Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

‘মুসলিম-শিখরাও গুলিতে প্রাণ দিয়েছিলেন, তাদের কোনও উল্লেখ কেন?’

বিনোদন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৯ মার্চ, ২০২২, ১:১০ পিএম

সারা ভারতে যখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু দ্য কাশ্মীর ফাইলস, তখন ছবিটি নিয়ে নীরবতা ভাঙলেন অধিকৃত কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। ছবির নির্মাতাদের কটাক্ষ করে বললেন, ছবির গল্প সত্য থেকে অনেক দূরে। নির্মাতারা সন্ত্রাসের মোকাবিলা করতে গিয়ে মুসলিম-শিখদের বলিদানকে অস্বীকার করেছে।

ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা তথা সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর বলেছেন, দ্য কাশ্মীর ফাইলস বাণিজ্যিক ছবি। তাতে কারও কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু নির্মাতারা যদি দাবি করেন, এটি সত্য ঘটনা অবলম্বরে তাহলে সেটা ভুল। যখন কাশ্মীরি পণ্ডিতদের সঙ্গে এমন দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটে। ফারুক আবদুল্লা তখন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন না। জগমোহন তখন রাজ্যপাল ছিলেন। কেন্দ্রে ভি পি সিংয়ের সরকার ছিল। যাকে বিজেপি সমর্থন করেছিল। কুলগাম জেলায় সাংবাদিকদের এমন কথা বলেছেন ওমর আবদুল্লা।

ওমর অবাক হয়ে গিয়েছেন, কী করে এত বড় সত্যিটা ছবিতে লুকানো হয়েছে। তার দাবি, ‘সত্যকে লুকাবেন না। এটা ঠিক নয়। যদি কাশ্মীরি পণ্ডিতরা সন্ত্রাসের বলি হন, আমাদের তাতে সমবেদনা রয়েছে। কিন্তু আমাদের ভুললে চলবে না, মুসলিম-শিখরাও বন্দুকের নলের সামনে প্রাণ দিয়েছেন।’

এখনও পণ্ডিতরা ঘরে ফেরেননি। তাই ওমরের আর্জি, এমন একটা পরিবেশ তৈরি করা হোক, যাতে আমরা পণ্ডিতদের ঘরে ফেরাতে পারি। কোনও সাম্প্রদায়িক বিভাজন না করে। কিন্তু আমার মনে হয় না, যারা ছবিটি বানিয়েছেন, তারা চান না পণ্ডিতরা ঘরে ফিরুক। এই ছবির মাধ্যমে তারা চান পণ্ডিতরা কাশ্মীরের বাইরেই থাকুন।

ওমর এদিন আরও বলেছেন, ‘সাধারণ কাশ্মীরিরা ৩২ বছর আগের ঘটনায় আজও খুশি নন। উপত্যকা ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন পণ্ডিতরা, এটা চায়নি কাশ্মীরিরা। বর্তমানে এমন একটা ভাবমূর্তি তৈরি করা হচ্ছে যাতে মনে হয় সব কাশ্মীরিরা সাম্প্রদায়িক। ওরা যেন অন্য সম্প্রদায়ের মানুষকে সহ্য করতে পারেন না। এতে কী সাফল্য পাওয়া যাবে! এতে কি ফেরার রাস্তা আরও সহজ হবে?’

উল্লেখ্য, নিজের মুখ্যমন্ত্রিত্বে ওমর আবদুল্লা একটি কমিশন গঠন করেন যার কাজ ছিল সন্ত্রাসের আধিপত্যের ফলে যা যা হয়েছে তার সত্য উদঘাটন করে ব্যবস্থা নেওয়া। সূত্র: টিওআই।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কাশ্মীর


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ