Inqilab Logo

মঙ্গলবার ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইউক্রেনে সঙ্কটে ইতালিতে মরতে পারে অসংখ্য গরু! কেন জানেন?

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৩ মার্চ, ২০২২, ১০:৪৩ এএম

বাংলায় একটা কথা খুব চালু আছে-- লঙ্কায় রাবণ মরল, বেহুলা কেঁদে আকুল হল! এটা আসলে একটা তির্যক বাক্যপ্রয়োগ। যে ঘটনার প্রভাব যেখানে পড়ার কথা নয়, তেমন কিছু ঘটার আশঙ্কা থাকলে বা ঘটলে ব্যঙ্গ করে এই ধরনের কথা বলা হয়ে থাকে।

এই মুহূর্তে এই কথাটি আপাতভাবে ইতালির পশুপালন সেক্টরের ক্ষেত্রে খেটে যাচ্ছে হয়তো। কেননা, ইউক্রেনে যুদ্ধ লাগায় ইতালিতে মরতে বসেছে গরু! ইতালিতে বহু খামার রয়েছে। সেই সব খামারে দুধ উৎপাদনের লক্ষ্যে বিপুল সংখ্যক গো-পালন করা হয়। এ জন্য সে দেশে গো-খাদ্যের চাহিদাও বিপুল। কিন্তু এই মুহূর্তে সেই দেশে যে পরিমাণ গোখাদ্য আছে তা আগামি ২৫-৩০ দিনের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা সে দেশের খামার পরিচালকদের।

গো-খাদ্য হিসেবে গম ও ভুট্টাই জনপ্রিয় ইতালিতে। ইতালিতে পশুখামার গুলির জন্য মাসে ৯০ লাখ টন ভুট্টা প্রয়োজন হয়। কিন্তু সে দেশে উৎপাদিত হয় ৬০ লাখ টন। বাকিটা আমদানি করতে হয়। যে সব দেশ থেকে এই খাদ্যশস্য আমদানি করতে হয় তার সিংহভাগই আসে ইউক্রেন থেকে। কিন্তু ইউক্রেনে যুদ্ধ লাগায় এখন আর গোখাদ্য আমদানি করা যাচ্ছে না। ফলে খামারগুলিতে গরুগুলি প্রায় স্বল্পাহারেই রয়েছে।

যুদ্ধ চলতে থাকলে এবং তার জেরে বহির্দেশগুলি থেকে ভুট্টাদানা আমদানি না করতে পারলে ইতালির খামারগুলিতে গরুগুলি তীব্র খাদ্যসঙ্কটে পড়বে। এই খাদ্যসঙ্কট মেটাতে গেলে আরও ৩ লাখ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষ করে এই ঘাটতি পুষিয়ে দিতে হবে। কিন্তু সেটা করা রাতারাতি সম্ভব হচ্ছে না। তাই পশুখামার কর্তৃপক্ষেরা সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, যদি এরকমই চলতে থাকে সেক্ষেত্রে অনিচ্ছা সত্ত্বেও তাদের খামারে খাদ্যভাবে অপুষ্টিতে ভোগা রুগ্ন গরুগুলিকে মেরে ফেলতে হবে তাদের। সূত্র: রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইতালি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ