Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বন সৃষ্টি, রক্ষা ও পরিচর্যায় জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে

আফতাব চৌধুরী | প্রকাশের সময় : ৬ মার্চ, ২০২২, ১২:০৪ এএম

গেল ৭ ফেব্রুয়ারি সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে ‘বাংলাদেশ বন শিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশন আইন ২০২২’ এর খসড়া অনুমোদিত হয়েছে। অনুমোদন পাওয়া আইনে ব্যক্তি মালিকানায় রোপণ করা বড় গাছ কাটতেও সরকারের অনুমতি নেয়ার বিধান করা হয়েছে। সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, এ আইনের মাধ্যমে বনাঞ্চল সংরক্ষণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এমনকি সামাজিক বা ব্যক্তি মালিকানাধীন যেসব গাছ রয়েছে এ গুলোও এ আইনের আওতায় আসবে। তিনি আরো জানান, এ আইন শুধু আমাদের দেশেই নয় প্রায় সব দেশেই বলবত রয়েছে, ‘ব্যক্তি মালিকানায় রোপিত গাছও স্থানীয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কাটা যাবে না’, এ বিধান বনাঞ্চল সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা যায়। এতে আর যাই হোক, ইচ্ছামত গাছ কর্তন কমবে।

আমি ছোটকাল থেকেই বৃক্ষরোপণ, রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচর্যা করে আসছি। আমার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এবং লেখালেখিতে শুধু সিলেট বিভাগ নয়, সারাদেশেই বৃক্ষরোপণ একটা আন্দোলনে রূপ নিয়েছে। ১৯৯৮ সালের ২৪ মার্চ ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানে বৃক্ষরোপণে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে স্বর্ণপদক (১ম) প্রদান করেন। আমি এ জন্য তার কাছে আন্তরিক কৃতজ্ঞ। এ প্রাপ্তিতে আমি আরও উৎসাহিত হয়ে অবিরত বনাঞ্চল সৃষ্টি ও পরিবেশ উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রীর মতো আমারও প্রত্যাশা, এদেশ ফুলে-ফলে ভরপুর হোক, সুন্দর ও সবুজ বনে সমৃদ্ধ হয়ে উঠুক।

জনসংখ্যার চাপে বসতি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে জ্বালানির প্রয়োজন মিটাতে ক্ষুদ্রাকৃতি এ বাংলাদেশের বনাঞ্চল উজাড় হচ্ছে। ক্রমেই সংকুচিত হয়ে আসছে বনভূমির পরিমাণ। অভাব দেখা দিচ্ছে কাঠ, বাঁশ, ফল-মূল এবং ঔষধ-পত্র তৈরির প্রয়োজনীয় বনজ দ্রব্যাদির। এভাবে চলতে থাকলে দেশে বনভূমির পরিমাণ শূন্যের কোঠায় এসে দাঁড়াতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যার পরিণাম হবে ভয়াবহ। মানুষসহ প্রাণীকূল বেঁচে থাকবে না, দেখা দিবে বিপর্যয়, বিধ্বস্ত হবে সভ্যতা, বিপন্ন হবে দেশ ও জাতির অস্তিত্ব।

আমাদের দেশে প্রতি বছর ঢাক-ঢোল বাজিয়ে বৃক্ষরোপণ করা হয় খরচ করা হয় কোটি কোটি টাকা। তবে তার মধ্যে ক’টা গাছের চারা বেঁচে থাকে আর বড় হয় তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। একটু পরীক্ষা, পর্যালোচনা করলে এবং পত্র-পত্রিকার সংবাদাদি নিয়ে গবেষণা করলে সার্বিক হাল অবস্থা সহজেই আঁচ করা যায়। আনুষ্ঠানিকভাবে বৃক্ষরোপণেই শেষ নয় প্রয়োজন যত্ন, পরিচর্যা ও রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা করা। অপ্রিয় হলেও সত্য, আমরা এদিকে খুব কমই দৃষ্টি দান করে থাকি। বনভূমি ধ্বংসের বিপরীতে বনাঞ্চল সৃষ্টির প্রয়াসে যেটুকু করা প্রয়োজন আমরা তা করছি না। প্রয়োজনীয় উৎসাহ-উদ্যোগও পরিলক্ষিত হচ্ছে না। আমি দীর্ঘদিন ধরে বনাঞ্চল সৃষ্টি এবং পরিবেশের উপর গবেষণা ও পর্যালোচনা করে আসছি। ব্যক্তিগত উদ্যোগে দীর্ঘদিন থেকে বিভিন্ন স্থানে বিনামূল্যে গাছের চারা বিতরণ ও রোপন করে তা রক্ষণাবেক্ষণ করে আসছি। আমি বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেছি এবং এ ব্যাপারে যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি তার আলোকে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আমি নিচে কয়েকটি সুচিন্তিত সুপারিশ পেশ করছি। দৃঢ়তার সাথে বলছি, জরুরি ভিত্তিতে এ সুপারিশগুলো বাস্তবায়নে এগিয়ে এলে সবুজের মহাপ্রাচীর বা বনাঞ্চল সৃষ্টি করে দেশ ও জাতিকে মহাবিপর্যয় হতে রক্ষা করা সম্ভব হবে।

সুপারিশমালা:
১) আমাদের দেশে এপ্রিল-মে মাস হতেই বৃষ্টিপাত শুরু হয়। তাই এ সময় হতেই যত বড় আকারে সম্ভব গাছের চারা রোপণ করা উচিত। নিদিষ্ট সময় বেঁধে না দিয়ে পহেলা মে থেকে সারা বর্ষাকাল বৃক্ষ রোপণ মৌসুম হিসাবে গণ্য করে এ সময়ে বৃক্ষচারা রোপণ করতে হবে। তাহলে রোপিত চারা বৃষ্টির মৌসুমে চার/পাঁচ মাসের মধ্যে বড় হয়ে গরু-ছাগলের নাগালের বাইরে চলে যাবে।

২) স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়, মাদরাসা-মসজিদসহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, অফিস-আদালতে, বসতবাড়িতে, রাস্তার পাশে, নদীর তীরে, বেড়ী বাঁধে, উপকূল বেষ্টনীতে বাধ্যতামূলকভাবে ফলজ ও বনজ গাছের চারা রোপণ করার ব্যবস্থা করতে হবে। রোপণকৃত এসব গাছের চারা দেখাশুনা, রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচর্যার দায়-দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট মহলসমূহের উপর ন্যস্ত করতে হবে। পরিচর্যা, রক্ষণাবেক্ষণে ব্যর্থতার জন্য জবাবদিহির ব্যবস্থা থাকতে হবে। সরকারি খাস জমি, টিলা বা মহালসমূহ, পতিত জমি এবং চা বাগানসমূহের অনাবাদী জমিতে বনাঞ্চল সৃষ্টির দায়িত্ব বন বিভাগের উপর ন্যস্ত করতে হবে। বনাঞ্চল সৃষ্টির জন্য এ জমি লভ্যাংশের ভিত্তিতে দীর্ঘমেয়াদী লিজও দেয়া যেতে পারে।

৩) শহরে বাসা-বাড়ির আঙ্গিনা ও গ্রামাঞ্চলে গাছের চারা রোপণ ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সকল শ্রেণীর মানুষকে উৎসাহিত ও অনুপ্রাণিত করতে হবে এবং মওসুমের শুরু হতে সরকারি নার্সারি থেকে বড় আকারের পর্যাপ্ত গাছের চারা স্বল্পমূল্যে সরবরাহ করার ব্যবস্থা করতে হবে। কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকা, এরপর সকল বিভাগ, জেলা ও থানা পর্যায়ে নার্সারি প্রতিষ্ঠা করে পর্যাপ্ত বৃক্ষচারা মজুদ রাখতে হবে, যাতে সাধারণ ক্রেতারা তা সহজেই স^ল্পমূল্যে সংগ্রহ করতে পারে।

৪) বৃক্ষচারা রক্ষণাবেক্ষণে কড়া নজর রাখতে হবে এবং বিভাগীয় প্রধান ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় হতে কম করে হলেও মাসে একবার রোপিত বৃক্ষচারা পরিদর্শনের ব্যবস্থা করতে হবে। জেলা, বিভাগ ও জাতীয পর্যায়ে ‘ভিজিলেন্স টিম’ থাকতে হবে, যাতে রোপিত চারা রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচর্যা হচ্ছে কি না তা তদারকি ও সংশ্লিষ্ট মহলকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়া সম্ভব হয়। রোপিত বৃক্ষের চারা রক্ষণাবেক্ষণে বা পরিচর্যায় কোন প্রকার গাফিলতি বা আন্তরিকতার অভাব পরিলক্ষিত হলে অথবা অযত্ন অবহেলায় গাছের চারা নষ্ট হলে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

৫) দেশে কর্মরত সকল এনজিওকে (বেসরকারি সংস্থা) প্রতি বছর তাদের কর্ম এলাকায় যে কোন স্থানে ২-৫ কিলোমিটার রাস্তায় বাধ্যতামূলক বৃক্ষচারা রোপণ কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে। রোপিত চারা পরিচর্যা ও রক্ষণাবেক্ষণ এর দায়িত্বও তাদের উপরই ন্যস্ত থাকতে হবে।

৬) অংশীদারীত্বের ভিত্তিতে সামাজিক বনায়ন কর্মসূচিকে জোরদার করতে হবে। প্রয়োজনে ক্ষুদ্রাকারে ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থাও করা যেতে পারে।

৭) তিন থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত স্থানভেদে গাছ ও বাঁশ কাটা বন্ধ রাখতে হবে। অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় ও বিলাস দ্রব্যাদির মতো প্রতিবেশী দেশসমূহ হতে প্রয়োজনীয় কাঠ আমদানি করার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। মালয়েশিয়া ও জাপানের মতো উন্নত দেশও তাদের বনাঞ্চল ভবিষ্যতের জন্য সংরক্ষণ করতে বিদেশ থেকে কাঠ আমদানি করে থাকে। প্রতিবেশী দেশ ভারতও প্রচুর কাঠ বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করে থাকে। অথচ, সে দেশে বনভূমির অভাব নেই।

৮) স্কুল-কলেজ-মাদরাসা এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়সহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বৃক্ষরোপণ, রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচর্যাকে পাঠ্য বইয়ের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। ছুটির দিন শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীরা বৃক্ষরোপণ, পরিচর্যা ও রক্ষণাবেক্ষণে উদ্বুদ্ধকরণ কাজে সহায়তা করতে পারেন। মাঝে মধ্যে অফিস-আদালত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও মাঠ পর্যায়ে এমনকি হাট-বাজারসমূহে সেমিনার ইত্যাদির ব্যবস্থা করতে হবে, সবাইকে বুঝাতে হবে বৃক্ষ নিধন এবং বনভূমি উজাড়ের পরিণাম কত ভয়াবহ হতে পারে।

৯) মসজিদের ইমাম সাহেবগণ প্রতি শুক্রবার জু’মার নামাজের সময় এবং অন্যান্য ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদিতে গাছপালা বা বনভূমির প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্বারোপ করে কথা বলতে পারেন, যা অত্যন্ত ফলপ্রসূ পদক্ষেপ হবে। কারণ, আমাদের দেশে সাধারণ মানুষ এখনো ইমামগণকে শ্রদ্ধার সাথে দেখে, সম্মান করে এবং মনোযোগ সহকারে তাদের কথা শোনে। এ ব্যাপারে ইসলামিক ফাউন্ডেশনও বিশেষ ভূমিকা পালন করতে পারে। অবশ্য এ জন্য ইমাম প্রশিক্ষণকেন্দ্রে বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

১০) ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বার এবং অন্যান্য সকল সার্ভিস ক্লাব ও সমাজ উন্নয়নমূলক সংগঠনকে বৃক্ষরোপণ, রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচর্যায় সক্রিয় করে তোলার ব্যবস্থা করতে হবে।

১১) দেশের প্রচার মাধ্যমগুলোতে বিশেষ করে পত্রপত্রিকা, বেতার-টেলিভিশনে বৃক্ষরোপণ, রক্ষণাবেক্ষণ, পরিচর্যা ও প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার সপক্ষে জোর প্রচারণা চালাতে হবে এবং বৃক্ষনিধনকারীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

১২) সমাজসেবা অধিদপ্তরে নিবন্ধনকৃত সকল ক্লাব ও সংগঠনকে বাধ্যতামূলকভাবে বৃক্ষরোপণ ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজে নিয়োজিত করতে হবে। এসব ক্লাবকে নিবন্ধন ও অনুদান দেয়ার সময় বৃক্ষ রোপণের শর্ত আরোপ করা যায়। সমাজসেবা অধিদপ্তরের আওতাভুক্ত ক্লাব, সমিতি, প্রতিষ্ঠানসমূহ, মহল্লায় মহল্লায়, পাড়ায় পাড়ায় তরুণ ও যুবকদের সংগঠিত করে বৃক্ষরোপণ, পরিচর্যা ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নিয়োজিত করতে পারে। জনস্বার্থে তরুণদের এ কাজে স¤পৃক্ত করা গেলে সমাজের বহু সমস্যার সমাধানও হবে। শিক্ষিত বেকার যুবকদের নার্সারি ব্যবসা এবং বৃক্ষরোপণের ব্যাপারে আগ্রহী করে তুলতে হবে।

১৩) প্রতি জেলা, বিভাগীয় শহর এবং থানা পর্যায়ে মওসুমের শুরুতে বৃক্ষমেলার আয়োজন করতে হবে এবং মেলা হতে সাধারণ মানুষ যাতে স^ল্পমূল্যে বৃক্ষচারা সংগ্রহ করতে পারে তার ব্যবস্থা করতে হবে।

১৪) পৌরসভা, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ, ইউনিয়ন পরিষদ, আয়কর বিভাগ প্রভৃতি সংস্থা জনগণ হতে রাজস^ সংগ্রহ করে। এ ক্ষেত্রে একটি নিয়মনীতি প্রণয়ন করা যেতে পারে। যেমন, একটি বাড়িতে কটি গাছ আছে, তা রক্ষণাবেক্ষণ করা হচ্ছে কি না। তার প্রজাতি ও সংখ্যা অনুপাতে কর রিবেট দেয়া যেতে পারে। এতে করে জনগণ স^তঃস্ফূর্তভাবে বৃক্ষরোপণ ও পরিচর্যায় উৎসাহিত হবে।

১৫) দেশের সকল প্রান্ত বিশেষ করে সিলেট, ঢাকা, চট্টগ্রামের বিভিন্ন জেলা, খুলনা, বরিশাল, গাজীপুর, শেরপুর, ময়মনসিংহসহ সকল জেলা হতে অবৈধ করাতকল উচ্ছেদ করতে হবে। নতুন করাতকলের লাইসেন্স প্রদানে কড়াকড়ি আরোপ এবং ক্ষেত্র বিশেষে করাতকলের লাইসেন্স প্রদান নিষিদ্ধ করতে হবে। জরুরিভিত্তিতে ২০১২ সালের করাতকল বিধিমালা সংশোধন করতে হবে।

১৬) নগর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বাড়ির প্ল্যান পাশ করার সময় প্রতি বাড়িতে জায়গার অনুপাতে বিভিন্ন ফলজ ও ঔষধি গাছ রোপণ করার ব্যাপারে পরামর্শ দিতে পারেন। এতে লোকজন উৎসাহী হবে।

১৭) জাতীয়ভাবে ছাড়াও বিভাগীয় পর্যায়ে বৃক্ষরোপণ, রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচর্যায় ১ম, ২য় ও ৩য় স্থান অধিকারীকে পুরস্কৃত করতে পারলে লোকজন আরো উৎসাহী ও অনুপ্রাণীত হবে।

১৮) ‘একটি গাছ কাটার আগে তিনটি গাছ রোপণ করি,’ তার মধ্যে ১টি ফলজ, ১টি ঔষধি ও ১টি বনজÑ এ শ্লোগানে সমাজের সকল স্তরের মানুষকেও উদ্বুদ্ধ করতে হবে।

১৯) দেশের বন বিভাগে বিশেষ করে সিলেট বিভাগে লোকবলের প্রচুর অভাব রয়েছে। কাজের গতি সম্প্রসারণ, নার্সারি সৃষ্টি এবং বন সংরক্ষণে আরও লোকবলের প্রয়োজন। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
নিশ্চিত করে বলা যায়, বর্ণিত সুপারিশমালা বাস্তবায়িত করতে পারলে বনাঞ্চল সৃষ্টি করে দেশ ও জাতিকে মহা বিপর্যয় বা ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করা সম্ভব হবে, সমৃদ্ধ হবে দেশ ও জাতি। পরিবেশ থাকবে সুস্থ, সুন্দর, সবল। প্রাণীকূলের বসবাস উপযোগী বনাঞ্চল সৃষ্টির প্রয়াসে এবং পরিবেশের উন্নয়নে সকলকে অবশ্যই আন্তরিক ও উদ্যোগী হতে হবে, তাহলে সফলতা আসবেই।
লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট। বৃক্ষরোপণে জাতীয় পুরস্কার (স্বর্ণপদক ১ম) ১৯৯৮ প্রাপ্ত।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন