মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছেন দেশটির বিরোধী শিবিরের রাজনীতিকরা। গতকাল মঙ্গলবার ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি সেক্রেটারিয়টে গিয়ে ইমরানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেন বিরোধী শিবিরের প্রতিনিধিরা। তাতে সামিল ছিলেন রানা সানাউল্লাহ, আয়াজ সাদিক, শাজিয়া মারি, মরিয়ম আওরঙ্গজেবসহ বিরোধী শিবিরের প্রথম সারির নেতা-নেত্রীরা।
এদিন ইসলামাবাদে অ্যাসেম্বলি সেক্রেটারিয়টে নিজের দফতরে অনুপস্থিত ছিলেন স্পিকার আসাদ কায়সর। তার অনুপস্থিতিতেই অনাস্থা প্রস্তাবটি সেক্রেট্যারিয়টে জমা দেয়া হয়। পাকিস্তান পিপলস পার্টি-র নেতা নাভিদ কামার জানিয়েছেন, ১০০-র বেশি সংসদ সদস্যের স্বাক্ষর রয়েছে ওই অনাস্থা প্রস্তাবে। আইন অনুযায়ী, ৬৮ জনের স্বাক্ষর থাকলেই অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে ভোটাভুটি করা যেতে পারে। তাই অন্তত ভোটাভুটি করা সম্ভব হবে বলে আশাবাদী তারা।
কিন্তু অনাস্থা প্রস্তাবের জেরে প্রধানমন্ত্রীকে অপসারণের ক্ষেত্রে অন্তত ১৭২ জন সংসদ সদস্যের ভোট প্রয়োজন। তাতে বিরোধীরা কতটা সফল হবেন, সে নিয়ে সংশয় রয়েছে। তাই বিরোধীদের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন ইমরান খানও। প্রধানমন্ত্রীর দফতরে সাংবাদিক বৈঠকে তিনি জানান, অনাস্থা প্রস্তাব এনে তার কেশাগ্রও স্পর্শ করতে পারবেন না কেউ। বরং তার সরকারের ভিত আরও মজবুত হবে। ইমরানের কথায়, ‘এমনভাবে তাদের হারাব যে, ২০২৮-র আগে ধাক্কা সামলে উঠতে পারবেন না’।
শুধু তাই নয়, তাকে ক্ষমতাচ্য‚ত করার পরিকল্পনায় বিদেশি শক্তির হাত রয়েছে বলেও অভিযোগ করেন ইমরান। তার কথায়, ‘অধিনায়ক কখনও নিজের কৌশল প্রকাশ করে না। আমি নিজের তরফে প্রস্তুতি সেরে রেখেছি’। এর আগে, গত বছর মার্চ মাসে ইমরান নিজেই আস্থাভোটের আর্জি জানিয়েছিলেন। সেবার ১৭৮টি ভোট তার সরকারের পক্ষে যায়।
বিরোধী দল দুটি নথি জমা দিয়েছে। একটি সংবিধানের ৫৪ অনুচ্ছেদের অধীনে জাতীয় পরিষদের অধিবেশন অধিগ্রহণ করার জন্য, কারণ এটি বর্তমানে অধিবেশন চলছে না এবং অন্যটি প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোটের আহŸান জানিয়ে একটি প্রস্তাব।
অনুচ্ছেদ ৫৪ অনুসারে, জাতীয় পরিষদের একটি অধিবেশন অনুরোধ করা যেতে পারে যদি কমপক্ষে ২৫ শতাংশ সদস্য এতে স্বাক্ষর করেন, যার পরে স্পিকারের অধিবেশন আহŸান করার জন্য সর্বাধিক ১৪ দিনের সময় থাকে।
পিপিপির আইনপ্রণেতা নাভিদ কামার ডন ডটকমকে বলেন, রিকুইজিশনে ১৪০ জন এমএনএ-র স্বাক্ষর ছিল।
এদিকে, সংবিধানের ৯৫ অনুচ্ছেদ এবং হাউসের কার্যপ্রণালীর নিয়মে বলা হয়েছে যে, প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে একটি অনাস্থা প্রস্তাবে ভোটাভুটি করতে হলে জাতীয় পরিষদের কমপক্ষে ২০ শতাংশ সদস্যের স্বাক্ষর থাকতে হবে, যার অর্থ কমপক্ষে ৬৮ জন সদস্য।
জাতীয় পরিষদের অধিবেশন চলার পর পদ্ধতির বিধি নির্দেশ করে যে, সচিব একটি অনাস্থা প্রস্তাবের জন্য একটি নোটিশ প্রচার করবেন, যা পরবর্তী কার্যদিবসে স্থানান্তর করা হবে। যেদিন থেকে রেজোলিউশনটি স্থানান্তরিত হয়, নিয়ম অনুসারে এটি ‘তিন দিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে বা সাত দিনের পরে ভোট দেওয়া হবে না’।
অতএব, স্পিকারকে অবশ্যই ২২ মার্চের মধ্যে অধিবেশনে ডাকতে হবে, আর অনাস্থা প্রস্তাবে ভোট নিতে হবে ২৬ মার্চ থেকে ৩০ মার্চের মধ্যে। সূত্র : ডন অনলাইন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।