বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
পিরোজপুরের নাজিরপুরে আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের দুই পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে দফায়-দফায় পাল্টা পাল্টি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ছয় জন আহত হয়েছেন। শনিবার ১১ টায় সদর উপজেলার চৌঠাইমহল বাসস্টান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্ববায়ক তরিকুল ইসলাম (তাপস) ও একই উপজেলার শ্রীরামকাঠী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান (মিঠুর) সংঙ্গে দীর্ঘ দিন ধরে আধিপত্য বিস্তার ও জায়গা-জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিরোধ চলছিল। জানা যায় শ্রীরামকাঠী ইউনিয়নের জায়নাল খাঁ নামে এক ব্যক্তি ৩৮ শতাংশ জায়গা দলিলমূলে ক্রয় করে আবার ঐ একই জায়াগা রহিম বেপারীও অন্য অংশীদারের কাছ থেকে দলিলমূলে ক্রয় করে। এ নিয়ে দীর্ঘদিন শালিশী বৈঠক হওয়ায় একপর্যায়ে হওয়ায় মিঠুর গ্রুপ জয়নালের পক্ষে পক্ষ নেয় এবং অপর দিকে রহীম বেপারীর পক্ষে ছাত্রলীগের আহ্ববায়ক তরিকুল ইসলাম (তাপস) পক্ষ নেয়। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে তিব্র ক্ষোভ ও চাপা উত্তেজনার সৃষ্টি হলে শনিবার সকাল ১১ টার দিকে মিজানুর রহমান মিঠুর নেতৃত্বে শ্রীরামকাঠী ইউনিয়নের যুবলীগ কর্মীরা নাজিরপুর সদর উপজেলায় আসার পরে তাদের কাজ শেষ করে যাওয়ার পথে চৌঠাইমহল বাসস্টান্ডে উপস্থিত হলে ছাত্রলীগের আহ্ববায়ক তাপসের নেতৃত্বে মিঠুর বহরে অতর্কিত হামলা চালায় এ সময় শ্রমীকলীগের সভাপতি বাপ্পি খানসহ, রাজিব, মধু খান, মিরাজ শেখ, আহত হন। পরবর্তীতে মিঠুর নেতৃত্বে তাদের কর্মী বাহিনী নিয়ে তাপসের লোকজনের উপরে আবার আক্রমন চালায় তখন তাপসের দুই জন ছাত্রলীগ কর্মী সমিরন শিকদারের পুত্র সরন শিকদার ও ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নূরে আলম প্রিয়ংকা গুরুত্বর আহত হয় এরা প্রত্যেকেইনাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন।
উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক তরিকুল ইমলাম চৌধুরী (তাপস) মুঠো ফোনে জানান শ্রীরামাঠীতে জামাত সমর্থীত রাজাকার লোক আঃ জব্বারের নাতী মিজানুর রহমান (মিঠু) ইউনিয়ন যুবলীগের নব্য সভাপতি হয়েজামাতি স্টাইলে সাধারণ মানুষকে নির্যাতন করে। এবং রগ কাটা স্টাইলে চলাফেরা করে। গত বৃহস্পতিবার রাতে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মীদের উপর অতর্কিত হামলা করে এবং তাদেরকে গুরুত্বর জখম করে। এর ই পরিপ্রেক্ষিতে আজকের কোন ঘটনা আমার জানা নাই।
অপর দিকে ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান মিঠু জানান আমরা মন্ত্রী মহোদয়ের বড় ভাই নজরুল ইসলাম বাবুল ভাইয়ের কথা মত নাজিরপুর সদর উপজেলায় তার অফিসে যাই এবং অফিস থেকে ফেরার পথে তাপসের গ্রুপের ছাত্রলীগের কর্মীরা আমাদের উপরে অতর্কিত আক্রমন করে এবং গাড়ি ভাংচুর করে আমাদের অনেক নেতাকর্মী আহত হয়েছে আমি এখন কিছুই বলতে পারব না। পরে জানাব।
নাজিরপুর থানার ওসি তদন্ত মোঃ জাকারিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে এখন পর্যন্ত থানায় কোন পক্ষের কোন অভিযোগ পাওয়া যায় নাই। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।