মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের কলমের খোঁচায় স্থগিত হয়ে গিয়েছে দিল্লির পৌরসভা এলাকাগুলির নির্বাচন। বিষয়টি নিয়ে গত দুদিন চুপচাপ ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। কিন্তু, পাঞ্জাব দখলে আসতেই এ নিয়ে সরব হলেন তিনি!
গত বুধবার দিল্লির তিনটি পুর এলাকায় নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করার কথা ছিল। স্থির করা হয়েছিল, বিকেল পাঁচটার সময় ভোটের দিনক্ষণ প্রকাশ্যে আনা হবে। কিন্তু, তার ঠিক ঘণ্টা খানেক আগেই এই প্রক্রিয়া স্থগিত করে দেওয়া হয়। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার এস কে শ্রীবাস্তব জানান, বিশেষ কারণে এখনই নির্বাচনী তফশিল প্রকাশ করা হচ্ছে না। পরে জানা যায়, কেন্দ্রের নির্দেশেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শ্রীবাস্তব!
সূত্রের দাবি, কেন্দ্রীয় সরকার চাইছে, দিল্লি তিনটি পৌরসভাকে সংযুক্ত করে একটিমাত্র পৌরসভা তৈরি করা হবে। দিল্লিবাসীকে আরও ভালো পরিষেবা দিতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সরকারের দাবি। আর এখানেই প্রশ্ন তুলেছেন কেজরিওয়াল।
শুক্রবার কেজরিওয়াল বলেন, "কেন্দ্রের সরকার ক্ষমতায় এসেছে আট বছর হয়ে গেল। তারা যদি দিল্লির তিনটি পৌরসভাকে সংযুক্ত করতে এতটাই আগ্রহী হয়, তাহলে এত দিন কেন করেনি?" কেজরিওয়ালের যুক্তি, এটা আসলে কেন্দ্রের বাহানা! তিনি বলেন, "অনেক রকম কথা আমার কানে আসছে। অনেকেই বলছেন, কেন্দ্রীয় সরকার আসলে ভয় পেয়েছে। তাদের আশঙ্কা, নির্বাচন হলে আবারও আপ জয়ী হবে। সেই কারণেই একটা অজুহাত খাড়া করে নির্বাচন স্থগিত করে দেওয়া হল।"
বিষয়টি নিয়ে সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হস্তক্ষেপ দাবি করেন কেজরিওয়াল। তিনি বলেন, "মোদীজি, আপনি বিষয়টি দেখুন। মোদী চিরকাল থাকবেন না, কেজরিওয়ালও চিরকাল থাকবেন না। কিন্তু এই দেশ থাকবে। নির্বাচন কমিশন থাকবে। নির্বাচন কমিশনের উপর চাপ দিলে, এই ধরনের সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলি সরকারি সিদ্ধান্তের সামনে মাথা ঝোঁকালে, তা দেশের জন্য ভালো হবে না।"
বিষয়টি নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকেও আক্রমণ করতে ছাড়েননি কেজরিওয়াল। তিনি বলেন, "আমি জানি না, কমিশনারকে কোনও ভয় দেখানো হয়েছে, নাকি অবসরের পর ভালো কিছু পাইয়ে দেওয়ার লোভ দেখানো হয়েছে। কারণ যাই হোক, এই ধরনের ঘটনা কখনও কোনও দেশের জন্যই কাম্য হতে পারে না।" সূত্র: টিওআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।