পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রামের সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসীন কলেজে শহীদ মিনারে ফুল দিতে গিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়েছে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপ। গতকাল সোমবার দুপুরে কলেজ ক্যাম্পাসে শহীদ মিনারে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে আট জনকে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তারা হলেন- বোরহান উদ্দিন (২৬), মো. রিয়াজ (১৯), মো. সুলতান (১৯), প্রিন্স দাশ (১৯), মো. রাকিব (২০), এসএম ইব্রাহীম (২০), জনি দাশ (২১) ও নুর আলম (২২)।
সংঘর্ষে জড়িত নেতাকর্মীরা শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এবং মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ক্যাম্পাসে ফুল দেয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষ কথা কাটাকাটি থেকে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় উভয় পক্ষ লাঠিসোটা, ইট-পাটকেল ও চেয়ার নিয়ে একে অপরের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে।
১২টার দিকে আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা শহীদ মিনারে ফুল দেন। এরপর তারা শহীদ মিনারের একপাশে জড়ো হন। উপমন্ত্রীর অনুসারী মহসীন কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার পলাশের নেতৃত্বে আরেকটি গ্রুপ তখন শহীদ মিনারে ফুল দিতে যান। শহীদ মিনারের নিচে দু’জনের মধ্যে হঠাৎ কথা কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে মারামারি, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, ইট-পাটকেল নিক্ষেপে জড়ান তারা। খবর পেয়ে পুলিশ ক্যাম্পাসে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এ সময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
কলেজের প্রিন্সিপাল মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম বলেন, কলেজের পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে আলোচনা সভা চলাকালে দেখি শহীদ মিনারের সামনে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলছে। পরে পুলিশ এসে তাদের সরিয়ে দেয়।
উপমন্ত্রী গ্রুপের কর্মীদের অভিযোগ, নাছির গ্রুপের কর্মীরা বহিরাগত নিয়ে ক্যাম্পাসে এসেছিল। তারা আগেই রামদা, কিরিচ, লাঠি, কাঁচের বোতল জড়ো করে। আমরা ফুল দিতে যাবার পর পরিকল্পিতভাবে আমাদের ওপর হামলা করে। এতে আমাদের চারজন কর্মী আহত হয়েছেন।
অন্যদিকে নাছির গ্রুপের কর্মীদের অভিযোগ, সন্ত্রাসী বাবর আলী গ্রুপের বহিরাগতরা এসে ওপর হামলা করেছে। এখানে কেউ মহসীন কলেজের ছাত্র ছিল না। প্রথমে তারা একজনকে চড়-থাপ্পড় দেয়। কোনো কারণ ছাড়াই এটা করে তারা উসকানি তৈরি করে। এরপর আবার হামলা করে। এতে আমাদের ৫-৬ জন আহত হয়েছেন।
চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস জাহান বলেন, ফুল দেয়ার সময় ঘটনা ঘটেছে। তবে ফুল দেয়া নিয়ে কোন সংঘর্ষ হয়নি। ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বে প্রথমে ঝগড়া, এরপর ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। তবে আমরা দ্রুত এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।