Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

হত্যাকাণ্ড উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে

| প্রকাশের সময় : ১০ এপ্রিল, ২০২২, ১২:০৫ এএম

গত কয়েকদিনে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে খুন-খারাবি, ছিনতাই, রাহাজানিসহ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রকাশ্যে গুলি করে কিংবা কুপিয়ে হত্যাসহ নানা অপরাধমূলক ঘটনা ঘটছে। এসব হত্যাকাণ্ড অত্যন্ত মর্মান্তিক ও হৃদয়বিদারক। হত্যাকারিরা এতটাই বেপরোয়া ও নিষ্ঠুর যে অবলীলায় তা করে ফেলছে। গতকাল একটি দৈনিকের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার কক্সবাজার সদর উপজেলার পিএমখালী ইউনিয়নের বলী খেলোয়াড় মোরশেদকে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করে। মোরশেদ ইফতার কিনতে বাজারে গেলে সেখানে তাকে হত্যাকারিরা ঘিরে ধরে পেটাতে ও কোপাতে থাকে। রোজাদার মোরশেদ ‘আমি রোজাদার, প্লিজ তোমাদের পায়ে পড়ি, আমাকে ইফতার পর্যন্ত প্রাণভিক্ষা দাও’-এমন আকুতি করেও সময়টুকু পায়নি। হত্যাকারিরা তাকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে চলে যায়। যশোরে চায়ের দোকানে বাগবিতণ্ডার জেরে অপমানের প্রতিবাদ করতে গিয়ে দুই ভাইকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ফরিদপুরে আধিপত্য বিস্তার করতে গিয়ে দুই যুবককে হত্যা করা হয়। এর আগে গত মাসে রাজধানীতে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয় আওয়ামী লীগের এক নেতাকে। একই সাথে এলোপাথাড়ি গুলিতে এক কলেজ ছাত্রী নিহত হয়। আওয়ামী লীগের আভ্যন্তরীণ প্রভাব বিস্তার কারাকে কেন্দ্র করে এ খুনের ঘটনা ঘটে। দেখা যাচ্ছে, সাম্প্রতিক সময়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি ঘটেছে।

দেখা যাচ্ছে, খুন, সন্ত্রাসের বেশিরভাগের সাথে ক্ষমতাসীন দলের লোকজনের কোনো না কোনো সম্পৃক্ততা থাকে। আধিপত্য বিস্তার, আভ্যন্তরীণ কোন্দল ও প্রভাব-প্রতিপত্তি প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে দ্বন্দ্ব সংঘাতে তারা জড়িয়ে পড়ছে। এর জেরে প্রতিপক্ষকে খুন করতে দ্বিধা করছে না। এমনকি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের নিপীড়ন-নির্যাতনের ঘটনা ঘটে চলেছে। বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা ও তৎসংলগ্ন অন্যান্য এলাকায় চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে তাদের জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। বিগত এক যুগের অধিক সময় ধরে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় থাকার কারণে দেশের সর্বত্র দলের নেতা-কর্মীদের একচ্ছত্র আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই আধিপত্যের মধ্যেই নিজেদের আভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে অনেকে খুনের শিকার হচ্ছে। ক্ষমতা ও প্রভাবপ্রতিপত্তির কারণে অপরাধ করেও অনেকে পার পেয়ে যাচ্ছে। এই একচ্ছত্র আধিপত্যের কারণে সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষও ত্রস্ত অবস্থায় দিনাতিপাত করছে। মাঝে বেশ কিছুদিন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও এখন পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। যদিও পুলিশের পক্ষ থেকে বরবরের মতোই বলা হচ্ছে, পরিস্থিতি তার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তাদের এ কথায় আস্থা রাখা যেত যদি একের পর এক সংঘটিত হত্যা, সন্ত্রাস, রাহাজানির রাস টেনে ধরা যেত। এ ক্ষেত্রে ব্যত্যয় ঘটাতেই রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে হত্যাকাণ্ড ও সন্ত্রাস বেড়ে গেছে। এই প্রেক্ষিতে, সামনের দিনগুলোতে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির আরো অবনমন ঘটার শঙ্কা উড়িয়ে দেয়া যায় না।

বিভিন্ন খুন ও সন্ত্রাসের সাথে ক্ষমতাসীন দলের লোকজনের সম্পৃক্ততা থাকায় অনেক সময় তারা পার পেয়ে যায়। এতে তারা আরও আস্কারা পেয়ে যায়। ক্ষমতাসীন দলের হওয়ায় পুলিশও তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পারে না। এ পরিস্থিতির কথা সাধারণ মানুষেরও অজানা নয়। ফলে তারাও ভীত-সন্ত্রস্ত অবস্থায় থাকে। সরকার বিভিন্ন অর্থনৈতিক উন্নয়নের পরিসংখ্যান ও ফিরিস্তি তুলে ধরছে। উন্নয়নের জয়গান গাইছে। অথচ তাদের জন্য উন্নয়ন, সেই জনগণ যদি নিরাপদ বোধ না করে, তাহলে তা অর্থহীন হয়ে পড়া স্বাভাবিক। মানুষ আগে তার জীবনের নিরাপত্তা খোঁজে। ঘরে-বাইরে কোথাও যদি নিরাপত্তা না পায়, তাদের অসহায় হয়ে পড়া ছাড়া উপায় থাকে না। যেখানে জীবনের নিরাপত্তা নেই, সেখানে কোনো উন্নয়নই গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠে না। মানুষের কাছে উন্নয়নের চেয়ে জীবনের নিরাপত্তা অগ্রগণ্য। সরকারকে উন্নয়নের সুফল জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তুলতে হলে তাদের নিরাপত্তার বিষয়টি আগে নিশ্চিত করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। ঘাতক-সন্ত্রাসী যে দলের বা যত বড় নেতা হোক না কেন, তাকে সন্ত্রাসী হিসেবেই বিবেচনা করতে হবে এবং তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। এমন পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে যাতে মানুষ ঘরে-বাইরে স্বস্তি, শান্তি ও নিরাপদে থাকতে পারে।

 



 

Show all comments
  • jack ali ১০ এপ্রিল, ২০২২, ১১:৫৪ এএম says : 0
    সব সমস্যার সমাধান আল্লাহ কোরআনে দিয়ে দিয়েছে>> আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টি করেছে>> মানুষ কখনো নিজের তৈরি করতে পারে না>> যেমন গাড়ি মানুষ বানায়>> গাড়ি কখনো নিজের আইন বানাতে পারেনা গাড়ি যদি যদি গাড়িতে চাবি দিয়ে রাস্তায় ছেড়ে দেওয়া হয় ড্রাইভার না দিয়ে তাহলে গাড়ি প্রতি পদক্ষেপে অ্যাক্সিডেন্ট করবে, মানুষ যদি আল্লাহর আইন দিয়ে ব্যক্তিজীবন সামাজিক জীবন পারিবারিক জীবন রাষ্ট্রীয় জীবন পররাষ্ট্র জীবন না চলে তাহলে প্রতি পদক্ষেপে হত্যা খুন গুম লুণ্ঠন ধর্ষণ যিনা-ব্যভিচার সবকিছু হবে>>>যেই সরকার এখন ক্ষমতায় আছে এই সরকার 72 থেকে 75 পর্যন্ত মানুষকে হত্যা খুন গুম লুণ্ঠন করেছে আর এর ধারাবাহিকতা আজ চলছে 2014 সাল থেকে আল্লাহ আমাদের এই জালিম সরকার থেকে বাঁচিয়ে রাখুক এবং এই জালিম সরকারকে বাংলাদেশ থেকে উৎখাত করে আল্লাহ তোমার আইন দিয়ে দেশ চালাও তাহলে আমরা একটু সুখে শান্তিতে বসবাস করতে পারব
    Total Reply(0) Reply
  • jack ali ১০ এপ্রিল, ২০২২, ১১:৫৭ এএম says : 0
    চাঁদাবাজি গর্হিত অপরাধ। প্রভাবশালী চক্র জোরপূর্বক কাউকে নিজ কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খোলার জন্য অথবা নির্দিষ্ট স্থান অতিক্রম করা ইত্যাদির জন্য নির্দিষ্ট অথবা অনির্দিষ্ট পরিমাণে চাঁদা দিতে বাধ্য করাকে সাধারণত চাঁদাবাজি বলা হয়। ডাকাতি ও দস্যুতার সঙ্গে এর মিল আছে। ইসলামের দৃষ্টিতে চাঁদাবাজি হারাম ও কবিরা গুনাহ। চাঁদা উত্তোলনকারী, চাঁদা লেখক ও চাঁদা গ্রহণকারী সবাই ওই গুনাহর সমান অংশীদার। কারো কাছ থেকে জোর করে টাকা নেওয়া হারাম। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা একে অন্যের সম্পদ অন্যায়ভাবে ভোগ কোরো না এবং এ উদ্দেশ্যে বিচারকের কাছে এমন কোনো মামলা কোরো না যে মানুষের সম্পদ থেকে কোনো অংশ জেনেশুনে গ্রাস করার গুনাহে লিপ্ত হবে। ’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ১৮৮) রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, কোনো মুসলমানের সম্পদ তার আন্তরিক সম্মতি ছাড়া হস্তগত করলে তা হালাল হবে না। (বায়হাকি, শুআবুল ঈমান, হাদিস : ১৬৭৫৬) চাঁদাবাজি করার জন্য সাধারণত ভয়ভীতি দেখানো হয়, ত্রাস সৃষ্টি করা হয়, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করা হয় এবং জমিনে ফ্যাসাদ বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা হয়। এসব কাজ সম্পাদনকারীদের চারটি শাস্তির যেকোনো একটি শাস্তি দিতে হবে। হত্যা করতে হবে অথবা ফাঁসি দিতে হবে অথবা এক দিকের হাত এবং অন্য দিকের পা কেটে ফেলতে হবে অথবা অন্য এলাকার জেলে বন্দি করে রাখতে হবে যতক্ষণ না তারা খাঁটি তাওবা করে নেয়। মহান আল্লাহ বলেন, ‘যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের সঙ্গে যুদ্ধ কিংবা প্রকাশ্য শত্রুতা পোষণ করে অথবা আল্লাহ ও রাসুলের বিধি-বিধানের ওপর হঠকারিতা দেখায় এবং (হত্যা, লুণ্ঠন, ধর্ষণ, অপহরণ, চাঁদাবাজি ও ছিনতাইয়ের মাধ্যমে) ভূ-পৃষ্ঠে অশান্তি ও ত্রাস সৃষ্টি করে বেড়ায়, তাদের শাস্তি এটাই যে তাদের হত্যা করা হবে অথবা ফাঁসি দেওয়া হবে অথবা এক দিকের হাত এবং অন্য দিকের পা কেটে ফেলা হবে অথবা অন্য এলাকার জেলে বন্দি করে রাখা হবে যতক্ষণ না তারা খাঁটি তাওবা করে নেয়। এটা তাদের জন্য পার্থিব ভীষণ অপমান আর পরকালেও তাদের জন্য ভীষণ শাস্তির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে...। ’ (সুরা : মায়িদাহ, আয়াত : ৩৩) পাশাপাশি মানুষের হূত অধিকার তাদের অবশ্যই ফিরিয়ে দিতে হবে। রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি তার ভাইয়ের ওপর জুলুম করেছে, সে যেন তার কাছ থেকে ক্ষমা নিয়ে নেয় তার ভাইয়ের পক্ষে তার কাছ থেকে পুণ্য কেটে নেওয়ার আগেই। কারণ সেখানে কোনো দিনার বা দিরহাম পাওয়া যাবে না। তার কাছে যদি পুণ্য না থাকে, তাহলে তার (মজলুম) ভাইয়ের গুনাহ এনে তার ওপর চাপিয়ে দেওয়া হবে। (মুসলিম, হাদিস : ১৮৮৫) চাঁদা উত্তোলনকারী, ভোগকারী ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা সরাসরি জালিম অথবা জালিমের সহযোগী। ইহকাল ও পরকালে তারা কঠিন শাস্তির উপযোগী। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘শুধু তাদের বিরুদ্ধেই (শাস্তির) ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে, যারা মানুষের ওপর অত্যাচার করে এবং পৃথিবীতে অন্যায়ভাবে বিদ্রোহ আচরণ করে বেড়ায়। বস্তুত তাদের জন্য আছে বেদনাদায়ক শাস্তি। ’ (সুরা : শুরা, আয়াত : ৪২)
    Total Reply(0) Reply
  • MD AZGOR ALI ১০ এপ্রিল, ২০২২, ১০:৪৩ এএম says : 0
    হঠাৎ করেই দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। খু'ন, সন্ত্রাস, ছিনতাইসহ নানারকম অ'প'রাধ বেড়েছে। শুধু ঢাকা শহরে নয়, সারা দেশেই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। শুধু যে, রাজনৈতিক সহিং'সতা তা নয়, বরং নানা রকম নৈতিক এবং সামাজিক অ'প'রাধও অনেক বেশি বেড়েছে।
    Total Reply(0) Reply
  • মেহের আলী ১০ এপ্রিল, ২০২২, ১০:৪৩ এএম says : 0
    আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা কিছুটা নির্লিপ্ত ভূমিকা পালন করছেন নানা বাস্তবতায়। তাদের মধ্যে রেবের ৭ কর্মক'র্তার নিষেধাজ্ঞার আতঙ্ক যেমন আছে, তেমনি পরিস্থিতি স'ম্পর্কেও এক ধরনের অনীহা এবং নিরাপদ দূরত্বে থাকার মানসিকতা রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নির্লিপ্ততা অ'প'রাধ বৃদ্ধির প্রধান কারণ
    Total Reply(0) Reply
  • হারুন অর রশীদ ১০ এপ্রিল, ২০২২, ১০:৪৩ এএম says : 0
    বিভিন্ন স্থানে সহিং'সতার একটি বড় কারণ দেখা যাচ্ছে যে, রাজনৈতিক ম'দদ এবং পেশি শক্তির প্রয়োগ। বিশেষ করে যুবলীগ, ছাত্রলীগের পরিচয় ব্যাবহার করে অনেকেই বিভিন্ন অ'প'রাধ অ'পকর্ম করছেন
    Total Reply(0) Reply
  • মকবুল হুসাইন ১০ এপ্রিল, ২০২২, ১০:৪৫ এএম says : 0
    মানুষের মধ্যে অভাব অনটন বেড়েছে। জিনিসপত্রের ঊর্ধ্বগতি, বৈষম্য ইত্যাদি কারণে একটি শ্রেণির মানুষ জীবন-জীবিকা নির্বাহের জন্য অ'প'রাধী হয়ে উঠেছে
    Total Reply(0) Reply
  • সাইফুল্লাহ নবীন ১০ এপ্রিল, ২০২২, ১০:৪৫ এএম says : 0
    সারা দেশে যে চাঁদাবাজি চলছে, সেই চাঁদাবাজি অ'প'রাধ প্রবণতার একটি বড় কারণ
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: হত্যাকাণ্ড উদ্বেগজনক
আরও পড়ুন