গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
রাজধানীর ডেমরায় পুলিশ কর্মকর্তার বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। গত রোববার গভীর রাতে সশস্ত্র ডাকাত বালুরমাঠের ছোট পাইটি এলাকায় যাত্রাবাড়ী থানার এসআই আজিজুল হক সুমনের বাড়িতে সশস্ত্র হামলা চালায়। ডাকাত দল বাড়ির কেঁচি গেট ভেঙ্গে ফেলে ভিতরে প্রবেশ করে। এরপর বাড়ির কাঠের দরজা শাবল দিয়ে আঘাত করে ভেঙে চুরমার করে। এসময় পুলিশ কর্মকর্তা ও তার স্ত্রী এবং পুলিশ কর্মকর্তার আত্মীয় আরেকজন পুলিশ কনস্টেবল চিৎকার করলেও আশেপাশের কোনো ব্যক্তি এগিয়ে আসেনি। প্রায় ৪০ মিনিট ধরে ডাকাত দল বাসার ভিতর অবস্থান করে পরিবারের সবার হাত-পা বেঁধে ফেলে। ডাকাতরা প্রায় ৮ ভরির স্বর্ণালঙ্কার, ১ টি ঘড়ি এবং ৫০ হাজার টাকা লুট করে চলে যায়। এ ঘটনায় এসআই আজিজুল হকের স্ত্রী ফারজানা আফরোজ বাদী হয়ে ডেমরা থানায় একটি ডাকাতির মামলা করেছেন।
ঘটনার পর ডেমরা থানার ওসি নাসির উদ্দিন বলেন, একজন পুলিশ কর্মকর্তার বাসায় ডাকাতির ঘটনাটি আমরা গুরুত্বের সাথে তদন্ত করছি। আপাতত মনে হচ্ছে যে এটি ডাকাতি। তবে এর পেছনে অন্য কোনো ঘটনা জড়িত আছে কি না-তা তদন্ত করছি। এসআই আজিজুল হক সুমন যাত্রাবাড়ী থানায় কর্মরত। স্ত্রী ও এক ছেলেকে নিয়ে ওই বাড়িতে বসবাস। কয়েকদিন আগে তার বাসায় শাশুড়ি, স্ত্রীর বড় বোনের মেয়ে পুষ্পিতা ও তার স্বামী কনষ্টেবল রাজু আহমেদ বেড়াতে আসেন। রাজু আহমেদ টুরিষ্ট পুলিশে কর্মরত।
ডেমরা থানায় দায়ের করা মামলায় বলা হয়, রাত ৩ টার দিকে একদল ডাকাত বাসায় কেঁচি গেট ভেঙ্গে ফেলে। তারা শাবল দিয়ে বাসার কাঠের দরজা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে। ডাকাতদের হাতে ছিল ছুরি, চাপাতি, লোহার রড ও শাবল। সবাই ছিল মুখোশ পরিহিত। তারা এসআই আজিজুলের গলায় ছুরি ঠেকিয়ে তাকেসহ স্ত্রী, শাশুড়ি, ভাগ্নি, ভাগ্নির স্বামী এবং তাদের সন্তান শাহরিয়ার অর্নবের (১৫) হাত-পা বেঁধে ফেলে। এসময় কনস্টেবল রাজু আহম্মেদ চিৎকার করলে, ডাকাতরা তাকে চড়-থাপ্পড় মেরে আহত করে ফেলে। ডাকাতদল ফারজানা আফরোজের গলার স্বর্ণের চেইন, হাতের আংটি, স্বর্ণের চুড়ি, কানের দুল টেনে ছিঁড়ে নেয়। পরে আফরোজা মায়ের শরীর থেকে স্বর্ণালঙ্কারগুলো একইভাবে ছিনিয়ে নেয়। সব মিলিয়ে তারা ৮ ভরির স্বর্ণালঙ্কার, ১ টি হাত ঘড়ি এবং ৫০ হাজার টাকা লুট করে। ডাকাতরা চলে যাওয়ার পর তারা চিৎকার করলে, আশেপাশের লোকজন পুলিশের খবর দেয়। এরপর আশেপাশের লোকজন গিয়ে তাদের হাত-পায়ের বাঁধন খুলে উদ্ধার করে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।