পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
দেশের ক্রমাবনতিশীল বিষয়গুলোর অন্যতম দূষণ। বায়ুদূষণ, শব্দদূষণ, নদীদূষণ, পরিবেশ দূষণ, আর্সেনিকদূষণ, পানি দূষণ ইত্যাদি। ক্রমান্বয়ে বাড়তে বাড়তে চরমে পৌঁছেছে। এতে মানুষের আয়ুষ্কাল কমে যাচ্ছে ও নানা জটিল ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে আয়ের সিংহভাগ চিকিৎসায় ব্যয় হচ্ছে। সরকারি ব্যয়ও বেড়ে যাচ্ছে স্বাস্থ্য খাতে! প্রাণীকূল, প্রকৃতি ও উন্নতির ক্ষতি হচ্ছে। অর্থাৎ ভয়াবহ দূষণে বহুমুখী ক্ষতি হচ্ছে! ফলে উন্নতি টেকসই হচ্ছে না। অথচ, সব দূষণ বন্ধ করার জন্য সরকারি অফিস ও তার জনবল এবং সংশ্লিষ্ট আইন রয়েছে। এ নিয়ে মিডিয়ায় প্রচুর নিউজ-ভিউজ প্রকাশিত হচ্ছে। পরিবেশবাদীরা বহুদিন থেকে আন্দোলন করছে। মহামান্য হাইকোর্টও দূষণ বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন। তবুও কোনো কিছুর দিকেই বিন্দুমাত্র ভ্রুক্ষেপ নেই পরিবেশ সংশ্লিষ্ট সরকারি অফিসের লোকজনের এবং দূষণ সৃস্টিকারীদের। তাই দূষণ বেড়েই চলেছে! জবাবদিহি না থাকায় ভয়ংকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। ইউএনইপির ‘ফ্রন্টিয়ার্স ২০২২: নয়েজ, ব্লেজেস অ্যান্ড মিসম্যাচেস’ শীর্ষক প্রতিবেদন মতে, শব্দদূষণে বিশ্বের শীর্ষ বাংলাদেশের ঢাকা ও চতুর্থ রাজশাহী! বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী, মানুষের জন্য ঘরের ভেতর শব্দের গ্রহণযোগ্য মাত্রা ৫৫ ডেসিবল, বাণিজ্যিক এলাকার জন্য ৭০ ডেসিবল। ঢাকায় এই মাত্রা ১১৯ ডেসিবল ও রাজশাহীতে ১০৩ ডেসিবল। শব্দদূষণ বিষয়ক বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান বলেন, ‘ঢাকা নগরী এখন শব্দদূষণের স্তর থেকে শব্দ বোমার পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে অচিরেই ঢাকার এক তৃতীয়াংশ মানুষের শ্রবণশক্তি কমে যাবে’। অন্য চিকিৎসকদের অভিমত: ‘শব্দদূষণ দুশ্চিন্তা, অবসাদ, উদ্বিগ্নতা, নিদ্রাহীনতা বাড়িয়ে দেয়, যা দীর্ঘমেয়াদী শারীরিক সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায় । ৩০টি কঠিন রোগের অন্যতম কারণ শব্দ দূষণ।’ শব্দদূষণের প্রধান কারণ হচ্ছে, গাড়ির হাইড্রোলিক হর্ন বাজানো, মাইকের উচ্চ শব্দ, প্রচণ্ড উচ্চস্বরে কথা বলা, বাদ্য যন্ত্র ও স্থাপনা নির্মাণের শব্দ ইত্যাদি।
অপরদিকে ‘আইকিউএয়ার’র ‘বিশ্বের বায়ুর মান প্রতিবেদন-২০২১’ শীর্ষক প্রতিবেদন মতে, বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বায়ুর দেশের তালিকায় বাংলাদেশ প্রথম (আগের বছরও তাই ছিল) আর রাজধানী হিসেবে ঢাকা দ্বিতীয় (আগের বছরও তাই ছিল)। এ রিপোর্টে বলা হয়েছে, আগের প্রতিবেদনগুলোতে অতি সূক্ষ্ম বস্তুকণা পিএম-১০ ও পিএম-৫ এর উপস্থিতিকে আমলে নেয়া হতো। আর এবার নেয়া হয়েছে আরো অতি সূক্ষ্ম বস্তুকণাকে তথা পিএম-২.৫। এ দূষিত বায়ু বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষের গড় আয়ু ১-৩ বছর কমিয়ে দিচ্ছে। এর আগে গত সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত গ্রিন পিস’র প্রতিবেদন মতে, ‘বিশ্বে সবচেয়ে দূষিত বায়ুর দেশগুলোর মধ্যে প্রথম বাংলাদেশ। তারপর পাকিস্তান ও ভারত।’ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে, ‘ঘরে-বাইরে বায়ুদূষণের কারণে বিশ্বে প্রতি বছর প্রায় ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। তন্মধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ২০ লাখ।’ এইচইআই-২০২০ মতে, ‘বায়ু দূষণজনিত কারণে গত এক দশকে বাংলাদেশে প্রতি বছর গড়ে প্রায় ৩১,৩০০ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে।’ জনস্বাস্থ্য বিজ্ঞানীরা বলেন, ‘দূষণ কমাতে অবিলম্বে তৎপর না হলে শ্বাসকষ্ট, ফুসফুসের ক্যান্সারের মতো রোগ আরও বিপজ্জনক আকার নিতে পারে।’ জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ডা. তাজুল ইসলামের মতে, জলবায়ু পরিবর্তন এবং শব্দ ও বায়ুদূষণের কারণে গর্ভবর্তী মায়েরা নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। গর্ভের সন্তানের মস্তিষ্ক যেভাবে বিকশিত হওয়ার দরকার সেটা হচ্ছে না। এই দূষিত বায়ুতে এক ধরনের পদার্থ থাকে যেটা মস্তিষ্ক বিকাশে বড় ধরনের বাধা। পরিস্থিতি এখন উদ্বেগজনক পর্যায়ের দিকে চলে যাচ্ছে। ঢাবির রসায়ন বিভাগের বায়ুমান গবেষণা কেন্দ্রের সর্বশেষ রিপোর্ট মতে, ঢাকার বায়ুদূষণের অর্ধেক তরল জ্বালানি পোড়ানোর মাধ্যমে তৈরি হওয়া ধোয়া ও ধূলা থেকে হচ্ছে। আর ৪০% দূষণের উৎস হচ্ছে খড়, কাঠ, তুষের মতো জৈব বস্তুর ধোয়া ও সূক্ষ্ম বস্তুকণা। এছাড়া, পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে আসা বস্তুকণাও বাংলাদেশের বায়ুদূষণ বাড়াচ্ছে!
দেশের নদীর দূষণ হয়েছে ব্যাপক, যার প্রধান কারণ হচ্ছে, ভারত বেআইনীভাবে আন্তর্জাতিক নদীগুলোর পানি আটকে দিয়েছে। এতে এ দেশের বেশিরভাগ নদী মরে গেছে। এরপর যেসব নদী এখনো জীবন্ত আছে, তার প্রায় সবই দখল ও মজে গিয়ে পানি প্রবাহ কমে গেছে। এছাড়া, পয়ঃবর্জ্য, আবর্জনা, শিল্পের বর্জ্য, পলিথিন ও প্লাস্টিক অনবরত নদীতে পড়ছে ব্যাপক হারে (খাল-বিল, হাওর, জলাশয়, পুকুর, দীঘি, ড্রেন ইত্যাদিতেও)। নদীর পানি চরমভাবে দূষিত হয়ে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। মৎস্য ও জীববৈচিত্র্যের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। ড্রেজিংয়েরও চরম অসুবিধা হচ্ছে। এএলআরডি নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা বলেছেন, ‘দেশের ২৯-৩০টি নদী মারাত্মকভাবে দূষণের শিকার হয়েছে।’ ঢাকার চারদিকের সব নদীও ব্যাপক দূষিত হয়েছে। নতুন করে ধলেশ্বরী নদীও দূষিত হচ্ছে। সাভারে স্থানান্তরিত চামড়াশিল্প নগরীর শিল্পে সিইটিপি না থাকায় বর্জ্য এখানে পড়ছে। ফলে নদী দূষিত হচ্ছে। তাই এই শিল্পনগরী বন্ধ করে দেয়ার সুপারিশ করেছে পরিবেশ বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। চবির প্রাণীবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মনজুরুল কিবরীয়া বলেছেন, ‘আমাদের নদীমাতৃক বাংলাদেশের জীব বৈচিত্র্য, পরিবেশ, অর্থনীতি, সংস্কৃতি বাঁচিয়ে রাখতে নদীকে জীবিত রাখতে হবে।’ ওশানিক গ্লোবাল সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা অরিওল বলেছেন, ‘একটি প্লাস্টিকের তৈরি বস্তু ভাঙ্গতে গড়ে ৫০০-১০০০ বছর পর্যন্ত সময় লেগে যায়।’ আন্তর্জাতিক সলিড ওয়েস্ট অ্যাসোসিয়েশনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ‘সমস্ত বর্জ্য পদার্থসহ সামুদ্রিক জঞ্জালগুলির প্রায় ৭০% হলো একক-ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক পণ্য এবং পরিত্যক্ত ফিশিং গিয়ার অর্থাৎ মাছ ধরার জাল ইত্যাদির প্লাস্টিক। আমাদের মহাসাগর এবং সমুদ্রগুলিতে ক্ষতিকারক প্লাস্টিকের জঞ্জাল উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে।’ প্লাস্টিকের জঞ্জাল শুধুমাত্র সমুদ্র বা নদীতেই নয়, ঘরে-বাইরের সর্বত্রই এবং তা ব্যাপকহারে বাড়ছে ক্রমান্বয়েই।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের ওয়েবসাইটে প্রকাশ, বিশ্বজুড়ে করোনার কারণে যত মানুষের মৃত্যু হয়েছে, তার চেয়েও বেশি মানুষ মারা যাচ্ছে পরিবেশ দূষণের ভয়াবহ প্রভাবে। যেমন: কৃষিখাতে ব্যবহার হওয়া কীটনাশক, প্লাস্টিক ও ইলেকট্রনিক বর্জ্য বিশ্বজুড়ে মানুষের মৃত্যুর বড় কারণ। প্রতিবছর এসব কারণে প্রায় ৯০ লাখ মানুষের অকালমৃত্যু হয়। অথচ, দুই বছরের বেশি সময় ধরে চলা করোনা মহামারিতে বিশ্বে এখন পর্যন্ত প্রায় ৫৯ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া, কীটনাশক ব্যবহারের কারণে দেশের কৃষকরা ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে বলে এক গবেষণায় বলা হয়েছে। দেশে পরিবেশের ক্ষতির জন্য ময়লা-আবর্জনা, পলিথিন ও প্লাস্টিকও দায়ী। পলিথিন ও পুনর্ব্যবহারের অনোপযোগী প্লাস্টিক অপচনশীল। তাই এগুলো পানি ও মাটিতে মিশে থাকে দীর্ঘদিন। এতে মানুষ ও প্রাণীকুলের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। মাটিরও উর্বরা শক্তি হ্রাস পাচ্ছে। ফসলের উৎপাদন হার কমে যাচ্ছে। প্লাস্টিকের কণা খাদ্য চক্রে মানুষের শরীরে প্রবেশ করে নানা ব্যাধি সৃষ্টি করছে। সম্প্রতি নেদারল্যান্ডসের বিজ্ঞানীদের গবেষণায় ২২ ব্যক্তির রক্তের নমুনা বিশ্লেষণ করে ১৭ জনের রক্তেই মাইক্রো প্লাস্টিকের উপস্থিতি শনাক্ত হয়। তাঁদের মধ্যে আবার অর্ধেক ব্যক্তির রক্তে পিইটি প্লাস্টিক কণা শনাক্ত হয়। এই প্লাস্টিক পানির বোতলে ব্যবহৃত হয়। এক-তৃতীয়াংশ নমুনায় পলিস্টাইরিন পাওয়া যায়। এটি খাদ্যসহ অন্যান্য পণ্যের মোড়কে ব্যবহৃত হয়। এক-চতুর্থাংশ নমুনায় পলিথিলিন পাওয়া যায়। এটি প্লাস্টিক ব্যাগে ব্যবহৃত হয়। রক্তের মধ্যে মাইক্রো প্লাস্টিকের উপস্থিতির ফলে বদলে যাচ্ছে মানব শরীরের কোষের বৈশিষ্ট্য। এটি সম্প্রতি ‘এনভায়রনমেন্ট ইন্টারন্যাশনাল’ জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। জাবির পরিবেশ বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে জানিয়েছেন, প্রতি কেজি সামুদ্রিক লবণে গড়ে ২,৬৭৬টি আণুবীক্ষণিক প্লাস্টিক পাওয়া গেছে। এই হিসেবে দেশের একজন মানুষ প্রতি বছর গড়ে প্রায় ১৩ হাজার মাইক্রো প্লাস্টিক গ্রহণ করে থাকে। বিজ্ঞানীরা বলেছেন, এসব মাইক্রো প্লাস্টিক জনস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এটি ‘এনভায়রনমেন্টাল অ্যাডভান্সেস’-এ প্রকাশিত হয়েছে। এর আগে এক গবেষণায় সামুদ্রিক মাছের মধ্যে মাইক্রো প্লাস্টিকের উপস্থিতি পাওয়া গেছে।
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পানিতে ব্যাপক আর্সেনিক দূষণ রয়েছে। এই পানি ব্যবহারের কারণে বহু মানুষ শরীরে ঘা হওয়া ছাড়াও নানা ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়েছে। তাই পানি পরীক্ষা করে আর্সেনিকযুক্ত টিউবওয়েল সিলগালা করে দেয়া হয়েছে। তবুও এখনো অনেক রয়ে গেছে!অপরদিকে, চুয়েট গবেষণা করে সম্প্রতি জানিয়েছে, চট্টগ্রাম নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২২টি ওয়ার্ডের ভূগর্ভস্থ পানিতে বিষের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে, যার মধ্যে রয়েছে লেড, ক্যাডমিয়াম, মারকারি ও আর্সেনিক। এগুলো খাদ্যচক্রের মাধ্যমে মানুষের দেহে প্রবেশ করে। যাতে ক্যান্সারের মতো দূরারোগ্য ব্যাধি হয়।
যা’হোক, মানুষ, প্রাণীকুল, জৈববৈচিত্র্য ও পরিবেশ রক্ষা এবং উন্নতি টেকসই করার জন্য পরিবেশ রক্ষা তথা সব ধরনের ভয়াবহ দূষণের ব্যাপক ক্ষতি থেকে দেশকে বাঁচাতে হবে। সে জন্য হাইড্রোলিক হর্ন, মাইকের উচ্চ শব্দ, মটর সাইকেলের বিকট শব্দ, যানবাহন, কল-কারখানা, ইটভাটা ও বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কালো ধোয়া নির্গত এবং পয়ঃবর্জ্য, ময়লা-আবর্জনা ও শিল্প বর্জ্য নদী, খাল-বিলসহ যত্রতত্র ফেলা এবং নির্মাণ সামগ্রীর ধূলিকণা ছড়িয়ে পড়া, আর্সেনিকযুক্ত পানি ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। পলিথিন ও নন রি-সাইক্লিং প্লাস্টিক নিষিদ্ধ ও কার্যকর এবং প্রয়োজন মতো বনাঞ্চল সৃষ্টি করতে হবে। রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের অপব্যবহার বন্ধ ও অর্গান ফুডের উৎপাদন বাড়াতে হবে। ময়লা-আবর্জনা নিয়মিত পরিষ্কার করে নির্দিষ্ট স্থানে রাখতে হবে। সব রাস্তায় নিয়মিত পানি ছিটাতে হবে। নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদন ও বৈদ্যুতিক যানবাহন বাড়াতে হবে। তাহলে সব ধরণের দূষণ ব্যাপকভাবে হ্রাস পাবে। অপরদিকে, জাতীয় নদী কমিশনের দাবি মোতাবেক পৃথক নদী ও জলাশয় মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা, দেশের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তাসহ ৫৪টি আন্তর্জাতিক নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়, সব নদী, খাল-বিল, হাওর, জলাশয় ইত্যাদিকে দখলমুক্ত, সীমানা নির্ধারণ করে স্থায়ী পিলার স্থাপন এবং অনবরত কার্যকর ড্রেজিং করতে হবে। তাহলে সেচ ও ব্যবহারের পানির চাহিদার বেশিরভাগ পূরণ হবে, ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার হ্রাস পাবে, মাছের উৎপাদন বাড়বে। জীববৈচিত্র্যের কল্যাণ হবে। তবে, সর্ষের ভুত তাড়াতে হবে আগে। অর্থাৎ পরিবেশ সংশ্লিষ্ট অফিসের লোকজনের মধ্যে যাদের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলা, গাফিলতি ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে, তাদের এবং দূষণকারী ও দখলদারদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।