মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ফেব্রুয়ারিতে ভারতের খুচরা মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ৭ শতাংশে পৌঁছেছে। পণ্যের খুচরা দাম বাড়ার এ হার গত আট মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এ নিয়ে টানা দ্বিতীয় মাসের মতো খুচরা মূল্যস্ফীতি ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পূর্বাভাসকে ছাড়িয়ে গেছে। অপরিশোধিত জ্বালানি তেল ও খাদ্যদ্রব্যের বাইরের পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় পাইকারি মূল্যস্ফীতি ১৩ দশমিক ১১ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। খবর দ্য প্রিন্ট। ভারতের জাতীয় পরিসংখ্যান অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্সভিত্তিক খুচরা মূল্যস্ফীতির মূল কারণ হচ্ছে খাদ্যদ্রব্যের অধিক দাম। মুদ্রানীতি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় ভারতের রিজার্ভ ব্যাংক (আরবিআই) এটি আমলে নিয়ে থাকে। খুচরা মূল্যস্ফীতি ৪ শতাংশে রাখতে আরবিআইকে নির্দেশনা দিয়েছে দেশটির সরকার। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে খুচরা মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৫ দশমিক ৩ শতাংশ। যেখানে গত জুনে ছিল ৬ দশমিক ২৬ শতাংশ। সম্প্রতি ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, ফেব্রুয়ারিতে পাইকারি মূল্যসূচক (ডব্লিউপিআই)-ভিত্তিক মূল্যস্ফীতি ১৩ দশমিক ১১ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। খাদ্য উপাদানের দাম কমলেও অপরিশোধিত জ্বালানি তেল ও খাদ্যদ্রব্য বহির্ভূত পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় মূল্যস্ফীতি ঊর্ধ্বমুখী। সিপিআইয়ের দিক থেকে ফেব্রুয়ারিতে খাদ্যদ্রব্যের দাম ৫ দশমিক ৮৯ শতাংশ বেড়েছে। এর আগের মাসে যা ছিল ৫ দশমিক ৪৩ শতাংশ। খাদ্যদ্রব্যের মধ্যে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় গত মাসে সিরিয়ালের দাম ৩ দশমিক ৯৫ শতাংশ, মাছ ও মাংসে ৭ দশমিক ৪৫ এবং ডিমের দাম ৪ দশমিক ১৫ শতাংশ বেড়েছে। অন্যান্য পণ্যের মধ্যে সবজির দাম ৬ দশমিক ১৩ শতাংশ এবং মরিচের দাম ৬ দশমিক ৯ শতাংশ বেড়েছে। ফেব্রুয়ারিতে আগের মাসের তুলনায় ফলের মূল্যস্ফীতি ২ দশমিক ২৬ শতাংশে স্থির ছিল। জ্বালানি খাতের মূল্যস্ফীতি জানুয়ারির ৯ দশমিক ৩২ থেকে ৮ দশমিক ৭৩ শতাংশে নেমে এসেছে। মূল্যস্ফীতির উদ্বেগ ও বৃদ্ধিতে সমর্থনের জন্য ২০২০ সালের মে মাসের পর ভারতের রিজার্ভ ব্যাংক মুদ্রানীতিতে কোনো পরিবর্তন আনেনি। ২০২১ সালের এপ্রিল থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত টানা ১১ মাস পাইকারি মূল্যস্ফীতি দুই অংকের ঘরে ছিল। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে এর হার ছিল ৪ দশমিক ৮৩ শতাংশ। যেখানে ২০২২ সালের জানুয়ারিতে তা বেড়ে ১২ দশমিক ৯৬ শতাংশে পৌঁছে। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসন চালায় রাশিয়া। হামলার পর থেকেই অপরিশোধিত জ্বালানি তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের মূল্য বাড়তে থাকে, যা পাইকারি মূল্যসূচকে প্রভাব ফেলেছে। ব্যাংক অব বারোডা ইকোনমিকস রিসার্চ জানায়, ভূরাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার পাশাপাশি নিত্যপণ্যের চলমান উচ্চমূল্যের কারণে ২০২৩ অর্থবছরে মূল্যস্ফীতির হার ৫ দশমিক ৫ থেকে ৬ শতাংশের মধ্যে থাকবে। এ হার ভারতের রিজার্ভ ব্যাংকের (আরবিআই) ৪ দশমিক ৫ শতাংশ পূর্বানুমানের তুলনায় বেশি। বিশ্বব্যাপী খাদ্যদ্রব্যের দাম আরো বাড়ছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে পাইকারি ও খুচরা মূল্যস্ফীতি এখনো পরিপূর্ণভাবে কার্যকর হয়নি। বিশ্বব্যাপী কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো যখন উচ্চ মূল্যস্ফীতির বিষয়ে তাদের উদ্বেগ বারবার প্রকাশ করছে তখন পরবর্তী নীতিমালা চূড়ান্তকরণের সময় ভারতের রিজার্ভ ব্যাংকে এ নিয়ে ভাবতে হবে বলেও জানানো হয়। ভারতের বিনিয়োগ ব্যাংক আইসিআরএর প্রধান অর্থনীতিবিদ অদিতি নায়ার বলেন, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশ ছাড়িয়ে গেলেও এপ্রিলে আমরা আরো একটি স্থিতাবস্থা আশা করছি। কেননা রাশিয়া-ইউক্রেন চলমান যুদ্ধের ভবিষ্যৎ পরিস্থিতির বিষয়ে আমরা এখনো অজ্ঞ। দ্য প্রিন্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।