পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট থেকে চান্দিনা এবং গৌরীপুর থেকে সৈয়দপুর পর্যন্ত অন্তত ৩৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। গতকাল শুক্রবার সকালে ইলিয়টগঞ্জ ময়নামতি হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বেলাল উদ্দিন জাহাঙ্গীর জানান, লরি দুর্ঘটনায় কারণে সড়কে যানবাহন ধীরে চলছে। যার কারণে যানজট বেড়ে কুমিল্লার চান্দিনা থেকে দাউদকান্দি টোল প্লাজা পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে।
কুমিল্লা থেকে ঢাকা যাচ্ছেন বেলাল আহমেদ জানান, চাঁদপুর থেকে সকাল ৬টায় রওনা দেন। কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টে এসে গাড়ি থেমে যায়। বেলা ১১টায় তিনি চান্দিনার সদরে পৌঁছেছেন। শিক্ষক কাউসার নাহিদ বলেন, গুরুত্বপূর্ণ কাজে জুমার নামাজের আগে ঢাকা যেতে হবে। যানজটে যাওয়া হলো না। এখন বাড়ি ফিরে যাবো। গৌরীপুর থেকে কুমিল্লা আসা যাত্রী মাসুদ সানভী বলেন, সকাল ৮টায় বাড়ি থেকে রওনা দিয়েছি। বাসে বসেই আছি গাড়ি কোনো দিকে যায় না। সাড়ে জ্যামে সব আটকে আছে। দাউদকান্দি হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহুরুল হক জানান, দুর্ঘটনাকবলিত লরি উদ্ধারের কারণে জ্যাম লেগেছে। যানজট কমিয়ে আনার বিষয়ে পুলিশ কাজ করছে।
এদিকে দিনভর যানজটের পর অবশেষে স্বাভাবিক হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক। গতকাল শুক্রবার ভোর থেকে কুমিল্লা অংশের বিভিন্ন পয়েন্টে অধিক যানজট ছিল। এতে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। অনেকে গন্তব্যে না গিয়ে ফিরে আসে। মোহাম্মদ রিফাতউল্লাহ নামে এক যাত্রী বলেন, প্রায় আট ঘণ্টা পর ঢাকা থেকে কুমিল্লা এসেছি। বর্তমানে যানজট কমেছে। সড়কের দুই পাশে অসংখ্য মানুষকে হাঁটতে দেখেছি। বাদশা নাম আরেক যাত্রী বলেন, আমি চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় আসার সময় এই যানজটে ছিলাম। পরে প্রায় আট ঘণ্টা ভোগান্তির পর গন্তব্যে পৌঁছতে পেরেছি।
কুমিল্লার ময়নামতি হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বেলাল উদ্দীন জাহাঙ্গীর বলেন, যান চলাচল দুপুরে কিছুটা স্বাভাবিক ছিল। তবে বিকেল ৪টার পর সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হয়। আমাদের হাইওয়ে পুলিশের পুরো টিম দিনভর রাস্তায় ছিল।
এদিকে গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, দৌলতদিয়া পাটুরিয়া নৌরুটে দৌলতদিয়া প্রান্তে পন্যবাহী ট্রাকের দীর্ঘ সারি। ফেরির নাগাল পেতে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষায় রয়েছে মহাসড়কে।
গতকাল ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, দৌলতদিয়া জিরো পয়েন্ট হতে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে গোয়ালন্দ পদ্মার মোড় পর্যন্ত প্রায় ৭ কিলোমিটার জুড়ে পন্যবাহী ট্রাকের দীর্ঘ সারি। ঘণ্টার পর ঘণ্টা লম্বা সারিতে আটকে থেকে তাদের খাবার গোসল ও রৌদের পুড়ে চরম ভৌগান্তিতে পড়ছে চালক ও সহকারীরা। দীর্ঘ সময় মহাসড়কে আটকে থাকার কারণে মাঝে মধ্যেই ঘটছে ছিনতাইয়ের মত ঘটনা। পন্যবাহী ট্রাকগুলো যদি সময় মত ফেরিতে উঠতে পারে তা হলে সময় মত পণ্য নিয়ে নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছতে পারবে না।
ট্রাক চালক খোকন বলেন, কাল রাত ১টার দিকে ট্রাক নিয়ে দৌলতদিয়া ঘাটে এসেছি। এখন বেলা ২টা বাজে। ফেরির দেখা এখনো পেলাম না। কখন ফেরির দেখা মিলবে বলতে পারছি না। তিনি আরও বলেন, ঘাটে ফেরি বাড়াতে হবে। তা না হলে এই ঘাটে দিনের পর দিনে যানবাহনের যানজট লেগেই থাকবে।
আরেক ট্রাক চালক বাদশা বলেন, আমি মাগুরা থেকে ট্রাকে কুচি লোড করে সকাল ৮দিকে এসে ফায়ার সার্ভিসের সামনে এসে দীর্ঘ যানজটে আটকে পড়ি। এখন বেলা ৩টা বাজে কখন যে ফেরির নাগাল পাবো বলতে পারছি না। ভাই সাংবাদিক সাহেব আমাদের দুরদশার কথা পেপারে লিখে লাভ কি কিছুই হবে না। বিআইডাব্লিউটিসির ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক মো. সিহাব উদ্দিন বলেন, এই নৌরুটে ছোট বড় মিলে ১৯টি ফেরি চলাচল করছে। তবে অগ্রধিকারেরভিত্তিতে কাচাঁমাল ভর্তি ট্রাক ও পরিবহনগুলো পারাপার করা হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।