মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
এক দম্পতি সদ্য একটি পুরোনো ফ্ল্যাট কিনেছেন। সেই ফ্ল্যাটটি সংস্কার করছিলেন তারা। তারা যখন বাথরুমে কাজ করছিলেন তখনই বিস্ময়ে হতবাক হলেন। বাথরুমটির আয়না সরাতেই তারা পেলেন দুটি পুরনো চিঠি। যুক্তরাষ্ট্রের নেব্রাস্কা অঙ্গরাজ্যের কলম্বাস শহরের ঘটনা।
আয়নাটি দেয়ালের সঙ্গে আঁটা ছিল। সেটা সরানোর পরই পাওয়া খামে ভরা একটি কাগজ। সেই কাগজেই লেখা দুটি চিঠি। আয়নার পেছনে কায়দা করে খামটি রাখা ছিল। চিঠি দুটির একটি ১৯৬৭ সালের, আরেকটি ১৯৯৫ সালের। মাসখানেক আগে জোডি ও কেন্ডাল লোসেকা দম্পতি ফ্ল্যাটটি কেনেন। তারা জানান, চিঠি দুটি ফ্ল্যাটের পূর্ববর্তী বাসিন্দাদের রেখে যাওয়া। প্রথম চিঠিটি ৭ জুন ১৯৬৭ সালে লেখা। লেখকের নাম স্যু মার্শাল। তিনি যখন চিঠিটি লিখেন, তখন তার বয়স ছিল আট বছর।
এই চিঠিতে লেখা আছে-- আমি স্যু মার্শাল। আমি এখানে বসবাস করি। যে এই চিঠি খুঁজে পাবে তার জন্য শুভকামনা। মার্শালের চিঠির কাগজের অর্ধেকের বেশি অংশ ফাঁকা ছিল। দ্বিতীয় চিঠিটি ওই অংশেই লেখা। তাতে লেখা হয়, 'আমি টয়লেট সংস্কারের সময় চিঠিটি পেয়েছি। সম্ভবত আপনিও একই কাজ করতে এসে এই চিঠিটি খুঁজে পেয়েছেন।' দ্বিতীয় লেখকের নাম মাইক গোকি। ১৯৯৫ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি যখন চিঠিটি লিখেন, তখন তিনি ২৭ বছরের যুবক।
লোসেকা বলেন, এই চিঠির লেখকদ্বয়কে খুঁজে বের করতে তাদের খুব বেশি বেগ পেতে হয়নি। কারণ, তার স্বামী জোডির সঙ্গে মাইক গোকির বন্ধুত্ব আছে। অন্যদিকে মাইক গোকির স্ত্রীর সৎমায়ের সঙ্গে বন্ধুত্ব আছে আর এক পত্রলেখক স্যু মার্শালের।
ক'দিন আগে (বৃহস্পতিবার) নেব্রাস্কার ওই ফ্ল্যাটে মিলিত হয়েছেন লোসেকা, স্যু মার্শাল ও মাইক গোকি। স্যু মার্শাল নিজের হাতের লেখা চিনতে পেরেছেন। তাঁর ধারণা, বাবা-মায়ের কথা শুনেই তিনি চিঠিটি লিখেছিলেন। লোসেকা বলেন, সংস্কারকাজ শেষ হলে চিঠি দুটি আয়নার পেছনে রেখে দেওয়া হবে। সূত্র: জিনিউজ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।