Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কুরআনের শিক্ষা থেকে দূরে সরে যাওয়ায় দেশ- জাতির আজ এই দুর্বস্থা -হাফজ হওয়া কুরআন শরীফের একটি বড় মুজিজা -ড. আহমদ আব্দুল কাদের

কক্সবাজার ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৮ মার্চ, ২০২২, ৫:৩৯ পিএম

কক্সবাজার দারুল আরকম তাহফিজুল কুরআন মাদরাসার দস্তারবন্দী অনুষ্ঠানে ১৪ জন হাফেজে কুরআনকে দস্তারে ফজিলত বা পাগড়ী প্রদান করা হয় এবং আরো ১০ জনকে বিদায় জানানো হয়। যার মাঝ ৫ জন (হাফেজা) ছাত্রীও রয়েছে।

সোমবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত শহরের একটি হোটেলে এই অনুষ্ঠান চলে। প্রতিষ্ঠানের পরিচালক হাফেজ ক্বারী মাওলানা ইউনুস ফরাজীর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিভিন্ন অতিথি ও
অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, পটিয়া জামেয়া আল ইসলামিয়ার মুহাদ্দিস মাওলানা শামসুদ্দিন জিয়া। তিনি বলেন, কুরআন এমন এক আসমানী কিতাব যা শুধু চুমু খাওয়ার জন্য নয়। শুধু তেলাওয়াত করার জন্যও নয়। এই কুরআন নাজিল করা হয়েছে পড়ে বুঝে সে মতে জীবন, পরিবার ও রাষ্ট্র পরিচালনা করার জন্য।
তিনি বলেন, যে জাতি কুরআন ছেড় দিয়েছে কাল ক্বিয়ামতের দিন সেই জাতির বিরুদ্ধে রসুল সঃ আল্লাহর দরবার মোকদ্দমা দায়ের করবেন।
হাফেজ আলেম ও ক্বারীদের মাধ্যমে আল্লাহ পাক কুরআনকে হেফাজত করবেন ক্বিয়ামত পর্যন্ত।
তিনি আরো বলেন, লৌহে মাহফুজ সম্মানিত হয়েছে কুরআন শরীফ এর কারণে। পৃথিবীতে কোটি কোটি হাফেজের বুকে কুরআন সংরক্ষিত। হাফজ হওয়া কুরআন শরীফের একটি বড় মু'জিজা।
তিনি হাফজে কুরআনদেরকে আলেমে কুরআন এবং আমেলে কুরআন হওয়ার আহবান জানিয়ে এ ব্যাপারে অভিভাবকদের সতর্ক থাকার আহবান জানান।
তিনি সতর্ক করে বলেন, কুরআনকে যেন কোন মতেই রোজি রুজগারের উসিলা বানানো না হয়।

অনুষ্ঠানে সমাপনি নসিহত পেশ করেন, বিশিষ্ট ইসলামী স্কলার অধ্যাপক ড. আহমদ আব্দুল কাদের। তিনি বলেন, দেশ জাতির আজ যে বিপর্যস্ত অবস্থা তা কুরআনের শিক্ষা থেকে সরে যাওয়ার কারণে। তিনি আল কুরআনকে সর্বস্তরে শিক্ষার উৎস হিসেবে গ্রহণ করা হলে শান্তি শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। তিনি দেশের সর্বস্তরে কুরআনের শিক্ষাকে উৎস হিসেবে গ্রহণ করার আহবান জানন। তিনি হাফজে কুরআন ও অভিভাবকদের অভিনন্দন জানান।
উল্লেখ্য দারুল আরকম তাহফিজুল কুরআন মাদরাসা একটি আদর্শ তাহফিজুল কুরআন মাদরাসা হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছে।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তবয় রাখেন, বিশিষ্ট ব্যাংকার এনামুল হক, মায়াহাদ আন নিবরাসের পরিচালক মাওলানা জিয়াউল হক, মাওলানা আবু মুসা, মাওলানা নুরুল আলম, মাওলানা হাফেজ নুরুল আলম আল মামুন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কুরআন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ