Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রামগতিতে আ.লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ আহত-২২, শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে

রামগতি (লক্ষ্মীপুর) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৬ মার্চ, ২০২২, ২:৩২ পিএম | আপডেট : ৩:২৬ পিএম, ২৬ মার্চ, ২০২২

 

লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে মিছিল করার সময় সরকার বিরোধী স্লোগান দেওয়াকে কেন্দ্র করে আ.লীগ-বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষে উভয় দলের ২২ জন নেতাকর্মী আহত ও উপজেলা বিএনপিসাধারণ সম্পাদকসহ দুই জনকে আটক করার খবর পাওয়া গেছে।


আজ শনিবার সকাল সাড়ে সাতটার সময় উপজেলা সদর আলেকজান্ডার বাজারে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

প্রতক্ষ্যদর্শী ও স্থানীয় সুত্রে জানাযায়,শনিবার সকালে রামগতি উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা শহীদ মিনার ফুল দিয়ে মিছিল সহ উপজেলা সদর আলেকজান্ডার বাজারে আসছিলেন। মিছিলটি আলেকজান্ডার জনতা ব্যাংকের সামনে আসলে সরকার বিরোধী উস্কানিমূলক স্লোগান দিলে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বাঁধা দেন। এতে উভয়ের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায় । দফায়-দফায় সংঘর্ষে উভয় দলের অন্তত ২২ নেতাকর্মী আহত হন।এতে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ১২ জন ও বিএনপির ১০ নেতাকর্মী আহত হন। যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ১২ জনের মধ্যে ৪ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়। বাকী নেতাকর্মীদের স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা দিচ্ছেন। স্থানীয়রা জানায়,দুই দলের সংঘর্ষে পুরো শহরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

আহতরা হলেন উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক শাহ মোহাম্মদ রাকিব,উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আকবর হোসেন সুখি, সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাদ্দাম হোসেন, মিরাজ,রহিম,লিটন আরিফ ও সাব্বির সহ ১২ নেতাকর্মী। এর মধ্যে মিরাজ, সাব্বির,লিটন ও আরিফ কে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও অন্যদের স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

অন্যদিকে বিএনপি ১০ নেতাকর্মীকে আহত হয়েছে বলে দাবী করলেও তাদের নাম ঠিকানা প্রকাশ করতে রাজি নয় বিএনপির নেতাকর্মীরা।

এই ঘটনায় উপজেলা বিএনপিসাধারণ সম্পাদক মোঃ জামাল উদ্দীন ও পৌর ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি কাউন্সিলর দিদার হোসেন খন্দকারকে আটক করে পুলিশ।

রামগতি উপজেলা বিএনপিসাধারণ সম্পাদক মোঃ জামাল উদ্দীন বলেন, সকাল সাড়ে সাতটার দিকে আমরা শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে মিছিল নিয়ে ফিরছিলাম। পথে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা একত্রিত হয়ে পেছন দিক থেকে আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে আমাদের প্রায় ১০ জন নেতা কর্মী আহত হয়েছে।

এদিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াহিদ পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা সরকার বিরোধী নানা স্লোগান দেন। এতে আমাদের লোকজন শান্তি পূর্ণ স্লোগান দিতে অনুরোধ করলে তারা আমাদের লোকজনের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। এতে আমাদের প্রায় ১২ জন নেতাকর্নী আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় মামলা করা হবে বলে জানান তিনি।

রামগতি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলমগীর হোসেন বলেন, মিছিল ও শহীদ মিনারে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগ-বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় উপজেলা বিএনপিসাধারণ সম্পাদক সহ দুইজনকে আটক করা হয়েছে।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।এই ঘটনায়



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সংঘর্ষ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ