পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনার নতুন ধরন ওমিক্রণ বিস্তাররোধে সরকারের বিধি-নিষেধ আরোপের ফলে সারাদেশে সভা-সমাবেশ স্থগিত করেছিল বিএনপি। তার আগে দলটির কর্মসূচিতে স্বত:স্ফূর্ত অংশগ্রহণ ও বাধা উপেক্ষা করে সফল করায় উজ্জীবিত ছিলেন নেতাকর্মীরা। বিধি-নিষেধ উঠে যাওয়ার পর ফের নতুন করে রাজপথে নামছে রাজপথের প্রধান বিরোধী দলটি। এজন্য দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে আগামীকাল থেকে ১১ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল বৃহস্পতিবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে কর্মসূচি ঘোষণা করে এসব কর্মসূচিতে দেশবাসীকে অংশগ্রহণেরও আহবান জানান তিনি।
ঘোষিত কর্মসূচি মধ্যে রয়েছে- আগামীকাল ২৬ ফেব্রæয়ারি ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশ। ২৮ ফেব্রæয়ারি বিভাগীয় সদর/মহানগরে, ২ মার্চ জেলা পর্যায়ে, ৫ মার্চ উপজেলা পর্যায়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করবে বিএনপি। ৬ মার্চ ছাত্রদল, ৮ মার্চ যুবদল, ৯ মার্চ স্বেচ্ছাসেবক দল, ১০ মার্চ কৃষক দল, ১৪ মার্চ মহিলা দল ও ১৫ মার্চ তাঁতী দলের উদ্যোগে সারাদেশে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। ১২ মার্চ বিএনপির উদ্যোগে সারা দেশে ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে হাট-বাজারে হাট সভা/পথ সভা ও লিফলেট বিতরণ করা হবে।
কর্মসূচি ঘোষণার পর মির্জা ফখরুল বলেন, প্রকৃতপক্ষে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য চাল-ডাল-তেলসহ পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্য লাগামহীনভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে এতে করে বাংলাদেশের মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন আর্থিক দিক থেকে এবং তাদের প্রকৃত আয় অনেক কমে গেছে। বেশির ভাগ মানুষের একটা অংশ তারা বলতে পারে না যে, তারা মধ্যবিত্ত থেকে নি¤œবিত্তে চলে গেছে এবং কিছু মানুষ মধ্যবিত্তে চলে আসছে। এটাই বাস্তবতা। এজন্য আমরা দ্রব্যমূল্যের উর্ধবগতির প্রতিবাদে ও উপজেলা পর্যায়ে ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রির দাবিতে কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এসব কর্মসূচিতে দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ অংশ নেবেন।
তিনি বলেন, আমরা মাঠ পর্যায়ে এসব কর্মসূচি নিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে দেশবাসীকে সম্পৃক্ত করতে যাচ্ছি। আমরা এই সংবাদ সম্মেলনে মাধ্যমে দেশবাসীকে আহবান জানাচ্ছি তাদের প্রয়োজনে এসব কর্মসূচি যোগ দিন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই সরকারের কোথাও কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। তাদের যেমন বাজারের ওপর নিয়ন্ত্রণ নেই। একইভাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ নেই, উৎপাদনের ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ নেই। দুর্নীতির কারণে এমন একটা পর্যায় চলে গেছে যে, প্রতিটি ক্ষেত্রে ২০-২৮ ভাগ জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাচ্ছে। বাজারের ক্ষেত্রে সিন্ডিকেটগুলো তৈরি করা হয়েছে তারা কৃত্রিমভাবে জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। এই সরকারের আমলে কোথাও কোনো জবাবদিহিতা নেই। সরকার চরম দুর্নীতির যে অ্যাফেক্ট, তার প্রভাব বাজারে গিয়ে পড়ছে এবং জনগনকে তার মাসুল দিতে হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে দলের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সহ-দফতর সম্পাদক বেলাল আহমেদ, চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের শায়রুল কবির খান ও শামসুদ্দিন দিদার উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।