Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

স্বামীর পরকীয়ার জের: স্ত্রীকে খুন করে লাশ টয়লেটে রেখে ৯৯৯ এ ফোন

উখিয়ায় মহিলা এনজিও কর্মী হত্যা রহস্য

কক্সবাজার ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৩ মার্চ, ২০২২, ৯:১১ পিএম

পরকীয়ায় আসক্ত হয়ে স্ত্রীকে ঠান্ডা মাথায় খুনের পর লাশ টয়লেটে রেখে ৯৯৯ এ ফোন করেন স্বামী। পুলিশ বলছে মূলত নিজের অপরাধ আড়াল করতেই জাতীয় জরুরি সেবার আশ্রয় নেন স্বামী বিল্লাল হোসেন (২৪)। তবে শেষ রক্ষা হয়নি খুনির। পুলিশের জেরার মুখে খুনের দায় স্বীকার করে নির্মম এ খুনের বর্ণনাও দিয়েছেন তিনি।

বুধবার (২ ফেব্রুয়ারী) রাতে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের জামতলী এলাকার একটি বাসা থেকে এনজিও কর্মী ফাতেমা খাতুন এর লাশ উদ্ধার করে উখিয়া থানা পুলিশ।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নিহতের স্বামী বিল্লাল পুলিশকে জানায়, ২০২০ সালের ডিসেম্বরে ভালোবেসে বিয়ে করেন তারা দুজন। বছর আগে পাতেমার সাথে তার বিয়ে হয়। দুজনেই পেশায় নার্স এবং এনজিও সংস্থা এম.এস.এফ উখিয়া হাসপাতাল চাকরি করেন।

স্বামী-স্ত্রী দুজনই পালংখালী ইউনিয়নের জামতলী এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছিলেন। চাকুরী করার মধ্যে দিয়ে পরকীয়া সম্পর্কের কারণে অবিশ্বাস শুরু হয় দুই জনের মাঝে। এই অবিশ্বাসের কারণে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ দেখা দেয়। পারিবারিক কলহের জের ধরে স্বামী বিল্লাল হোসেন তার স্ত্রী ফাতেমা খাতুনকে গলাটিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ বাথরুমে রশি দিয়ে ঝুলিয়ে রাখে৷

বৃহস্পতিবার আদালতে ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারার দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেয় বিল্লাল৷

জানা গেছে, জামালপুরের ঘোড়ধাপ গ্রামের আলাল উদ্দিনের মেয়ে ফাতেমা খাতুন (২৩) এবং টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল উপজেলার জোড়দিঘী গ্রামের নান্নু মিয়ার ছেলে বিল্লাল হোসেন (২৪)৷

পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম.গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেন, আমার ইউনিয়নে এমন ঘটনা খুব দুঃখজনক। তিনি বলেন, স্বামী বিল্লাল হোসেন ও স্ত্রী ফাতেমা খাতুনে মতো শতশত এনজিও কর্মী তার ইউনিয়নে বাসা ভাড়া থাকছে। স্থানীয়দের ছাড়াই করে উত্তরবঙ্গ থেকে লোক এনে এখানে চাকরি করাচ্ছে একটি মহল। মোটা অংকের বেতন পাওয়াতে তারা বিভিন্ন অপকর্ম জরিয়ে পড়ছে এনজিও কর্মীরা। ফলে এমন ঘটনা হচ্ছে।

উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহমেদ সঞ্জুর মোরশেদ বলেন, রাত আনুমানিক ১২ টায় স্বামী বিল্লাল হোসেন ও স্ত্রী ফাতেমা খাতুনে মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। ঝগড়ার একপর্যায়ে স্ত্রীকে ঠান্ডা মাথায় খুন করার পর বিল্লাল হোসেন ৯৯৯ এ ফোন করে তার স্ত্রী আত্মহত্যা করেছে বলে পুলিশের সাহায্য চান। পুলিশ দ্রুত তার বাসায় গিয়ে ফাতেমা খাতুন দেখতে পায় টয়লেটে।

পরে পুলিশ গিয়ে ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে এবং বিল্লাল হোসেন পুলিশ হেফাজতে নিয়ে আসে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর স্বীকার করেন পরকীয়ায় আসক্ত হয়ে স্ত্রীকে খুন করে৷
এ ঘটনায় গৃহবধূর বাবা আলাল উদ্দিন বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে বলেও জানান তিনি৷



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কক্সবাজার


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ