বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে আওয়ামী লীগ নেতা ও যুবলীগ নেতার মধ্যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জের ধরে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে দু’পক্ষের প্রায় ১৫ জন লোক আহত হয়েছেন। সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ শটগানের গুলি ছুঁড়ে ৭ রাউন্ড। মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় উপজেলা সদর বাজারে যুবলীগ নেতা হাফিজ উদ্দিন পলাশ ও উপজেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক সাংবাদিক রমেন্দ্র নারায়ণ বৈশাখের সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে রাতে সংঘর্ষে গুরুতর আহত চারজনকে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, একজনকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে, সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে পাঁচজনকে। অপরদিকে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তানসেন তালুকদার তুষার, তার মা সুমি আক্তার, আঞ্জু মিয়া, মণিরাজ শাহ, রাসেল মিয়া,মাছুম মিয়া, মেজারুল হক, রুনা আক্তার, শিশু অংকন গণি, ওমর মিয়া, আনাছ মিয়া, বর্ষা আক্তার ও অনিক মিয়াসহ কয়েকজন তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। তাহিরপুর থানার ওসি মো. আব্দুল লতিফ তরফদার জানান, উপজেলা সদরে বিবাদমান দুই গ্রুপের প্রাণঘাতী সংঘর্ষ ঠেকাতে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শটগানের ৭ রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন হয়েছে ঘটনাস্থলে।
উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তানসেন তালুকদার তুষার জানান, ২০ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় উপজেলা সদরে ডাক বাংলোতে দলীয় নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে সাংবাদিক রাজন চন্দ এবং উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক হাফিজ উদ্দিন পলাশের মধ্যে বাকবিতন্ডার পর অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার রেশ ধরে যুবলীগ আহ্বায়কের লোকজন রাজনের পিতা আওয়ামী লীগ নেতা সাংবাদিক রমেন্দ্র নারায়ন বৈশাখকে সদর বাজারে লাঞ্ছিত করে। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা সদরে প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধনে উপস্থিত থাকায় বিকেলে পূর্ববাজারে যুবলীগ আহ্বায়ক ও তার পরিবারের সদস্যরা তার মোটরসাইকেল আটক করে লাঞ্ছিত করে।
তাহিরপুর উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক হাফিজ উদ্দিন পলাশ তুষারের বক্তব্য অস্বীকার করে বলেন, তুষার বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালিয়ে তার ভাতিজা নাজমুল হুদা নাসিমকে সদর বাজারে আহত করে। পরে উভয়ের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়। একপর্যায়ে সে বাড়িতে ফের রামদা হাতে নিয়ে হামলা করতে আসলে দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এছাড়া গত ২০ তারিখ উপজেলা ডাকবাংলোতে যে ঘটনাটি ঘটেছিল তা তাৎক্ষণিক উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি, সদর ইউপি চেয়ারম্যান ও নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে মিমাংসা করা হয়েছিল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।