নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
এএইচএফ কাপ হকি টুর্নামেন্টের টানা চতুর্থ শিরোপা জিতল বাংলাদেশ। রোববার ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তার জিবিকে হকি ফিল্ডে টুর্নামেন্টের ফাইনালে ওমানকে পেনাল্টি শুটআউটে ৫-৩ গোলে হারিয়ে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ। নির্ধারিত সময়ের খেলা ১-১ ব্যবধানে ড্র থাকলে পেনাল্টি শুটআউটে ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ হয়। যেখানে পাঁচ হিটের সবগুলোতেই সফল হয় বাংলাদেশ। শুটআউটে ওমান তিন গোল করলে একটিতে ব্যর্থ হয়। তাদের চতুর্থ হিট গোলরক্ষক বিপ্লব কুজুর ফিরিয়ে দিলে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত হয়। ফলে ওমানকে শেষ হিট নিতে হয়নি।
ফাইনালের শুরু থেকেই দু’দল আক্রমণাত্মক হকি খেলে ম্যাচকে উপভোগ্য করে তোলে। প্রথম কোয়ার্টারের শেষ দিকে এসে গোল করে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। সোহানুর রহমান সবুজের দৃষ্টিনন্দন গোলটি বাংলাদেশ শিবিরে আশার আলো জ্বালায় (১-০)। তবে বেশি সময় লিড ধরে রাখতে পারেনি লাল-সবুজরা। ম্যাচের ১৯ মিনিটে আল ফাহাদের গোলে সমতা আনে ওমান (১-১)। সমতায় ফিরে এগিয়ে যাওয়ার জন্য একের পর এক আক্রমণ চালায় ওমান। প্রথম তিন কোয়ার্টারে কোন পেনাল্টি কর্নার (পিসি) না পেলেও ওমান শেষ কোয়ার্টারে এসে পরপর দু’টি পিসি আদায় করে চাপে ফেলে বাংলাদেশকে। কিন্তু পিসি থেকে গোল আদায় করতে পারেনি তারা। সেমিফাইনালে কাজাখস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশ যেভাবে পিসিগুলো কাজে লাগিয়ে বড় ব্যবধানে জিতেছিল, ফাইনালে কিন্তু সেভাবে পিসি আদায় করতে পারেনি। প্রথম কোয়ার্টারে দু’টি ও শেষ কোয়ার্টারে একটি পিসি পেলেও তা ঠিকঠাক কাজে লাগাতে পারেনি লাল-সবুজরা। ম্যাচে সমতা চলাকালে দু’দলই আপ্রাণ চেষ্টা করে দ্বিতীয় গোল পেতে। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে সফল হয়নি কোন পক্ষই। ফলে ১-১ গোলের ড্র’তে শেষ হয় ম্যাচের নির্ধারিত সময়। ফাইনালের ভাগ্য গড়ায় পেনাল্টি শুটআউটে। সেখানে পাঁচ হিটের সবগুলোতেই গোল করে ম্যাচ জিতে টানা চতুর্থবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ।
পেনাল্টি শুটআউটে বাংলাদেশের পক্ষে প্রথম গোল করেন ফরহাদ আহমেদ সিটুল। দ্বিতীয় গোল সোহানুর রহমান সবুজের, তৃতীয় গোল করে রোমান সরকার, চতুর্থ গোল নাইমের এবং জয়সূচক পঞ্চম গোলটি করেন পুস্কর খিসা মিমো। এর আগে বাংলাদেশ গোলরক্ষক বিপ্লব কুজুর ওমানের চতুর্থ হিট বাধা দিতে সমর্থ হলে সামাইয়া মাহমুদ বল বাইরে মারেন। এরপরই মিমোর শেষ হিট বাংলাদেশের জন্য হয়ে উঠে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। মিমো দারুণভাবে গোল করলে ওমানকে আর পঞ্চম হিট নিতে হয়নি। বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত হয় ৫-৩ গোলে। টুর্নামেন্টের গ্রুপ পর্ব থেকে সেমিফাইনাল ও ফাইনাল মিলিয়ে বাংলাদেশ ম্যাচ খেলেছে মোট ছয়টি। যার সবগুলোতেই জিতেছেন রাসেল মাহমুদ জিমি, সারোয়ার হোসেনরা।
এএইচএফ কাপের শেষ চারে উঠেই বাংলাদেশ নিশ্চিত করেছিল আসন্ন এশিয়ান গেমসে খেলা। ফাইনালে উঠে তারা পায় এশিয়া কাপের টিকিট। আর ফাইনাল জিতে টানা চতুর্থ শিরোপা ঠিকই ধরে রাখলো লাল-সবুজরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।