বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কুষ্টিয়ার পাহাড়পুরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত উভয় পক্ষের ১০জন আহত হয়েছেন।
সোমবার সন্ধ্যায় কুমারখালী উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের পাহাড়পুর গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সন্ধ্যায় আধিপাত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পাহাড়পুর এলাকার হোসেনের ছেলে আমিরুল ও জোয়াদ আলীর ছেলে লাল্টু এবং ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি ইউপি সদস্য ফিরোজ আহমেদ কটার সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা থেকে এ সংঘর্ষের সুত্রপাত হয়।
এতে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ফিরোজ আহমেদ কটার সমর্থক পাহাড়পুর গ্রামের মন্টু বিশ্বাসের ছেলে
রকিবুল, গাফফারের ছেলে তারিকুল, জাহিদুল, ওমরের ছেলে বাদল, জয়নাল এবং প্রতিপক্ষের একই এলাকার হোসেনের ছেলে আমিরুল ও জোয়াদ আলীর ছেলে লাল্টু গুরুতর আহত হয়। আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল ও প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।
ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ফিরোজ আহমেদ কটা জানান, কয়েক সপ্তাহ আগে এলাকায় অশান্তি সৃষ্টির লক্ষ্যে পাহাড়পুর গ্রামের আমিরুল ও লাল্টু একই এলাকার গফফারের ছেলে জায়েদুলকে বেধড়ক মারপিট করে। এবং তাদের পক্ষ হয়ে কাজ করতে বলে। এতে জায়েদুল তাদের কথা না শোনায় তাকে হত্যার হুমকিও দেয়া হয়। এছাড়াও এলাকায় অস্থিতীশীল করে তুলতে মাথা চাড়া দেয় তারা। এসব বিষয় নিয়ে পাহাড়পুর গ্রামের আমিরুল ও লাল্টুর সাথে কথা বলার এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বাঁধে।
এদিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা জানায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র এলাকায় দুটি পক্ষের দীর্ঘদিনের বিরোধ। বিরোধের জেরে গত সোমবার রাতেও দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হয়েছে। এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে জানায়, আমিরুল ও লাল্টুর কারনে অশান্ত পাহাড়পুরসহ গোটা এলাকা। তারা বিভিন্ন সময়ে এলাকায় অশান্ত সৃষ্টি করে পরিবারে পরিবারে বিরোধ সৃষ্টি করে হামলা ও লুটপাট করে। এছাড়াও মামলার ভয় দেখিয়ে এলাকার সাধারণ মানুষকে হয়রানি করে থাকেন। এলাকার গরীব মানুষ তাদের কথা অনুযায়ী না চললে তাদের বিরুদ্ধে নেমে আসে খড়গ। শুধু তাই নয়, সাধারন মানুষকে হয়রানি করে থাকে। লাল্টুর বিরুদ্ধে মাদক কেনাবেচার অভিযোগও রয়েছে। এসব নিয়ে সন্ধ্যায় স্থানীয়দের সাথে বাকবিতন্ডার সৃষ্টি হলে পরে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।