পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ চালুর পর থেকে গত প্রায় চার বছরে ফোনে সাড়া দিয়ে ১ হাজার ৪৯২টি আত্মহত্যার ঠেকানো সম্ভব হয়েছে। তবে ফোনকলে সাড়া দিয়ে ১ হাজার ১৩৫টি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ, যারা আত্মহত্যা করেছেন। গতকাল রাজধানীর মালীবাগে সিআইডি প্রধান কার্যালয়ে আত্মহত্যার বিষয়ে আয়োজিত এক সেমিনারে এ তথ্য জানান ৯৯৯- এর অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক তবারক উল্লাহ।
সম্প্রতি ফেসবুক লাইভে এসে নিজের পিস্তলের গুলিতে আত্মহত্যা করেন চিত্রনায়ক রিয়াজের শ্বশুর ব্যবসায়ী আবু মহসীন খান। তবে তার লাইভের শুরুতে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বুঝতে পারেনি তিনি আত্মহত্যা করবেন। তাই যথাসময়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারেনি সংস্থাটি।
সেমিনারে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) প্রধান অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান বলেন, মহসিন খান ফেসবুক লাইভে ছিলেন সাড়ে ১৬ মিনিটের বেশি। পরে মনে হলো কেন এ বিষয়টি আমরা টের পেলাম না? এ বিষয়ে কেউ আমাকে দোষারোপ করেনি। আমি নিজেই নিজেকে দোষারোপ করেছি। এরপর বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকের সিঙ্গাপুর অফিসের কাছে জানতে চাই। ফেসবুক আমাদের জানালো, লাইভের প্রথমে মহসীন খানের কথা স্বাভাবিক ছিল। তিনি আত্মহত্যা করবে এমনটা তাদের মনে হয়নি। মাহবুবুর রহমান বলেন, ফেসবুক জানিয়েছে লাইভে প্রথমে পারিবারিক জীবন, ব্যক্তিগত জীবন, ব্যবসায়িক জীবন নিয়ে কথা বলছিলেন মহসীন খান। এর ফলে আত্মহত্যার বিষয়টি সংস্থাটি বুঝতে পারেনি। তবে লাইভের শেষ হওয়ার আড়াই মিনিট আগে ফেসবুক বুঝতে পারে তিনি আত্মহত্যা করবেন। এ বিষয়ে ফেসবুককে অনুরোধ করা হয়েছে, তারা যাতে আত্মহত্যা রোধে আমাদের সঙ্গে কাজ করে।
সিআইডি প্রধান বলেন, মহসীন খান যখন লাইভ শুরু করেন, তখন যারা লাইভ দেখছিলেন আমরা তাদের ট্র্যাক করার চেষ্টা করেছি। এটার উদ্দেশ্য কাউকে দোষারোপ করা নয়, তাদের সচেতনতা করা। যাতে করে ভবিষ্যতে তারা সচেতন হয়ে আমাদের জানাতে পারে। সিআইডি আত্মহত্যা রোধে কাজ করে যাচ্ছে এবং ভবিষ্যতে এ বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে কাজ করবে।
এদিকে সেমিনারে অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক তবারক উল্লাহ জানান, ২০১৭ সালে চালু হওয়া জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ বর্তমানে ৫০০ জনবল নিয়ে কাজ করছে। চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ৯৯৯-এ প্রায় সাড়ে ৩ কোটি কল এসেছে। এর মধ্যে ১ কোটি ১৫ লাখ ফোন কলের সেবা দেওয়া হয়েছে, যা মোট কলের ৩৩ শতাংশ। এর মধ্যে ৭৮ ভাগ পুলিশি সেবা, ৯ ভাগ ফায়ার সার্ভিস এবং ১১ ভাগ অ্যাম্বুলেন্স সংক্রান্ত সেবা।
তিনি বলেন, ৯৯৯ এর শুরু থেকে চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারির পর্যন্ত ১ হাজার ৪৯২টি আত্মহত্যা নিয়ে ফোন কল এসেছে, যা আমরা প্রতিরোধ করতে পেরেছি। তবে কয়েকজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এর বাইরে আত্মহত্যার ফোন পেয়ে ১ হাজার ১৩৫টি আত্মহত্যা জনিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
৯৯৯ এর এই কর্মকর্তা বলেন, জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ অটো কলার লোকেশন না থাকায় অনেক সমস্যায় পড়তে হয়। কলারের লোকেশন আমরা যত তাড়াতাড়ি পেয়ে যাবো তত তাড়াতাড়ি যেকোনো সমস্যার সমাধান করা সহজ হবে। ৯৯৯-এ অটো কলার লোকেশন যুক্ত করতে কাজ চলছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।