মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
উত্তর কোরিয়া ঘোষণা করেছে, দেশটির ইতিহাসের সর্ববৃহৎ আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র বা আইসিবিএম-এর পরীক্ষা চালানো হয়েছে। ২০২০ সালে হুয়াসং-১৭ নামের এই ক্ষেপণাস্ত্র প্রদর্শন করেছিল পিয়ংইয়ং। তখন এটির বিশাল আকৃতি দেখে অভিজ্ঞ বিশ্লেষকরাও বিস্মিত হয়েছিলেন। উত্তর কোরিয়া বৃহস্পতিবার পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্রটির পরীক্ষা চালায়। জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী ক্ষেপণাস্ত্রটির উড্ডয়ন পর্যবেক্ষণ করেছে। জাপানি কর্মকর্তারা বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার আইসিবিএমটি প্রায় ৬,০০০ কিলোমিটার উচ্চতায় ওঠার পর জাপান সাগরে পতিত হয়েছে। ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রায় এক ঘণ্টা শূন্যে ছিল বলে জানিয়েছে টোকিও। ২০১৭ সালের পর এই প্রথম উত্তর কোরিয়া কোনো আইসিবিএম-এর পরীক্ষা চালাল। ২০২০ সালে হুয়াসং-১৭ নামের এই ক্ষেপণাস্ত্র প্রদর্শন করেছিল পিয়ংইয়ং। তখন এটির বিশাল আকৃতি দেখে অভিজ্ঞ বিশ্লেষকরাও বিস্মিত হয়েছিলেন। উত্তর কোরিয়ার আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রগুলো পরমাণু অস্ত্র বহন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডে আঘাত হানতে সক্ষম। এর আগে এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালানোর কারণে পিয়ংইয়ং-এর ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে আমেরিকা ও জাতিসংঘ। তবে উত্তর কোরিয়া বলেছে, নিষেধাজ্ঞা দিয়ে দেশটির ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি বন্ধ করা যাবে না। দেশটির রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যম শুক্রবার বলেছে, উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন বৃহস্পতিবারের উৎক্ষেপণ সরাসরি পর্যবেক্ষণ করেছেন ও নির্দেশনা দিয়েছেন। কার্নেগি এনডাউমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল পিস-এর গবেষণ অঙ্কিত পান্ডা বিবিসিকে বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার পরমাণু সক্ষমতার ক্ষেত্রে এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। পিয়ংইয়ং বলেছে, আত্মরক্ষার ক্ষেত্রে তাদের এই ক্ষেপণাস্ত্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এর আগে, উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন বলেছেন, আমেরিকাকে দীর্ঘ মেয়াদে মোকাবেলা করার জন্য তারা প্রস্তুত আছেন। আন্তঃ মহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা সম্পন্ন করার পর তিনি বৃহস্পতিবার এ কথা বলেছেন। কিম জং উন ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষাস্থল পরিদর্শনের পর বলেন, নতুন কৌশলগত অস্ত্র পরীক্ষার মাধ্যমে গোটা বিশ্বকেই উত্তর কোরিয়ার শক্তি সম্পর্কে আরেক দফা বার্তা দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, উত্তর কোরিয়ার সামরিক বাহনী যেকোনো হুমকির মোকাবেলায় দৃঢ় অবস্থানে রয়েছে এবং জাতীয় নিরাপত্তায় বিঘ্ন সৃষ্টি করা হলে ভয়াবহ জবাব দেওয়া হবে। দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, উত্তর কোরিয়া দীর্ঘ পাল্লার আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে। এরপর উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকেও এর সত্যতা স্বীকার করা হয়। উত্তর কোরিয়ার নয়া ক্ষেপণাস্ত্র আমেরিকার যেকোনো স্থানে আঘাত হানতে পারবে বলে বিভিন্ন সূত্র দাবি করেছে। জাতিসংঘ ঐ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার নিন্দা জানিয়েছে। বিবিসি, কেসিএন, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।