মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
আবারও ভারতীয় মৎস্যজীবীদের গ্রেফতার করল শ্রীলঙ্কার নৌবাহিনী। শনিবার শ্রীলঙ্কার সমুদ্রসীমা থেকে ৬ ভারতীয় মৎস্যজীবীকে গ্রেফতার করে তারা। সেইসঙ্গে, তাদের নৌকাটিও বাজেয়াপ্ত করা হয়। ধৃতদের সকলের বিরুদ্ধে চোরাচালানের অভিযোগ আনা হয়েছে।
শনিবার শ্রীলঙ্কার নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি জারি করে এই ঘটনার কথা জানানো হয়েছে। তাদের অভিযোগ, ওই ছয় ভারতীয় মৎস্যজীবী শ্রীলঙ্কার সমুদ্রসীমা ব্যবহার করে বেআইনি কাজ করছিলেন। প্রসঙ্গত, চলতি মাসে এই নিয়ে চতুর্থবার ভারতীয় মৎস্যজীবীদের গ্রেফতার করল শ্রীলঙ্কার নৌবাহিনী।
শ্রীলঙ্কার নৌবাহিনীর প্রকাশ করা বিবৃতি থেকেই জানা গিয়েছে, জাফনা এলাকায় কোভিলান লাইটহাউসের উত্তর-পশ্চিমের সমুদ্র থেকে ওই ছয় ভারতীয় মৎস্যজীবীকে পাকড়াও করা হয়। সেই সময় নৌবাহিনী রুটিন টহলদারি চালাচ্ছিল। তখনই ভারতীয় মৎস্যজীবীরা নৌবাহিনীর সদস্যদের নজরে পড়ে যান। নৌবাহিনীর তরফে বলা হয়েছে, "শ্রীলঙ্কার নৌবাহিনী একটি ভারতীয় নৌকা বাজেয়াপ্ত করেছে। সেই নৌকায় ছ'জন ভারতীয় মৎস্যজীবীও ছিলেন। তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। শ্রীলঙ্কার সমুদ্রসীমায় চোরাচালান করার সময় তাঁদের পাকড়াও করা হয়।"
এই ঘটনায় উদ্বেগ বেড়েছে ভারত সরকারের। কারণ, এই নিয়ে চলতি ফেব্রুয়ারি মাসেই কমপক্ষে ৫০ জন ভারতীয় মৎস্যজীবীকে গ্রেফতার করল শ্রীলঙ্কার নৌবাহিনী। তাদের সকলের বিরুদ্ধেই বেআইনিভাবে জলসীমান্ত লঙ্ঘন-সহ একাধিক আইন বহির্ভূত কার্যকলাপের অভিযোগ আনা হয়েছে।
পরিসংখ্যান বলছে, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি ১২ জন ভারতীয় মৎস্যজীবীকে গ্রেফতার করে শ্রীলঙ্কার নৌসেনা। তাঁদের কাছ থেকে দু'টি ট্রলার বাজেয়াপ্ত করা হয়। মাছ ধরার কাজেই সেই ট্রলারগুলি ব্যবহার করা হত। যদিও, পড়শি দেশের নৌসেনার দাবি, ওই ট্রলারের আড়ালেই চোরাচালান চালানো হচ্ছিল। তার আগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি ১১ জন মৎস্যজীবীকে গ্রেফতার করা হয়। তারাও সকলেই ভারতের নাগরিক। তাদের কাছ থেকেও মাছ ধরার কাজে ব্যবহৃত তিনটি ট্রলার আটক করা হয়। সেই ঘটনার আগে, মাসের প্রথম দিন, অর্থাৎ গত ১ ফেব্রুয়ারি ২১ জন ভারতীয় মৎস্যজীবীকে শ্রীলঙ্কা জলসীমা থেকে পাকড়াও করে সেদেশের নৌবাহিনী। সূত্র: টিওআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।