Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ০২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৭ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

কাল ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন, তীব্র লড়াইয়ের আভাস মাখোঁ ও লা পেনের

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৯ এপ্রিল, ২০২২, ১১:১৬ পিএম

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটারদের অনুপস্থিতি ও ভোট বর্জনের আশঙ্কার মধ্যেই দেশটিতে আগামীকাল রবিবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রথম ধাপে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ২৪ এপ্রিল । সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হওয়ার জন্য প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁর সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে ডানপন্থী নেতা ম্যারিন লা পেনের। -এএফপি, বিবিসি

নির্বাচনের আগের দিন আজ সব রকমের রাজনৈতিক কর্মসূচি বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ইউক্রেনের যুদ্ধ এবারের নির্বাচনী প্রচারণায় বড় জায়গা দখল করে নিয়েছে। তবে ভোটারদের কাছে প্রধান ইস্যু জীবন নির্বাহের খরচ বেড়ে যাওয়া বলে জানিয়েছে বিবিসি। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার নির্বাচনী জরিপে বলা হয়েছে, প্রথম ধাপে মাখোঁ লা পেনের চেয়ে সামান্য এগিয়ে রয়েছেন। কিন্তু বিশ্লেষকেরা মনে করেছেন, ভোটদানের ওপর সৃষ্ট অনিশ্চয়তা নির্বাচনের ফলাফলকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করবে। অনেক নির্বাচনী পর্যবেক্ষকের আশঙ্কা, এবার রেকর্ডসংখ্যক ভোটার ভোট বর্জন করতে পারেন। তাঁদের ধারণা, ভোটারদের এক–চতুর্থাংশ ভোটদানে বিরত থাকবেন। বামপন্থী প্রার্থী জ্যঁ-লুক মেলেশঁ নির্বাচনী দৌড়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন। তিনি অতিবামপন্থী রাজনৈতিক দল ফ্রান্স আনবাউড থেকে লড়ছেন। চমক দেখাতে পারেন এই বামপন্থী নেতাও। ধারণা করা হচ্ছে, লা পেন ও মাখোঁকে টপকে যেতে পারেন মেলেশঁ। যদিও মেলেশঁর বিরোধীরা তাঁকে সমাজকে বিভক্ত করার জন্য একজন চরমপন্থী হিসেবে অভিযুক্ত করে থাকেন। নির্বাচনী প্রচারের সময় লা পেন দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে ভোটারদের উদ্বেগকে কাজে লাগাতে সফল হয়েছেন। এ সময় তিনি নিজেকে মধ্যপন্থী হিসেবে প্রচার করেন।

অন্যদিকে মাখোঁ তুলনামূলক কম প্রচারণা চালিয়েছেন। মাখোঁ বলছেন, ইউক্রেনের যুদ্ধের কারণে তিনি যেভাবে চেয়েছিলেন, সেভাবে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিতে পারেননি। অনেক পরে তিনি নির্বাচনী প্রচার শুরু করেছেন। বিশ্লেষকেরা ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন, জরিপ অনুযায়ী মাখোঁ এবং লা পেন নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে পৌঁছালে তাঁদের লড়াই ২০১৭ সালের তুলনায় অনেক বেশি কঠিন হবে। ওই নির্বাচনে মাখোঁ ৬৬ শতাংশ ভোট পেয়ে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বীকে পরাজিত করেছিলেন। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পদ্ধতির বিষয়ে বিবিসি বলছে, যদি কোনো একজন প্রার্থী প্রথম দফার নির্বাচনে ৫০ শতাংশের বেশি ভোট না পান, তাহলে যে দুজন প্রার্থী সবচেয়ে বেশি ভোট পাবেন, তাঁরা পরবর্তী ধাপে অর্থাৎ দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে অংশ নেবেন।

প্রথম দফার ভোট গ্রহণে একটি অনিশ্চয়তার কথা তুলে ধরে ফরাসি রাজনৈতিক বিশ্লেষক প্যাসকেল পেরিনিউ বলেন, ভোটারদের একটি বড় অংশ এখনো সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছে। অনেকে আবার নির্বাচনী প্রচারণার সময় তাঁদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছেন। সেই সঙ্গে অনুপস্থিত ভোটাররাও প্রথম দফার ভোটে প্রভাব ফেলবেন। বিশ্লেষকেরা আশঙ্কা করছেন, ২০০২ সালের রেকর্ড ২৮ দশমিক ৪ শতাংশের প্রথম দফার ভোট বর্জনকারীর হার এবং ২০১৭ সালের অনুপস্থিতির হারকেও (প্রায় ২২ দশমিক ২ শতাংশ) এবার ছাড়িয়ে যেতে পারে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ফ্রান্স


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ