাকিস্তান ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ ব্যাটসম্যান। আমি সাঈদ আনোয়ারকে কাছ থেকে দেখেছি, বিশ্বাস করুন, ও আসলেই দুর্দান্ত একজন খেলোয়াড়। ও অনেক অল্প অনুশীলন করত। তাই দুই যুগের খেলোয়াড়দের মধ্যে তুলনা করাটা ঠিক হবে না।’
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সদ্য শেষ হওয়া সিরিজে তিন সংস্করণেই রান করেছেন বাবর। টেস্ট সিরিজে ৩৯০ রান করেছেন। এর মধ্যে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ১৯৬ রান করে ড্র মানতে বাধ্য করেছেন অস্ট্রেলিয়াকে। এরপর মার্চে হওয়া দুই ওয়ানডেতে করেছেন ১৭১ রান। তার রানফোয়ারাই পাকিস্তানকে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২০ বছর পর ওয়ানডে সিরিজ জয়ের স্বাদ এনে দিয়েছে। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে তার ১১৪ রানের ইনিংসেই ৩৪৯ রানের লক্ষ্য ছুঁয়েছে পাকিস্তান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।