Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ডিজিটাল সেবায় কতদূর এগুলো দেশ?

অজয় কান্তি মন্ডল | প্রকাশের সময় : ১১ এপ্রিল, ২০২২, ১২:০৩ এএম

দেশকে ডিজিটাল করার লক্ষ্যে সরকার বদ্ধপরিকর। সেই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে দাপ্তরিক প্রায় সকল কাজ অনলাইননির্ভর করার জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু এ সকল সেবার প্রতিটির মান নিয়ে আছে জনগণের সীমাহীন অভিযোগ। দুর্ভাগ্য হলেও সত্য, দেশের মোট জনসংখ্যার আজও পর্যন্ত কোনো সঠিক ও নির্ভরযোগ্য ডাটাবেজ নেই। যেটা হওয়া উচিৎ ছিল ডিজিটাল দেশ গড়ার প্রধান এবং প্রথম নিয়ামক। ভবিষ্যতে এই ডাটাবেজ করার কোনো পরিকল্পনা সরকারের আছে কিনা তাও কেউ জানে না।

একসময় ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে দেশের সকল নাগরিকের জন্য করা হয়েছিল জাতীয় পরিচয়পত্র। এই পরিচয়পত্র নিয়ে অভিযোগের শেষ নেই। অভিযোগ থাকাটাই স্বাভাবিক। নাগরিকদের নাম, মাতা-পিতার/স্বামীর নাম, স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা এবং জন্মতারিখের সমন্বয়ে ছাপা হয়েছিল এই পরিচয়পত্র। কিন্তু সামান্য এই কয়েকটা তথ্যের ভিতরে কারও কারও একের অধিক ভুল ছিল। এছাড়া পরিচয়পত্রে যে ছবি সংযোজিত হয়েছিল সেটার সাথে আসল চেহারা মেলাতে গিয়ে অনেকেই আঁতকে উঠে। নিম্নমানের ওয়েব ক্যামেরায় অদক্ষ কারিগরের দ্বারা তাৎক্ষণিকভাবে তোলা এসব ছবি অতি নিম্ন মানের। তাই পরিচয়পত্র হাতে পাওয়ার পর নাগরিকরা নিজেদের ছবির সাথে পরিচয়পত্রের ছবির মিল খুঁজে পায়নি। এছাড়া যে সমস্ত ব্যক্তি প্রান্তিক পর্যায়ে গিয়ে নাগরিকদের থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছিল তাদের অদক্ষতার জন্য পরিচয়পত্রে যে মাত্রারিক্ত ভুল-ত্রুটি হয়েছিল সেটার মাশুল এখনো অনেকে বয়ে বেড়াচ্ছে। ঢালাওভাবে শিক্ষিত, অশিক্ষিত, নবীন, প্রবীণ, চাকরিজীবী, বেকার সকলের পরিচয়পত্র ভুলে-ভরা। এদের মধ্যে শিক্ষিত অনেকেই এই ভুল ধরতে পেরে তাৎক্ষণিকভাবে সংশোধনের চেষ্টা করেছে। নিরক্ষর বা যারা লিখতে-পড়তে জানে না তাদের পরিচয়পত্র হাতে পাওয়ার পর তা ভুল না সঠিক সেটা নিয়ে অত বেশি মাথাব্যথা ছিল না। কিন্তু ঝামেলাটা বেঁধেছে পরক্ষণে যখন পরিচয়পত্র নির্ভর কোনো সরকারি সেবা নিতে হয়েছে। তাই বাধ্য হয়ে এরপর সবাই ছুটছে পরিচয়পত্র সংশোধনের পেছনে।

দেশের প্রেক্ষাপটে এই ভুলের সংশোধন বেশ হয়রানিমূলক একটি কাজ। তথ্যে ভুল হতেই পারে। তাই বলে এই ভুল শুধরানোর জন্য পরবর্তী স্টেপগুলো এত বেশি ঝামেলা ও দীর্ঘসূত্রিতাপূর্ণ যেটা একেবারেই সমীচীন নয়। পরিচয়পত্র সংশোধনের জন্য আবেদনকারীকে অনালাইনে আবেদন করার পরে অনেক দীর্ঘ পথ অতিক্রম করতে হয়। এসব সেমি-অনলাইন সেবা পেতে একদিকে যেমন দীর্ঘসূত্রিতা, অন্যদিকে এক টেবিল থেকে অন্য টেবিলে ফাইল নড়াতে ঘুষখোরদের দৌরাত্ম্যের মাত্রা চরমে পৌঁছে যায়। পরিচয়পত্র বানানোর আগে তো এসব নাগরিকের তথ্যে, নিজের নাম, পিতা বা স্বামীর নাম, জন্ম তারিখ সঠিক কিনা সেটা তাদের দেখিয়ে প্রুফ করিয়ে নেওয়া হয়নি। তাহলে কেন কর্তৃপক্ষের এসব অনাকাক্সিক্ষত ভুলের জন্য ভুক্তভোগীরা মাশুল গুনবে, সেটা প্রশ্ন থেকে যায়। এসব কৃর্তিকলাপে দেশ কতটা ডিজিটাল সেবার দ্বারপ্রান্তে তা সহজেই অনুধাবন করা যায়।

সরকারের সিদ্ধান্ত বাস্তনায়নে নাগরিকদের জন্মসনদও একইভাবে অনলাইনে ডিজিটাল করা হয়েছে। এই কাজটি করতে মানুষকে ছুটতে হয় উপজেলা পর্যায়ে নির্মিত ডিজিটাল সেন্টারগুলোতে। এসব ডিজটাল সেন্টারগুলোতেও সেবার নামে মানুষ হয়রানির শিকার হয়। দেশের একজন নাগরিকের ডিজিটাল জন্মসনদ নিতে গেলে সরকার নির্ধারণ করে দিয়েছে ৫০ টাকা ফিস দিতে হবে। দেশের কয়জন নাগরিক এই ৫০ টাকার বিনিময়ে জন্মসনদ পেয়ে থাকে সেটাও সরকারের খোঁজ নেওয়া উচিত। একবার জন্মনিবন্ধন হয়ে যাওয়ার পরে গ্রাহক তার প্রয়োজন অনুযায়ী যতবার ইচ্ছা নির্ধারিত ৫০ টাকা চার্জ পরিশোধ সাপেক্ষে এই জন্মসনদ নেওয়ার অধিকার রাখে। কিন্তু পরিস্থিতি কতটা গ্রাহকবান্ধব সেটা যারা এই ডিজিটাল সনদের পেছনে ঘুরেছে তারাই ভালো বলতে পারবে। এসব সেবাপদ্ধতি গ্রাহকের হয়ারানি হাজার গুণে বাড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি গ্রাহকের থেকে অবৈধ উপায়ে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার সুযোগ বলে মনে হয়।

জন্মসনদের মতো ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে গেলেও একজনকে অনেক বেশি হয়রানি হতে হয়। এসব সেবা প্রতিষ্ঠানে টাকা ছাড়া কোনো কাগজ নড়ে না। বৈধ লাইসেন্স পেতে গিয়েও নিয়মের এত কড়াকড়ি দেখে মনে হয়, দেশ পূর্ণ নিয়মের যাঁতাকলে ঢুকে গেছে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, অবৈধ উপায়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স নেওয়া গ্রাহকের সংখ্যা বৈধ লাইসেন্সধারীদের চেয়ে বেশি। সরকারি এসব অফিসে গিয়ে সেবা পেতে কতটা হয়রানি পোহাতে হয় তা শুধুমাত্র ভুক্তভোগীরাই জানে। সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে মনে হয়, এ যেন প্রকাশ্যে ঘুষ লেনদেনের এক অবাধ প্রথা।

এরপর আসি অনলাইনে টিকিট ক্রয়ের বিড়ম্বনা নিয়ে। অনলাইনে টিকিট কাটতে গিয়ে গ্রাহককে অনেক বেশি বাড়তি চার্জ দিতে হয়। এই চার্জের পরিমাণ এতটা বেশি যেটা কল্পনাতীত। এ বিষয়ে প্রথমে রেলের টিকিটের দিকে খেয়াল করলে দেখা যায়, বাংলাদেশ রেলওয়েতে ২০ টাকার একটি টিকিট কাটতে গিয়েও ২০ টাকা সার্ভিস চার্জ দেওয়া লাগে। একজন যাত্রী যদি তার পরিবারের সদস্যদের একবার ট্রানজেকশনে ৪টি টিকিট একসাথে কেনে তাহলে তাকে সর্বমোট ৮০ টাকা সার্ভিস চার্জ দিতে হয়। কথা হলো, গ্রাহক যদি একবার ট্রানজেকশন করে তাহলে কেন তিনি ৪ বারের চার্জ দেবেন? এক্ষেত্রে একবার ট্রানজেকশান হচ্ছে তাই একবারের সমপরিমাণ চার্জ কাটা বাঞ্ছনীয়। আবার এই বাড়তি চার্জ অনলাইন টিকিটের গায়ে বা মূল টিকিটে দেখানো হয় না। অর্থাৎ এটাও এক একধরনের গ্রাহক-প্রতারণা। টিকিট রিফান্ডের ক্ষেত্রেও যাত্রীদের নামে মাত্র একটা টাকা ফেরত দেওয়া হয়। কিন্তু অনলাইন সেবায় এটা হওয়া উচিত ছিল যেটা যাত্রী ব্যয় করেছে, ঠিক তার সমপরিমাণ টাকা ফেরত দেওয়া। বাইরের দেশগুলোতে এই নিয়ম বহাল আছে। সেখানে অনলাইনে টিকিট করলে টিকিটের মূল্যের সমপরিমাণ মূল্য নেওয়া হয়। বরং বেশিরভাগ ক্ষত্রে, বিভিন্ন অফারের আওতায় অনলাইনে ক্রয়কৃত টিকিটের মূল্য প্রকৃত মূল্যের চেয়ে কম পড়ে। আর আমাদের দেশের প্রেক্ষাপট উল্টো। প্রতিবছর এইভাবে যাত্রীদের কোটি কোটি টাকা লোপাট করা হচ্ছে। রেলওয়ের এই বিষয়গুলো অবশ্যই কর্তৃপক্ষের গুরুত্বের সাথে দেখা এবং সমস্যা সমাধানে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। বাসের টিকিটের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা। যেখানে গ্রাহকের নিকট থেকে মাত্রারিক্ত সার্ভিস চার্জ কেটে রাখা হয়।

১৫০ কোটি জনসংখ্যার দেশ চীন। যার সকল কিছু অনলাইন নির্ভর। প্রতিটি চীনা নাগরিকের ডিজিটাল পরিচিত নাম্বার আছে। যেটার সাথে তাদের সকল কিছু কানেক্টেড। চীনাদের সেবা পেতে বিভিন্ন দপ্তরের দ্বারে দ্বারে ঘোরা লাগে না। কাউকে টাকার লোভ দেখানো লাগে না। হয়রানি হওয়ার বিন্দুমাত্র অভিযোগ কারও কাছ থেকে পাওয়া যায় না। সবকিছু অনলাইন নির্ভর হওয়ায় একেবারে মুহূর্তের মধ্যে যাবতীয় সেবা নির্ভেজালভাবে পাওয়া যায়। গ্রাহকরা বিভিন্ন দপ্তরের চাহিদা মোতাবেক প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট সাপ্লাই দিতে পারলেই মুহূর্তের মধ্যে তার কাক্সিক্ষত সেবা পেয়ে থাকে।

চীনাদের আলিপে এবং উইচ্যাট অ্যাপস দুইটির কথা আলাদাভাবে একটু না বললে অপূর্ণ থেকে যায়। এমন কোনো সেবা নেই, যেগুলো এই অ্যাপস দুইটির মাধ্যমে পাওয়া যায় না। যাবতীয় কেনাকাটা, যেকোন পরিবহনের টিকিট বুকিং, হোটেল বুকিং, নির্দিষ্ট ফিস দিয়ে সেগুলো কনফার্ম করা, বাস, ট্যাক্সি, মেট্রোর ভাড়া মিটানো, অডিও ও ভিডিও কলে কথা বলা, সামাজিক যোগাযোগের নিরবিচ্ছিন্ন ও নির্ভরযোগ্য এক মাধ্যম এই অ্যাপস দুইটি। কোনো রকম বাড়তি চার্জ ছাড়াই লক্ষ লক্ষ টাকা একজনের থেকে অন্য জনের কাছে সেকেন্ডের ভিতর পাঠানো যাচ্ছে। অ্যাপস দুইটিতে নিজস্ব একাউন্টে টাকা জমা রাখা যায় এবং সরাসরি ব্যাংক একাউন্টের সাথে লিংক থাকায় যেকোন সময় চাহিদা মোতাবেক লেনদেন করা যায়। সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, এখানে অনলাইনে টাকা পে করলে বাড়তি কিছু সুবিধা পাওয়া যায়। যেমন সুপার শপগুলোতে কিছু কুপন পাওয়া যায়, টাকা ভাংতি নিয়ে কোনো সমস্যায় পড়া লাগে না, পুরানো বা ছেড়া টাকা নিয়ে দোকানদারের সাথে বাকবিতণ্ডায় জড়ানো লাগে না, নকল টাকার লেনদেনের কোনো ভয় থাকে না, সারাক্ষণ টাকা সাথে নিয়ে ঘোরা লাগে না, ছিনতাইয়ের কোনো ভয় নেই। এছাড়া অ্যাপস দুইটি এতটাই নিরাপদ যে, আজ পর্যন্ত কারও থেকে শোনা যায়নি যে, কেউ কোনো রকম প্রতারণা বা হয়রানির শিকার হয়েছে। মোবাইল ফোন কাছে থাকা মানে তার হাতের মুঠোয় পুরো ব্যাংক। যে ব্যাংকের যাবতীয় লেনদেন বাড়তি কোনো অতিরিক্ত চার্জ ছাড়াই করা যায়।

আমাদের দেশের দিকে খেয়াল করলে বাস্তব পরিস্থিতি উপলব্ধি করা যায়। চীনাদের যেখানে ১৫০ কোটি জনগণের ২টি অ্যাপস দিয়ে দিব্বি চলে যাচ্ছে, সেখানে আমাদের ১৮ কোটি জনগণের দেশে বহু অ্যাপস আছে, যেগুলোর কোনটাই নিরাপদ নয়। প্রতারক চক্রের জাল সর্বখানে বিছানো। ক্যাশ ইন আর ক্যাশ আউট নামের দুই উদ্ভট নিয়ম আছে এসব অ্যাপসে। যেখানে গ্রাহককের লেনদেনের ২-৩% কোম্পানিগুলোকে দেওয়া লাগে। যদি সবখানে অ্যাপসগুলো ব্যবহার করে গ্রাহকের লেনদেনের সুযোগ থাকে তাহলে এই ক্যাশ আউট বা ক্যাশ ইনের মতো ঝামেলা থেকে অচিরেই মুক্তি মিলবে। মোবাইল ব্যাংকিং নামে যে সেবা চালু আছে সেখানেও একই অবস্থা। লেনদেনের সময় সর্বদায় গ্রাহকের থেকে বাড়তি চার্জ নেওয়ার নিয়ম বহাল আছে।

আমাদের দেশে ডিজিটাল সেবার নামে বর্তমানে যে সব সুবিধাদি বিদ্যমান আছে সেগুলোর কোনটাই আদৌ ডিজিটাল কিনা সে বিষয়ে সন্দেহ জাগে। যেকোন দেশকে ডিজিটালের আওতায় আনার পূর্বশর্ত, মানুষের হাতের দোর গোড়ায় ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দেওয়া। জনগণের নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সংযোগের নিশ্চয়তা দেওয়া। ইন্টারনেট ডাটার মান সাশ্রয়ী করা ও সকলের সামর্থ্য ও ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে এনে ব্যবহার-উপযোগী করা। মোবাইল কোম্পানিগুলোর নেটওয়ার্কের সেবার মান উন্নত করা, যাতে দেশের একজন প্রান্তিক পর্যায়ের নাগরিকও তার সামর্থ্যের মধ্যে সার্বক্ষণিক মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহার করার সুযোগ পায়। যেসকল দপ্তর ও অফিস আদলতের সেবা অনলাইনের আওতায় আনা হচ্ছে বা অদূর ভবিষ্যতে অনলাইনের আওতায় আনার পরিকল্পনা আছে, সেগুলো দ্রুত পরিপূর্ণ অনলাইনে রূপান্তর করা। যেখানে একজন গ্রাহক সেবা গ্রহণ করার পরে তার সার্বিক সেবার মান নিয়ে মন্তব্য করার অপশন থাকবে। যেখানে তিনি নির্ভয়ে প্রাপ্ত সেবা নিয়ে অভিযোগ বা সন্তুষ্টি প্রকাশ করতে পারবেন এবং সংশ্লিষ্ট বিভাগের যথাযথ কর্তৃপক্ষ গ্রাহকের সেবার মানের বিপরীতে মন্তব্য দেখে সেগুলোকে আরও বেশি গ্রাহকবান্ধব করার জন্য সময়ে সময়ে পদক্ষেপ নেবে।

ডিজিটাল সকল সেবার মধ্যে যেমন আছে স্বচ্ছতা, জবাবদিহি, কম খরচে গ্রাহকের দ্রুত সেবা পাওয়ার নিশ্চয়তা, ঠিক তেমনি টেকসই অর্থনীতি ও দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন উপহার দিতে ডিজিটাল সেবা যুগোপযোগী এক মাধ্যম। ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে সরকারের গঠিত বিভিন্ন উদ্যোগ যেমন প্রশংসার দাবি রাখে, সেই সঙ্গে সমালোচনার মাধ্যমে পলিসি গ্যাপগুলোকেও অনুধাবন করা জরুরি। শুধু উদ্যোগ নিয়ে বেহিসাবি টাকা বরাদ্দ না করে সেই টাকার সঠিক ব্যবহার ও সেবার মানের সাথে জনগণের সন্তুষ্টি যাচাই করা দরকার। মনে রাখা জরুরি, করোনাপরবর্তী বিশ্বে টিকে থাকার জন্য যেমন প্রযুক্তিগত দিক থেকে দক্ষ হতে হবে, ঠিক তেমনি উন্নয়নের বিভিন্ন ইন্ডিকেটরের সঙ্গে যুক্ত করতে হবে টেকনোলজিকেও।

লেখক: গবেষক, ফুজিয়ান এগ্রিকালচার এন্ড ফরেস্ট্রি ইউনিভার্সিটি, ফুজো, ফুজিয়ান, চীন।
[email protected]



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ডিজিটাল সেবা
আরও পড়ুন