পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
আমি কানাডায় কয়েকমাস ছিলাম। এখানকার কিছু কাঠামোগত সংস্কার আমাকে মুগ্ধ করেছে। ভেবেছি, বাংলাদেশে গিয়ে এসব বিষয়াদি নিয়ে কিছু লিখবো, যাতে দেশের মানুষ নিজেদের ভুলগুলো শুধরে নিতে পারে। রাষ্ট্রের দায়িত্বশীল মানুষগুলো নিষ্ঠাবান হয়ে নিজ দায়িত্বের প্রতি আরো যত্নশীল এবং সচেতন হন। কানাডা বাংলাদেশ থেকে প্রায় ৭০ গুণ বড়। প্রায় ১ কোটি বর্গকিলোমিটার কানাডার আয়তন। জনসংখ্যা মাত্র ৩ কোটি ৫০ লাখ। প্রথমে আমি কানাডার সড়ক পথে যোগাযোগ ব্যবস্থার সময়োপযোগী আমুল পরিবর্তন নিয়ে কিছু বলবো। এই সেক্টরে বাংলাদেশ অনেক পিছিয়ে আছে। বাংলাদেশে দূষণের কারণ যে অপরিচ্ছন্নতা এবং অপরিকল্পিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, সেই প্রসঙ্গটাও আসবে।
কানাডার বড় বড় শহর, উপশহর এমনকি ভিলেজ এলাকার সড়কগুলো অত্যন্ত মজবুত ও মনোরম সাজে সজ্জিত। মনে হয়, যেন একেকটি রাস্তা একেকটি ছবি। কংক্রিটের ঢালাই ৬/৪ ফুট রাস্তার দুপাশে মজবুতভাবে গেঁথে আছে। সারি সারি নানা প্রজাতির রংবেরঙের গাছগাছালি এবং মাঝেমধ্যে গভীর বনের সমাহার। নানা প্রজাতির পাখির সুমধুর ডাক। মনে হয়, যেন প্রকৃতির নির্মল বিশুদ্ধ বায়ু পাখিদের প্রাণ চাঞ্চল্য আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। পুরো উত্তর আমেরিকা মহাদেশের দূষণমুক্ত আবহওয়ার কারণেই রাস্তাঘাটগুলোর এতো সজীবতা। গাছ আর বনের প্রতি এদেশের সরকার এবং জনগণের যে কি মায়া, তা না দেখলে বিশ্বাসযোগ্য বলে মনে হবে না। এদেশের বৃক্ষপ্রেমিক, যারা গাছগাছালি নিয়ে গবেষণা করেন তারা বলেছেন, পৃথিবীজুড়ে যত গাছপালা আছে তার ১৫ শতাংশ আছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম রাষ্ট্র কানাডায়। এ সমস্ত গাছগাছালি, গভীর বনের সমাহার শহরের সড়কগুলোর সৌন্দর্য দ্বিগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। কানাডায় আমার দেখা কয়েকটি রাস্তার প্রবেশপথ যেমন টরেন্টো, অটোয়া ৩২, ১৬, ৮ ও ৬ লেইনের এবং ডাউন টাউনের সড়ক চার লেইনের। ছোট শহর এবং উপশহরের প্রবেশপথগুলো উদাহরণস্বরূপ কুবেক প্রদেশের মনট্রিল, অ্যালবাটা প্রদেশের ক্যালগিরী, অনটারিও প্রদেশের হেমিলটন, বারলিংটন, লন্ডন, নায়াগ্রা ফলস এবং কানাডা এবং আমেরিকার মিশিগান ডেট্রয়েড শহরের সীমান্তঘেঁষা কানাডারই একটি শহর উইনজারের সড়কগুলো ৮, ৬ এবং ৪ লেইনে সাজানো হয়েছে। কানাডার ভিলেজ ও কমিউনিটি এরিয়ার সড়কগুলো দুই ও চার লেইনের। এদেশে একজন কৃষকের খামার বাড়িতে গাড়িতে যেতে হয়। প্রতিটি কৃষকের বাড়িতে যেতে রয়েছে চওড়া রাস্তা। আমাদের বাসা থেকে কৃষকের বাড়ির দূরত্ব প্রায় ১৫ কিলোমিটার, যেতে সময় লাগে মাত্র ২০ মিনিট। আমরা প্রতি সপ্তাহে একবার গাড়িতে করে ঐ কৃষকের বাড়িতে যেতাম অর্গানিক ডিম এবং আরও কিছু কৃষিপণ্য কিনতে। এ দেশের প্রতিটি কৃষক ধনী পরিবারের সদস্য। নিজস্ব গাড়িতো আছেই, এ ছাড়া পণ্য সরবরাহের জন্য রয়েছে তাদের একাধিক গাড়ি। স্বাস্থ্যবান্ধব এ সমস্ত অর্গানিক ন্যাচারাল ফুড দামেও সস্তা। কানাডার বহু মানুষ এধরনের খামার বাড়ির নিয়মিত কাস্টোমার। প্রতিটি শহর ও ভিলেজ এরিয়ায় রয়েছে এরকম বহু খামার বাড়ি। বাড়িগুলোর নির্মাণকাঠামো অতি চমৎকার। কানাডার রাস্তাগুলো এমনভাবে নির্মাণ করা হয়েছে, যাতে যানবাহন চলাচলে কোনো অসুবিধার সৃষ্টি না হয় এবং রাস্তায় যাতে যানজটের সৃষ্টি না হয়। যথাসময়ে যাতে যানবাহনগুলো পণ্য ও যাত্রী নিয়ে গন্তব্যস্থানে পৌঁছাতে পারে, সে দিকে লক্ষ রাখা হয়েছে। এখানে সময়কে যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হয়। অন্যদিকে দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য রাস্তাকে একাধিক লেইনে বিভক্ত করা হয়েছে। অফিস এবং আদালতপাড়া এবং বড় বড় শপিংমল সংলগ্ন সড়কগুলোতে একাধিক লেইন করা হয়েছে। একটি শপিংমলে যেতে একাধিক রাস্তা। এদেশে রাস্তার শেষ নেই। উপরে নিচে (ঝঁন ধিু) চতুর্দিকে ঘিরে জনগণের দ্রুত চলাচলের সুবিধার জন্য রাস্তাগুলো এভাবে সাজানো হয়েছে। মেট্রোরেল, পাতালরেলসহ সবধরনের যানবাহন আছে। রাস্তার দুই পাশে পথচারীর জন্য ৫ ফুট বাই ৪ ফুট রাস্তা রয়েছে। এসব রাস্তা দিয়ে শুধু মানুষ চলাচল করে এবং সড়কের দুই পাশেই রয়েছে কানাডার জাতীয় গাছ ম্যাপল ট্রি। এছাড়াও বিচিত্র সাজে সজ্জিত নানা প্রজাতির গাছ রয়েছে রাস্তার দুই পাশে, যা দেখতে দৃষ্টিনন্দন। শহর, উপশহর এবং ভিলেজ এরিয়ায় যেখানে নিয়মমাফিক গড়ে তোলা হয়েছে আবাসিক প্রকল্প। সেখানে কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নেই। এমনকি কোনো ফুটপাত বিজনেসও নেই। ফেরিওয়ালা নেই। দুই ও তিন চাকার কোনো গাড়ি নেই। খোলা ট্রাকও নেই। এগুলো কানাডায় নিষিদ্ধ। কেনাকাটার জন্য বড় বড় সুপার মার্কেট এবং অফিস-আদালতের জন্য ভিন্ন ভিন্ন জায়গা রয়েছে। কেনাকাটা এবং কর্মস্থলে যেতে হলে অবশ্যই গাড়ি লাগবে। কানাডায় স্থায়ীভাবে বসবাসরত সবারই গাড়ি আছে। গাড়ি এদেশে বিলাস সামগ্রী নয়, বরং বলা যায়, অতি প্রয়োজনীয় সামগ্রী। এখানে গাড়ির দাম অধিকাংশ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখা হয়েছে। কিন্তু গাড়ি রক্ষণাবেক্ষণ খরচ অনেক বেশি। এদেশে মাথাপিছু গড় আয় অনেক বেশি। তাই ক্রয়ক্ষমতাও বেশি। মাথা পিছু গড় আয় ৫২ হাজার ইউএস ডলার। ফলে জীবনধারণ তেমন কষ্টকর নয়। কিন্তু অপরিসীম পরিশ্রম করতে হয়। কাজ আছেতো খাবার আছে। এখানে যারা নাগরিক, সে প্রধানমন্ত্রী হোক পরিচ্ছন্নকর্মী হোক, রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা সবার জন্য একই রকম। ছাত্রছাত্রীদের জন্য সরকারি বাড়ি ভাড়া এতটাই কম, যা ভাবা যায় না। এসএসসি পযর্šÍ লেখাপড়ার খরচ সরকার বহন করে। কানাডার প্রাইভেট কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়ার জন্য সরকার ঋণ দেয়। চাকরি করে মাসিক ভিত্তিতে টাকা পরিশোধ করার সুব্যবস্থা আছে। যে যত বড় চাকরি করুক না কেন, কমিউনিটি বা এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই তাকে পড়তে হয়। বাংলাদশে এধরনের নাগরিক সেবা কোনকালে হবে কিনা বোধগম্য নয়। অলস জীবন যাপন করা এখানে একেবারেই অসম্ভব। আবাসিক এবং অনাবাসিক প্রকল্পসমূহ পৃথক রাখার মূল কারণ হলো শহর, নগর, বন্দর, গ্রাম সবকিছুকেই দূষণমুক্ত রাখা। শহরকে সাজিয়ে গুছিয়ে সুন্দর করে ছিমছামভাবে গড়ে তোলা। কানাডার সুপরিকল্পিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা থেকে শেখার আছে অনেক কিছু। দেশটির কোথাও কোনো বর্জ্য জমে আছে বা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে, এমন দৃশ্য আমি দেখিনি।
আমি কানাডার একাধিক শহর, উপশহর এবং ভিলেজ এরিয়ায় গিয়েছি ভ্রমণের তাগিদে। দেখেছি, সবজায়গায়ই একই নিয়মে বর্জ্য অপসারণ করা হচ্ছে। আমি অনটারিও লন্ডন শহরে যে বাড়িতে থাকতাম, সে বাড়ির গার্ভেজ (চধঢ়বৎ, ঢ়ষধংঃরপং, পধৎফ নড়ধৎফ, পধহং ্ ইড়ঃঃষবং) রিসাইকেলিং করে তিনটি ভাগে বিভক্ত করে ভিন্ন রংয়ের তিনটি পাত্রে রাখা হয়। বর্জ্যরে পাত্রের মুখ শক্ত করে বন্ধ করে তা প্রত্যেক বাড়ির বা বাসার সামনের রাস্তার পাশে নির্দিষ্ট স্থানে রাখা হয়। এ সমস্ত রিসাইকেলিং বর্জ্যর জন্য রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন গাড়ি। সপ্তাহের একেকদিন একেক গাড়ি এসে ময়লাগুলো নিয়ে যায়। গাড়িগুলো উন্মুক্ত নয়। দেখতেও সুন্দর। প্রথমে বুঝতে পারিনি বর্জ্য নেয়ার গাড়ি এতো সুন্দর কী করে হয়। তারপর বুঝতে পারলাম এদেশে সবকিছুই দৃষ্টিনন্দন। বাংলাদেশে সড়ক মেরামতে যে সময় নেয়, তার চেয়ে কানাডায় অনেক কম সময় লাগে। আমরা যে বাড়িতে থাকতাম, সেই বাড়ির ভাঙা রাস্তা মেরামত করতে সময় নিয়েছে মাত্র চারদিন। এ দেশে বাড়ি ছোট হোক, বড় হোক সামনে বা পিছনে একটি বাগান পাশাপাশি একাধিক গাছ থাকা চাই। বাগানে কাজ করা থেকে শুরু করে বাড়ির আশপাশ পরিষ্কার করার দায়িত্ব তাদের, যারা বাড়িতে বসবাস করে। এখানে কাজের বুয়া নেই। নিজের কাজ নিজেকে করতে হয়। সিটি করপোরেশন যে সমস্ত গাছ রাস্তার দুইপাশে লাগিয়েছে এবং যে সমস্ত গাছের পাতা ঝরে যায় শীতকালে, সেগুলোর ডালাপালা কেটে ছোট করে দেয় সরকারের দায়িত্বশীল কর্মচারীরা, যাতে যানবাহন এবং মানুষের পথচলায় ব্যাঘাত সৃষ্টি না হয়। বাড়ির সামনে যেসমস্ত গাছ বাড়ির মালিকরা লাগিয়েছে তাদের সৌন্দর্য্য বর্ধন করার দায়িত্ব বাড়ির মালিকদের। রাস্তার দুইপাশে গাছের পাতা এবং বাড়ির চারপাশের ময়লা-আর্বজনা পেপার ওয়াসট ব্যাগে (চধঢ়বৎ ধিংঃব ইধমং) জমিয়ে তা বাড়ির সামনে নির্দিষ্ট স্থানে রাখার দায়িত্ব বাড়ির মালিকদের। কোন পাত্রে কোন ধরনের ময়লা যাবে সেটা সিটি করপোরেশন থেকে বলে দেওয়া হয়েছে। তিন শ্রেণির ময়লার জন্য রয়েছে তিন ধরনের গাড়ি। সিটি করপোরেশনের বর্ণিত নিয়মের বাইরে কারো কোনো কাজ করার সুযোগ নেই। কেউ যদি নিয়ম ভঙ্গ করে তাহলে সিটি করপোরেশন তার বিরুদ্ধে কালক্ষেপণ না করে বড় ধরনের জরিমানা বা আইনী ব্যবস্থা নেয়। আইন তার নিজস্ব গতিতে চলে বিধায় এখানে বেআইনি কাজকর্ম হয় না বললেই চলে। ঘন বসতির কারণে, ধুলাবালি ও জমে থাকা ময়লা থেকে যে ভয়ানক দূষণ সৃষ্টি হয়, সেটা কানাডার সুপরিকল্পিত উপায়ে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে প্রতিকার করা হয়েছে। ৩ ডিসেম্বর ২০২১ অনটারিও লন্ডন শহরে বিকেলে ভিকটোরিয়া পার্ক দেখতে গিয়েছিলাম। কারণ হলো, বড়দিন উপলক্ষে একমাসব্যাপী পুরো কানাডায় বিশেষ বিশেষ এলাকায় আলোকসজ্জিত করা হয়। বরফে ঢাকা পার্কের একটি অংশে শিশু, কিশোর এবং বয়স্ক মানুষ মাইনাস ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস ঠান্ডায় কীভাবে আইস হকি খেলছে তা ভাবনার বিষয়।
বাংলাদেশ এতো ছোট জায়গা মাত্র ১ লাখ ৪৪ হাজার বর্গকিলোমিটার ভূখণ্ড, কিন্তু মানুষ ১৮ কোটি এবং অধিকাংশ মানুষ থাকে শহর এলাকায়। আগামী ১০ বছরে যা দাঁড়াবে ২৫ কোটি। এরকম একটি জটিল অবস্থার দিকে আমরা ধাবিত হচ্ছি। বিশ্বে এরকম একটি দৃশ্য আর কোথায়ও নেই। এরপর আমরা আবার সময়োপযোগী পরিকল্পনা গ্রহণ করছি না। ড্যাপ নামেমাত্র আছে। এ ছাড়া আমরা মেনে চলছি না আইন কানুন। সচেতনতার প্রচণ্ড অভাব। চলছে অর্থনৈতিক দুর্নীতি, অপশাসনের দৌরাত্ম্য। অশ্লীলতা, বেহায়াপনা এবং প্রযুক্তির অপব্যবহার চলছে সমানে। অন্যদিকে চলছে ক্ষমতার রাজনীতি। বহুতল বিশিষ্ট কংক্রিটের ইমারত বানিয়ে ঢাকা শহরকে দূষণের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রতিযোগিতা চলছে। টাকা রোজগারের জন্য কংক্রিটের আবাসনগুলো শুধু উপরের দিকে উঠছে। চারিদিকে একটুও ফাঁক নেই। আলো-বাতাসহীন দম বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো এক অসুস্থ পরিবেশে রাতযাপন করতে হয় এখানকার মানুষদের। আজ বাংলাদেশ বিশ্বের শীর্ষ দূষিত দেশ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে আমাদের অর্থলোভী ও অযোগ্যতার কারণে। পরিবেশদূষণ, বায়ুদূষণ, পানিদূষণ, শব্দদূষণ এবং মৃত্তিকা দূষণ; বিশ্বের সবচেয়ে বেশি শব্দদূষণ ঢাকাতেই ঘটে। বধির হওয়ার সংখ্যা বেড়ে গেছে শব্দদূষণে। শব্দ সহ্যসীমার মধ্যে রাখার সুব্যবস্থা নেই। অযথা হর্ন বাজানো বাংলাদেশের গাড়ি চালকদের বড় বদভ্যাস। ট্রাফিক সিগনাল ও জ্যামে আটকে থাকার সময় সামনে এগুনো যাবে না জেনেও হর্ন বাজায় তারা। পথচারীকে লক্ষ করে প্রতিনিয়ত হর্ন বাজানো হয়। এটা দেশের সব শহরে ফ্যাশনে রূপ নিয়েছে। দেশের সবকয়টি বিভাগীয় শহরে শব্দের মাত্রা ১৩০ ডেসিবেল ছাড়িয়ে গেছে, যা স্বাভাবিক মাত্রার চাইতে আড়াই থেকে ৩ গুণ বেশি। কয়েক বছর আগে পরিবেশ অধিদপ্তরের এক জরিপে এ তথ্য জানা যায়। কোন পথে যাচ্ছে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ, তা আমরা খুব কম লোকই ভাবছি। চারটি জেনারেশনের মধ্যে মাত্র একটি জেনারেশনই বাংলাদেশকে নিয়ে ভাবে, যাদের বয়স ২০ থেকে ৪০ বছর। এরাই দেশের জন্য ভালো কিছু করতে পারবে বলে আমি মনে করি। (চলবে)
লেখক : গ্রন্থকার ও গবেষক।
[email protected]
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।