গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানের কোনো খোঁজ পাচ্ছে না পুলিশ। গত আড়াই মাস ধরে তিনি তার ধানমন্ডির বাসায় ফেরেননি।
নির্যাতন ও হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ তুলে গত ৬ জানুয়ারি মুরাদের স্ত্রী ডা. জাহানারা এহসান ধানমন্ডি থানায় একটি সাধারণ ডাইরি করেন। ঠিক ওইদিন থেকেই ডা. মুরাদ আর বাসায় ফেরেননি। আর তাই মুরাদের সঙ্গে কথা না বলে জিডির প্রতিবেদনও দিতে পারছেন না তদন্ত কর্মকর্তা।
ধানমন্ডি থানা সূত্রে জানা যায়, ডা. মুরাদের বিরুদ্ধে তার স্ত্রী জিডি করলে ৯ জানুয়ারি পুলিশকে বিষয়টি তদন্তের অনুমতি দেন আদালত। এরপর থেকে একাধিকবার মুরাদের স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন তদন্ত কর্মকর্তা। এক পর্যায়ে জিডির তদন্ত স্বার্থে ডা. মুরাদকে খুঁজতে থাকে পুলিশ। কিন্তু গত আড়াই মাসে তার কোনো হদিস নেই।
আরও জানা যায়, গত আড়াই মাসে ডা. মুরাদের ধানমন্ডির বাসায় একাধিকবার তার খোঁজে যায় পুলিশ। বাসার লোকজন জানায়, সে (মুরাদ) এখনো বাসায় ফেরেননি। মোবাইলে একাধিকবার ফোন করলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। এমনকি ডা. মুরাদের ফোনে এসএমএস দিয়েও তার কোনো উত্তর পায়নি পুলিশ।
এ বিষয়ে জিডির তদন্ত কর্মকর্তা ধানমন্ডি থানার উপ-পরিদর্শক রাজীব হাসান বলেন, জিডির তদন্ত শেষ করার নির্দিষ্ট কোনো সময়সীমা নেই। তবে আমরা চেষ্টা করছি। এছাড়া বাদীপক্ষের সঙ্গে আমরা নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। বিষয়টি তাদের ব্যক্তিগত ও পারিবারিক।
জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ ডা. মুরাদকে খুঁজছে জানিয়ে তিনি বলেন, তাকে মেসেজ দেওয়া হয়েছে এই জিডি স্বপক্ষে যদি তার কোনো বক্তব্য থাকে তিনি এসে দিতে পারেন। কিন্তু কোনো সাড়া আসেনি। আমাদের হাতে তার নামে একটি নোটিশ রয়েছে। সেটি আমরা দেওয়ার অনেক চেষ্টা করেছি। কিন্তু সম্ভব হয়নি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের দরকার আছে। জিডির তদন্ত শেষ করতে তার বক্তব্য শোনার প্রয়োজন রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।