Inqilab Logo

শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আড়াই মাসেও ডা. মুরাদের কোনো হদিস নেই

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:০৪ এএম

সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানের কোনো খোঁজ পাচ্ছে না পুলিশ। গত আড়াই মাস ধরে তিনি তার ধানমন্ডির বাসায় ফেরেননি। নির্যাতন ও হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ তুলে গত ৬ জানুয়ারি মুরাদের স্ত্রী ডা. জাহানারা এহসান ধানমন্ডির থানায় একটি সাধারণ ডাইরি করেন। ঠিক ওইদিন থেকেই ডা. মুরাদ আর বাসায় ফেরেননি। আর তাই মুরাদের সঙ্গে কথা না বলে জিডির প্রতিবেদনও দিতে পারছেন না তদন্ত কর্মকর্তা।

ধানমন্ডির থানা সূত্রে জানা যায়, ডা. মুরাদের বিরুদ্ধে তার স্ত্রী জিডি করলে ৯ জানুয়ারি পুলিশকে বিষয়টি তদন্তের অনুমতি দেন আদালত। এরপর থেকে একাধিকবার মুরাদের স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন তদন্ত কর্মকর্তা। এক পর্যায়ে জিডির তদন্ত স্বার্থে ডা. মুরাদকে খুঁজতে থাকে পুলিশ। কিন্তু গত আড়াই মাসে তার কোনো হদিস নেই।

আরও জানা যায়, গত আড়াই মাসে ডা. মুরাদের ধানমন্ডির বাসায় একাধিকবার তার খোঁজে যায় পুলিশ। বাসার লোকজন জানায়, সে (মুরাদ) এখনো বাসায় ফেরেননি। মোবাইলে একাধিকবার ফোন করলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। এমনকি ডা. মুরাদের ফোনে এসএমএস দিয়েও তার কোনো উত্তর পায়নি পুলিশ।
এ বিষয়ে জিডির তদন্ত কর্মকর্তা ধানমন্ডি থানার উপ-পরিদর্শক রাজীব হাসান বলেন, জিডির তদন্ত শেষ করার নির্দিষ্ট কোনো সময়সীমা নেই। তবে আমরা চেষ্টা করছি। এছাড়া বাদীপক্ষের সঙ্গে আমরা নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। বিষয়টি তাদের ব্যক্তিগত ও পারিবারিক।

জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ ডা. মুরাদকে খুঁজছে জানিয়ে তিনি বলেন, তাকে মেসেজ দেওয়া হয়েছে এই জিডি স্বপক্ষে যদি তার কোনো বক্তব্য থাকে তিনি এসে দিতে পারেন। কিন্তু কোনো সাড়া আসেনি। আমাদের হাতে তার নামে একটি নোটিশ রয়েছে। সেটি আমরা দেওয়ার অনেক চেষ্টা করেছি। কিন্তু সম্ভব হয়নি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের দরকার আছে। জিডির তদন্ত শেষ করতে তার বক্তব্য শোনার প্রয়োজন রয়েছে।
রিভিশন শুনানিতে বিব্রত হাইকোর্ট : এদিকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান এমপি এবং উপস্থাপক মহিউদ্দিন হেলাল নাহিদের পক্ষে দেয়া খারিজ আদেশের রিভিশন শুনানি গ্রহণে বিব্রত বোধ করেছেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি মুহাম্মাদ আব্দুল হাফিজ ও বিচারপতি মুহাম্মাদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ বিব্রতবোধ করেন। পরে মামলাটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম তালুকদার রাজা এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, শুনানির সময় এ বেঞ্চের জুনিয়র বিচারপতি মামলাটি শুনতে অপরাগতার কথা জানান। পরে আমরা মামলাটি ফেরত নিয়েছি। অন্য বেঞ্চে শুনানির জন্য দাখিল করবো।

এর আগে ২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বর ঢাকা সাইবার ট্রাইব্যুনালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি করা হয়। মামলায় উল্লেখ করা হয়, আসামিরা ফেসবুক লাইভে ‘উদ্দেশ্যমূলকভাবে জিয়া পরিবার এবং ব্যারিস্টার জাইমা রহমান সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ, নারীবিদ্বেষী এবং যেকোনো নারীর জন্য মর্যাদাহানীকর ভাষা’ ব্যবহার করেছেন। মুরাদ হাসানের দেয়া এবং মুহাম্মদ মহিউদ্দিন হেলাল নাহিদের ধারণ করা সাক্ষাৎকারটি পরবর্তী সময়ে মুরাদ হাসান তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রচার ও প্রকাশ করে জিয়া পরিবার তথা জিয়া পরিবারের কনিষ্ট সদস্য ব্যারিস্টার জাইমা রহমান এবং সর্বোপরি নারী সমাজের প্রতি অবমাননাকর, অপমানজনক এবং আইনত শাস্তিযোগ্য হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে এই মামলাটি দায়ের করা হলো।
এজাহারে বলা হয়, আসামিরা ব্যারিস্টার জাইমা রহমান ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য প্রকাশ এবং প্রচারের মাধ্যমে দেশে রাজনৈতিক স¤প্রদায়ের মধ্যে শত্রæতা ঘৃণা, বিদ্বেষ ও মানহানিকর পরিস্থিতি সৃষ্টির মাধ্যমে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ২৫/২৯/৩১/৩৫ ধারার অপরাধ করেছেন বলে এই মামলা দায়ের করা হয়। পরে মামলাটি খারিজ করে দেয়া হলে এই আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করেন সাইদুর রহমান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ডা. মুরাদ

২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২
১৬ জানুয়ারি, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ