পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নতুন গঠিত নির্বাচন কমিশন নিয়ে বিএনপির কোন আগ্রহ নেই বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ যেসব নির্বাচন কমিশনারকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে এরা প্রত্যেকেই গত দশ বছরে এই সরকারে সুবিধাভোগী বলে মনে করেন দলটির নেতারা। সুতরাং এই সরকারের সুবিধাভোগীদের দিয়ে কমিশন করলে আগে যা ছিলো তাই হবে। তাই নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া এদেশে কোন সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় বলেও মনে করেন তারা।
গতকাল শনিবার নতুন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ প্রদান করে প্রজ্ঞান জারির পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি নেতারা এসব কথা বলেন।
সাবেক সিনিয়র সচিব কাজী হাবিবুল আউয়ালকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার, সাবেক সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর, আনিছুর রহমান, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ বেগম রাশিদা সুলতানা এবং অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবীবকে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা আগেও বলেছি এখনও পরিষ্কার করে বলছি, শুধু নির্বাচন কমিশন নয় আওয়ামী লীগ যা কিছু করবে সব তাদের নিজেদের লোকদের দিয়ে করবে। সুতরাং প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার আমাদের কাছে অর্থবহ নয়, তাই নির্বাচন কমিশন নিয়ে আমাদের কোনো আগ্রহ নেই।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে তাঁর দলের কোন আগ্রহ নেই। তাঁদের কাছে এটি কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়। আওয়ামীলীগ সরকারের অধীনে কোন কমিশন কাজ করতে পারবে না। এটা জাতীয় ও স্থানীয় সরকারের সব নির্বাচনে প্রমাণ হয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাদের বক্তব্য স্পষ্ট, সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন করতে হবে। ওই সরকার নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন। তার অধীনে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হলে তাতে আমরাসহ সব দল অংশ নেবে।
নতুন নির্বাচন কমিশনের সদস্যরা এ সরকারের আমলে গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করেছেন বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সর্বক্ষেত্রে দলীয়করণ হয়েছে। প্রশাসনের সর্বত্র সরকারের লোকজন। যারা নিয়োগ পেয়েছেন তাঁরা সরকারের সুবিধাভোগী। সরকার তাদের গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ দিয়েছিলেন। অনুগত বলেই তাদের নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠনে সরকার যে নাটক করেছে যার শেষ ধাপ ছিল আজ। ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে নিজেদের পছন্দের ব্যক্তিদের দিয়ে সার্চ কমিটি গঠন করা হয়েছে। সার্চ কমিটি সরকারের তালিকা অনুযায়ী লোকদের নাম প্রেসিডেন্টের কাছে জমা দিয়েছেন। প্রেসিডেন্টও সরকারের দেওয়া পাঁচজনের তালিকা প্রকাশ করেছেন। এটা পুরোটাই নাটক।
নতুন এই ইসির মাধ্যমেও দেশে ভোটের কোন পরিবর্তন হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। তিনি বলেন, আমরা প্রথম থেকেই দাবি করে আসছি এই সরকারের অধীনে যে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হোক না কেন তারা কোন নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে পারবে না। আর এই সরকার এবং এই সরকারের অধীনে কোন নির্বাচন কমিশনই আমরা মানি না। এই দাবিতে আমরা এখনো অনড় আছি। কারণ এই সরকারের অধীনে কোন অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।