বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার পলাশবাড়ীয়া ইউনিয়নের রামপুর গ্রামে দু’দল গ্রামবাসির মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের প্রায় ২১ জন আহত হয়েছে। এছাড়া লুটপাট ও বাড়িঘর ভাংচুর হয়েছে। শনিবার সকালে আধিপাত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ওই গ্রামের রুহুল মেম্বার গ্রুপ ও খাইরুল গ্রুপের মধ্যে এই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। দীর্ঘদিন ধরে আধিপাত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করে আসছিল। তারই সূত্র ধরে শনিবার সকাল ৬টার দিকে রুহুল গ্রুপের হারুন ও খাইরুল গ্রুপের সিকান্দারের মধ্যে মারামারি হয়। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে উভয়পক্ষ দেশিয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে যায়। এতে ১৫টি বাড়ি ভাংচুর ও কয়েকটি বাড়ি লুটের ঘটনা ঘটে। আহত ব্যক্তিরা হলো- আঃ রহমান (৪৫), মুন্নি আক্তার (২০), রেহেনা বেগম (৫০), আঃ কুদ্দুস মোল্যা (৩০), পারভীন বেগম (৩০), উজ্জল মোল্যা (৩৫), সোনালী খাতুন (২৫), লিটন মোল্যা (৩০), রমজান মোল্যা (৩০) মছিয়ার মোল্যা (৪৫), ফুল মিয়া (৭০), শাহা আলম (১৯), খলিল মোল্যা (৫০), ফসিয়ার মোল্যা (৪০), আব্দুল আলিম (৫০), সালমা বেগম (৩৫), সিকান্দার মোল্যা (৪৫), শাহাজাহান মোল্যা (২৬), জলিল মোল্যা (৩০), ই¯্রাফিল মোল্যা (৪৫), শরিফুল ইসলাম (২০)। এদের মধ্যে গুরুত্বর আহত সিকান্দার মোল্যাকে প্রথমে মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়, পরে অবস্থার অবনতি দেখে মাগুরা এবং মাগুরা থেকে ফরিদপুর মেডিকেল হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। আহত ব্যক্তিদের অনেকেই মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে।মহম্মদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তারক বিশ্বাস বলেন, খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে এনেছে। ওই এলাকায় পুনরায় সংঘর্ষ এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।