Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ঝালকাঠি ও ভোলায় পৃথক হত্যা মামলায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩১ মার্চ, ২০২২, ১২:০০ এএম

ঝালকাঠিতে শিক্ষক হত্যা মামলায় ৩ জনের এবং ভোলায় জোড়া খুন মামলায় ২ জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
ঝালকাঠি জেলা সংবাদদাতা জানান, ঝালকাঠির কাঁঠালিয়ার শাহজাহান মাস্টার হত্যা মামলায় তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেছেন আদালত। গত মঙ্গলবার বিকাল পাঁচটায় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. মাসুদুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। পাশপাশি দণ্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্তরা হলেন- আব্দুল লতিফ হাওলাদার (৬২) আব্দুস ছালাম জমাদ্দার (৫২) ও সরওয়ার হোসেন (৪২)। সরোয়ার হোসেন পলাতক থাকায় রায় ঘোষণার সময় উপস্থিত ছিলেন না। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আব্দুল লতিফ দক্ষিণ চেচরি গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদ হাওরাদারের ছেলে, আব্দুস ছালাম একই গ্রামের জয়নাল জমাদ্দারের ছেলে ও পলাতক সরওয়ার হোসেন একই গ্রামের জয়নাল মাস্টারে ছেলে।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০০৭ সালের ১৭ মার্চ দিবাগত রাত ৯টা ৪৫মিনিটে চেচরিরামপুর পীর খান জাহান আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহাকারী শিক্ষক শাহজাহান মাস্টার স্থানীয় জোড়াপোল বাজার থেকে বাড়ি আসার পথে আসামিরা তাকে গুলি এবং কুপিয়ে হত্যা করে। শাহজাহান মাস্টারের সঙ্গে আসামিদের স্কুল ম্যানেজিং কমিটি গঠন নিয়ে বিরোধ ছিল। এ ঘটনায় নিহতের ভাই মানিক হাওলাদার বাদী হয়ে কাঁঠালিয়া থানায় ১৮ মার্চ হত্যা মামলা দায়ের করেন। কাঁঠালিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শহিদুল ইসলাম ২০০৭ সালের ১২ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দেন। আদালত ১৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে এ রায় ঘোষণা করেন। রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান মনু ও আসামি পক্ষে অ্যাডভোকেট মল্লিক নাসির উদ্দিন কবীর মামলা পরিচালনা করেন।
ভোলা জেলা সংবাদদাতা জানান, ভোলার বাপ্তার আলোচিত জোড়া খুনের মামলায় মো. মামুন উর রশিদ মামুন ও মো. ফিরোজ নামের দুইজনকে মৃত্যুদণ্ড ও মো. শরীফ নামের এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যকের ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
গতকাল বুধবার দুপুরে ভোলা জেলা ও দায়রাজজ আদালতের বিচারক মো. মহসিনুল হক এ রায় ঘোষণা করেন। এ মামলায় মো. আরিফ ও রেহানা বেগম নামের দুই আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১৩ মে রাতে সদর উপজেলার মধ্যে বাপ্তা এলাকায় জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে জাহিদ ও মাসুম নামের দুইজনকে কুপিয়ে হত্যা করে আসামিরা।
দীর্ঘ শুনানি শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বুধবার দণ্ডবিধির ৩৪ ও ৩০২ ধারা মোতাবেক দুই আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও এক আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন পিপি অ্যাডভোকেট সৈয়দ আশ্রাফ হোসেন লাভু ও অ্যাড.স্বপন কৃষ্ণ দে। রায়ে নিহত মাসুমের বাবা মামলার বাদী মোস্তাফিজুর রহমান সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং দ্রুত পলাতক আসামী ফিরোজকে গ্রেফতারের দাবি জানান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মৃত্যুদণ্ড


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ