মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন পোল্যান্ডে দেয়া এক ভাষণে ‘ভ্লাদিমির পুতিন ক্ষমতায় থাকতে পারেন না’ এমন কথা বলার পর হোয়াইট হাউস বলেছে, প্রেসিডেন্ট মস্কোতে ক্ষমতার পটপরিবর্তনের আহ্বান জানাননি।
শনিবার পোল্যান্ডের রাজধানী ওয়ারস’তে দেয়া ওই ভাষণের একেবারে শেষে বাইডেন বলেন, ‘ঈশ্বরের দোহাই, এই লোকটি ক্ষমতায় থাকতে পারে না।’ বাইডেনের এ কথাটি ভাষণের লিখিত রূপে অন্তর্ভুক্ত ছিল না। জো বাইডেন আরো বলেন, ইউক্রেনে রাশিয়া কখনো বিজয় পাবে না। এ বিষয়ে ক্রেমলিন তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায়।
হোয়াইট হাউস অবিলম্বে বাইডেনের মন্তব্য স্পষ্ট করার চেষ্টা করেছিল, জোর দিয়েছিল যে তার বিবৃতিকে সরকারী নীতি হিসাবে নেয়া উচিত নয়। হোয়াইট হাউসের অভ্যন্তরীণ ব্যক্তিরা বলেছেন যে, পুতিনকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেয়ার বিষয়ে প্রেসিডেন্টের মন্তব্য পরিকল্পিত ছিল না এবং ভ্রমণকারী কর্মকর্তাদের জন্য বিস্ময়কর ছিল। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, ‘এটি বাইডেন দ্বারা সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত নয়। এটি শুধুমাত্র রাশিয়ান ফেডারেশনের জনগণের পছন্দ হওয়া উচিত।’ ন্যাটো একটি আক্রমনাত্মক জোট এবং ইউক্রেনের বিরুদ্ধে তার যুদ্ধকে আরও ন্যায্যতা দেয়ার জন্য ক্রেমলিন এই মন্তব্যগুলোকে আরও জোরদার করতে পারে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রাক্তন উপদেষ্টা অ্যারন ডেভিড মিলার বলেছেন যে, বাইডেনের মন্তব্য ‘শুধুমাত্র পুতিন যা বিশ্বাস করেছে তা নিশ্চিত করে: মার্কিন নীতি হল শাসন পরিবর্তন, যার ফলে এটি নিশ্চিত করে যে এটি কেবল ইউক্রেনের জন্য নয়, পুতিনের বেঁচে থাকার লড়াই হয়ে উঠবে।’ ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা বলেছেন যে, তারা বিশ্বাস করেন পুতিনের আক্রমণকারী বাহিনী কিয়েভের উপর নতুন আক্রমণ চালানোর জন্য তাদের অবস্থানকে সুসংহত করছে, এবং তাদের ফোকাস ক্রেমলিন-নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে ডোনেটস্ক এবং লুহানস্কে স্থানান্তরিত করছে।
বাইডেনের এ বক্তব্যের পর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেছেন, এটা রাশিয়া বা যে কোন দেশের জনগণের ব্যাপার। তিনি বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাশিয়া বা বিশ্বের অন্য কোথাও ক্ষমতার পটপরিবর্তন ঘটানোর কোন পরিকল্পনা নেই।’ জেরুসালেমে দেয়া এক বক্তব্যে ব্লিংকেন বলেন, প্রেসিডেন্ট যা বোঝাতে চেয়েছেন তা হলো পুতিনকে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাতে দেয়া যায় না।
শনিবার হোয়াইট হাউসের একজন কর্মকর্তা এ ব্যাপারে বলেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেন মস্কোতে ক্ষমতার পটপরিবর্তনের আহ্বান জানাননি, তার কথার অর্থ হচ্ছে যে পুতিনকে তার প্রতিবেশীদের ওপর জোর খাটাতে দেয়া যায়না। ক্রেমলিন বাইডেনের এই মন্তব্য প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, রাশিয়ার নেতা কে হবে তা রুশরাই নির্ধারণ করবে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভেতরেও কেউ কেউ বাইডেনের বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন। প্রবীণ মার্কিন কূটনীতিক এবং বৈদেশিক সম্পর্ক বিষয়ক মার্কিন কাউন্সিলের সভাপতি রিচার্ড হ্যাস এক টুইট বার্তায় বলেছেন, ‘বাইডেন একটি কঠিন পরিস্থিতিকে আরো কঠিন এবং বিপজ্জনক অবস্থাকে আরো বিপজ্জনক করে ফেলেছেন।’ তিনি বলেন, পুতিনের এখন মনে হবে যে তিনি চিরকাল যা বিশ্বাস করে আসছিলেন তাই এ কথার ভেতর দিয়ে নিশ্চিত হয়েছে।
বাইডেন যেদিন এই মন্তব্য করেন - সেদিনই পোল্যান্ড-ইউক্রেন সীমান্তের ৭০ কিমি দূরের লাভিভ শহরে তিনটি রুশ মিসাইল আঘাত হানে, যেখানে এ যুদ্ধের সময় এ পর্যন্ত কোন ভারী বোমাবর্ষণ হয়নি। লাভিভ শহরের মেয়র আন্দ্রিই সাডোভি বলেন, এ হামলার সময় নির্বাচনটা খুব পরিষ্কার। পোল্যান্ড সফররত প্রেসিডেন্ট বাইডেনের জন্য এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ছিল একটা বার্তা।
এর আগে পোল্যান্ডে ইউক্রেনীয় শরণার্থীদের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ভ্লাদিমির পুতিনকে একজন কসাই হিসেবে বর্ণনা করেন। ওয়ারসতে জাতীয় স্টেডিয়ামের এই অনুষ্ঠানটি টেলিভিশনে সম্প্রচার হবার সময় তিনি এই মন্তব্য করেন। এর আগে পোলিশ প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেই দুদার সঙ্গে বৈঠক করেন বাইডেন। ওই বৈঠকে পোল্যান্ডে মার্কিন বিমান, ট্যাঙ্ক এবং ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা পাঠানো আরো দ্রুত করার জন্য দুদা প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে অনুরোধ করেছেন। বাইডেন ইউক্রেনের দুজন মন্ত্রীর সঙ্গেও সরাসরি বৈঠক করেছেন। সূত্র: দ্য টেলিগ্রাফ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।