Inqilab Logo

শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বাইডেনের আশঙ্কার মাঝেই পরমাণু যুদ্ধের মহড়া শুরু মস্কোর

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:৫০ পিএম

ইউক্রেনে হামলা চালাতে বদ্ধপরিকর রাশিয়া। যুদ্ধের প্রস্তুতি শেষ করে ফেলেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। যে কোনও মুহূর্তে সীমান্ত পার করবে মস্কোর সেনা। এমনটাই মনে করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এদিকে, আমেরিকাকে হুঁশিয়ারি দিয়ে আণবিক মহড়া শুরু করেছে রাশিয়ার সেনাবাহিনী।

সংঘাতের আশঙ্কা উসকে শুক্রবার হোয়াইট হাউস থেকে বাইডেন বলেন, “আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে ইউক্রেনে হামলা চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন। এবং আমাদের কাছে এমনটা মনে করার পর্যাপ্ত কারণ আছে।” তিনি আরও দাবি করেন, দ্রুত হামলা চালিয়ে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ দখল করার চেষ্টা করবে রুশ সেনাবাহিনী। ওয়াশিংটন ও ন্যাটো জোট মনে করছে ইউক্রেনে ‘ফলস ফ্ল্যাগ’ অপারেশন শুরু করে হামলা কারণ তৈরি করবে মস্কো।

‘ফলস ফ্ল্যাগ’ অপারেশনের অর্থ হচ্ছে ইউক্রেনের রুশপন্থী বিদ্রোহীদের দিয়ে যুদ্ধের মতো পরিস্থিত তৈরি করা বা গণহত্যার অভিযোগে রুশভাষী জনগণের রক্ষার নামে আগ্রাসন চালানো। বলে রাখা ভাল, ইউক্রেনের পূর্ব প্রান্তে ডোনেৎস্ক ও লুহান্‌স্ক প্রদেশ রুশপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ঘাঁটি বলে পরিচিত। মস্কোর প্রচ্ছন্ন মদতেই তারা ‘জঙ্গি কার্যকলাপ’ চালায় বলে দাবি প্রেসিডেন্ট ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির।

এদিকে, শুক্রবার থেকেই পরমাণু যুদ্ধের জন্য মহড়ার শুরু করেছে রাশিয়া। বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রসংঘে মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন রাশিয়াকে উদ্দেশ করে বলেছিলেন, মস্কো যেন সরাসরি জানায় যে ইউক্রেনের উপরে রুশ বাহিনী হামলা চালাবে না। মস্কো সেই কথার জবাব দেয়নি। বরং এবার আরও আগ্রাসী মনোভাব প্রকাশ করেছে পুতিন প্রশাসন।

পরিস্থিতি ঘোরাল করে উত্তেজনার আবহ তৈরি হয়েছে ইউক্রেন ও রাশিয়া সীমান্তে। দোনবাস অঞ্চলের রুশপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীরা দাবি করেছে, দফায় দফায় তাদের ঘাঁটির দিকে বোমাবর্ষণ করেছে ইউক্রেনের সেনা। রাশিয়ার সরকারও আজ ইউক্রেনে বাহিনীর দিকে লাগাতার বোমাবর্ষণের অভিযোগ তুলেছে। কিয়েভ অবশ্য অভিযোগ স্বীকার করেনি।

উল্লেখ্য, ইউক্রেন-রাশিয়া টানাপোড়েনে উদ্বিগ্ন গোটা বিশ্ব। যদিও বুধবার থেকে রুশ সেনা প্রত্যাহারের খবর মেলার পর থেকে মিলেছে স্বস্তি। যদিও আমেরিকার দাবি, রাশিয়ার সেনা সরানোর দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যে। শেষ পর্যন্ত সত্যিই যুদ্ধ হবে কিনা তা এখনই পুরোপুরি পরিষ্কার না হলেও, ইউক্রেনের দাবি, ‘হাইব্রিড ওয়ার’ ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছেন পুতিনের দেশ। সূত্র: রয়টার্স, এপি।



 

Show all comments
  • Md. zakiul islam ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ২:৫৩ পিএম says : 0
    ইউরোপ একটা মেষ শাবক কে ক্ষুধার্ত শ্বেত ভালক কের হাতে তুলে দিল । ইউরোপের উচিৎ ছিলো সর্ব শক্তি নিয়ে কিয়েভের পাশে দাঁড়ানো । যেমন কুকুর তেমন মুগুর , শুধু এই নীতি দ্বারাই পুতিন কে আটকানো সম্ভব । ইউরোপে এটম বোম ব্যবহার পুতিনের পক্ষে করা সম্ভব নয় । পারমানবিক তেজস্ক্রিয়া পুতিন কেও ক্ষমা করবে না । আমেরিকা পুতিন কে যুদ্ধের ময়দানে আনতে চাচ্ছে , রাশিয়াকে ধংস করার জন্য ।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মস্কো


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ