Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বনশিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশন আইন দ্রুত চ‚ড়ান্ত ও কার্যকর করতে হবে

সরদার সিরাজ | প্রকাশের সময় : ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৮:৪৭ এএম

বাংলাদেশ বনশিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশন আইন-২০২২-এর খসড়া অনুমোদন হয়েছে গত ৭ ফেব্রুয়ারির মন্ত্রিপরিষদের সভায়। এটি চূড়ান্ত হয়ে কার্যকর হবে কবে, তা বলা কঠিন। কিন্তু এই আইন খুব দ্রুত আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে ভালভাবে বাস্তবায়ন করা দরকার। কারণ, বাংলাদেশ ও রাজধানী ঢাকা বায়ুদূষণের ক্ষেত্রে বিশ্বে কখনো শীর্ষস্থানে থাকছে, কখনোবা এর কাছাকাছি থাকছে অনেক দিন থেকেই (নদী ও শব্দদূষণও তাই)। এখানে পিএম ২.৫ পার্টিকেলের উপস্থিতি হু’র গ্রহণযোগ্য মাত্রার চেয়ে অনেকগুণ বেশি। তাই দেশে বায়ুদূষণে প্রতি বছর অসংখ্য মানুষ নানা জটিল ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে। এর মধ্যে শ্বাসকষ্ট ও ফুসফুসের ক্যান্সার সর্বাধিক, দেশে যার চিকিৎসা খুবই অপ্রতুল। যেটুকু আছে, তাও প্রধানত বড় শহরকেন্দ্রিক ও ব্যয়বহুল। তাই বায়ুদূষণে বছরে বহু লোক মারা যাচ্ছে। আর মরণ ব্যাধিতে ভুগছে অসংখ্য মানুষ। অবশ্য এ অবস্থা কম-বেশি বিশ্বের প্রায় সব দেশেই। হু’র মতে, ঘরে-বাইরে বায়ুদূষণের কারণে বিশ্বে প্রতি বছর প্রায় ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় মারা যায় ২০ লাখ মানুষ। আমাদের স্বাস্থ্যমন্ত্রী গত ১০ ফেব্রæয়ারি বলেছেন, দেশে এখন ক্যান্সার রোগীর সংখ্যা ২০ লাখের বেশি। প্রতিবছর দেশে ১ থেকে দেড় লাখ মানুষ ক্যান্সারে মারা যাচ্ছে। বায়ুদূষণ, শব্দদূষণ, খাদ্যে নানা রং মেশানো, চাষে কীটনাশকের ব্যবহার ও তামাক ব্যবহারের কারণে ক্যান্সার বেড়ে যাচ্ছে। লাইফ ইনডেক্সের গবেষণা রিপোর্ট মতে, ২০১৯ সালে বায়ুদূষণের কারণে বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু কমেছে প্রায় ৫ বছর ৪ মাস।

বাংলাদেশে সর্বাধিক বায়ুদূষণের অন্যতম কারণ হচ্ছে, যানবাহন ও কলকারখানার কালো ধোঁয়া, কয়লা দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন, অবৈধ ইট ভাটা ও তা আধুনিক না হওয়া এবং বৈধগুলোরও অধিকাংশ আধুনিক না হওয়া, রাস্তা ও বাড়ি-প্রতিষ্ঠানের নির্মাণ সামগ্রীর ধুলা, পার্শ্ববর্তী দেশগুলো থেকে আগত ব্যাপক বস্তুকণা ইত্যাদি। ২০১৯ সালের মার্চে প্রকাশিত বাংলাদেশ পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন মতে, ঢাকার বায়ুদূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো: ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলা। অপরদিকে, দূষণ শোষণের প্রধান ক্ষেত্র হচ্ছে বৃক্ষ, যা প্রয়োজন মতো নেই দেশে। দেশের মোট আয়তনের ২৫% বনাঞ্চল থাকা বাঞ্ছনীয়। এটা আন্তর্জাতিক নীতি। বিশ্বের বেশিরভাগ দেশে এটি রয়েছে। কিন্তু এ দেশে বনাঞ্চল রয়েছে সরকারি হিসাবে ১২% আর বেসরকারি হিসাবে ৭-৮%। যেটুকু আছে, তাও ক্রমান্বয়ে কমছে অবাধে বনাঞ্চল দখল ও বৃক্ষকর্তনে। তাই সরকার এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন কর্তৃক প্রতিবছর বর্ষাকালে বৃক্ষরোপণ অভিযান চালানো ও সামাজিক বনাঞ্চল সৃষ্টি করার পরও গ্যাপ পূরণ হচ্ছে না। ঘাটতি থাকছে অনেক। কারণ, বৃক্ষরোপণের চেয়ে কর্তনের পরিমাণ অনেক বেশি। এ অবৈধ কর্মের সাথে বন বিভাগের অনেক লোকের যোগসাজস রয়েছে। প্রভাবশালী মহলেরও অনেকের সহায়তা রয়েছে! ফাও’র হিসাব মতে, বাংলাদেশে বার্ষিক বন উজাড়ের হার ২.৬%, যা বৈশ্বিক গড় হারের প্রায় দ্বিগুণ। শুধু গত ১৭ বছরে বাংলাদেশের প্রায় ৬৬ বর্গকিলোমিটার গ্রীষ্মমÐলীয় রেইন ফরেস্ট ধ্বংস করা হয়েছে। অপরদিকে, বনবিভাগের হিসেবে সারাদেশে ২ লাখ ৮৭ হাজার ৪৫৩ একর বনভূমি দখল হয়েছে। এর মধ্যে ১.৩৮ লাখ একর সংরক্ষিত বনভূমি। এসব তথ্য কিছুদিন আগের। ইতোমধ্যে এর পরিমাণ অনেক বেড়েছে। প্রতিদিন অসংখ্য অবৈধ করাতকলের মাধ্যমে অবাধে ব্যাপক কাঠ চেরানো হচ্ছে প্রশাসনের নাকের ডগায়। কোন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। এছাড়া, অন্য নানা কারণেও প্রতিদিন বহু গাছ কাটা হচ্ছে। ফলে গাছের সংখ্যা ক্রমশ: হ্রাস পাচ্ছে!

এ অবস্থায় ‘বাংলাদেশ বনশিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশন আইন-২০২২’ খুবই প্রয়োজনানুগ। তাই এটি দ্রæত সংসদে পাস করে বাস্তবায়ন করতে হবে। তবে, এই আইনের একটি ধারা নিয়ে সমালোচনা চলছে। সেটি হচ্ছে, ব্যক্তি মালিকানার বড় গাছ কাটতেও সরকারের অনুমতি লাগবে। খসড়া আইনটি অনুমোদন হওয়ার পর মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেছেন, ব্যক্তি মালিকানার বড় গাছ কাটতেও সরকারের অনুমতি লাগার আইন ভারতসহ বহু দেশে রয়েছে। তিনি আরও বলেন, অনুমোদনের বিষয়টি দেশে আগেও ছিল। এখন এটা সহজতর করার জন্য অনলাইনে করার কথা ভাবা হচ্ছে। অন্যান্য বনজশিল্প যেমন, আগর, যেটা সিলেটের একটি এলাকায় হয়, পাশাপাশি সরকারি বন ছাড়াও অন্যান্য যেসব বন আছে, সেগুলোকেও সংরক্ষণের বিশেষ ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে এ আইনে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এ দেশে যে কোন বিষয়ে সরকারের তথা সংশ্লিষ্ট কর্তাদের অনুমতি নেওয়া যে কত ঝামেলার এবং অর্থ ও সময় ব্যয়ের তা সকলেই জানে। অনলাইনে আবেদনের ক্ষেত্রেও তাই। কারণ, অনলাইনে আবেদন করা হলেও তা দেখার দায়িত্ব সরকারি জনবলেরই। সেটা তারা নিয়মিত দেখবে কি-না এবং দেখলেও সাথে সাথে জবাব দেবে কি-না সে ব্যাপারে সংশয় রয়েছে। সর্বোপরি দেশের বেশিরভাগ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে না, বোঝেও না। ভারতসহ বহু দেশে এরূপ অবস্থা নেই। ওই সব দেশের সরকারি জনবল নিজেদের পাবলিকের চাকর মনে করে। এ দেশের সরকারি জনবল নিজেদের দেশের মালিক মনে করে! ফলে সাধারণ মানুষ পারতপক্ষে সরকারী জনবলকে এড়িয়ে চলে। তাই তাদের বেশিরভাগই গাছ কাটার জন্য সরকারি কর্তাব্যক্তির অনুমোদনের জন্য যায়নি। বিনানুমতিতেই কেটে ফেলেছে। ভবিষ্যতেও তাই হবে। কারণ, বাড়ি বা প্রতিষ্ঠান তৈরি, আসবাব পত্রের কাঠের ও জ্বালানির জন্য কাছ কাটতে হয়। এছাড়া, বয়স বেশি হলে, পোকা লাগলে, ফল না দিলে, ঝড়ে অর্ধেক ভেঙ্গে গেলে গাছ কেটে ফেলতে হয়। তাই এটা রোধ করা কঠিন। সর্বোপরি অনেকে ঝামেলা এড়ানোর জন্য গাছ লাগানোই বন্ধ করে দিতে পারে। অনেকেই এমন আছে যে, নিজের একটি কাছ কাটলে পরিবর্তে ৫-৭টি গাছ রোপণ করে।অর্থাৎ ব্যক্তি মালিকানার গাছ কাটতে সরকারের অনুমতির বিধানের কারণে একদিকে আইনটি সঠিকভাবে কার্যকর হবে না অন্যদিকে, বৃক্ষরোপণ হ্রাস পাবে। এই ধারাটির কারণে গোটা আইনটিই বিতর্কিত হতে পারে। এটা হলে ভালো একটি উদ্যোগ নষ্ট হবে। তাতে দেশের মারাত্মক ক্ষতি অব্যাহতই থাকবে। তাই ব্যক্তি মালিকানাধীন বড় গাছ কাটতে সরকারের অনুমোদন লাগার বিষয়টি বাদ দিয়ে তদস্থলে একটি বড় গাছ কাটলে ৫টি গাছ লাগাতে হবে যুক্ত করা হলে মানুষ তা পালন করবে। এছাড়া, বাকী অংশ তথা বনশিল্প কর্পোরেশন উন্নয়ন আইনটি খুবই কল্যাণকর। সরকারি বন ও বনাঞ্চল রক্ষা এবং প্রয়োজনীয় বন সৃষ্টি করা অপরিহার্য। এ ক্ষেত্রে কঠোর পন্থা অবলম্বন করা ছাড়া উপায় নেই। কারণ, বনখেকো ও বৃক্ষখেকোরা খুবই শক্তিশালী। তাই কঠোর পন্থার মাধ্যমেই সরকারি বন থেকে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করতে হবে। বন যেন পুনরায় দখল এবং অবৈধভাবে বৃক্ষনিধন না হয় সে জন্য চারিদিকে স্থায়ী বেষ্টনি তৈরি করে সার্বক্ষণিক নজরদারীর মধ্যে রাখতে হবে। বনে প্রয়োজনীয় বৃক্ষ রোপণ করে নিয়মিত পরিচর্যা করতে হবে। এ ক্ষেত্রে ফলদ, বনজ ও অর্থকরি বৃক্ষ রোপণের দিকে গুরুত্ব দিতে হবে। অবৈধ করাতকল বন্ধ করতে হবে অবিলম্বে। সর্বোপরি সরকারি ও বেসরকারি বন মিলে যদি দেশের মোট আয়তনের ২৫% না হয়, তাহলে সেটা সত্বর পূরণ করতে হবে নতুন বন সৃষ্টি করে। এসব হলেই দেশের বহুমুখী কল্যাণ হবে।

বাংলাদেশের ফুসফুস খ্যাত সুন্দরবনের দিকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। কেননা, এটা শুধুমাত্র ফুসফুস নয়, সমুদ্রের রুদ্ররোষ তথা বন্যা, ঘূর্ণিঝড় ও জ্বলোচ্ছাসের ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পেতে ব্যাপক সহায়তা করে। বিশ্বের বৃহত্তম এই প্রাকৃতিক ম্যানগ্রোভটি বিশ্ব ঐতিহ্যেরও অন্তর্ভুক্ত। তাই সুন্দরবন, তার বৃক্ষ ও প্রাণীকুল এবং অভ্যন্তরীণ ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পরিবেশ ও প্রতিবেশ রক্ষা করা অপরিহার্য। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। জলবায়ু পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য সমগ্র উপক‚লে প্রয়োজনীয় বনাঞ্চল সৃষ্টি করতে হবে।তাতে বড় ধরণের ঝড়, লবণাক্ততা ও খরাসহিঞ্চু বৃক্ষ লাগাতে হবে। সামাজিক বনায়নকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। তাহলে সফলতা বেশি আসবে। বন্যা ও ঘূর্ণিঝড় থেকে কিছুটা হলেও রক্ষা পাওয়া যাবে। সারা দেশে সরকারি জায়গায় যেখানে ফাকা আছে, সেখানেই পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ফলদ, বনজ ও অর্থকরি বৃক্ষ লাগাতে হবে। সড়ক ও মহাসড়কের দু’ধারে বড় বৃক্ষ লাগানো দরকার। ব্যক্তি পর্যায়েও এসব বৃক্ষ ব্যাপকভাবে রোপণ করার জন্য মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। ছাদ বাগান দেশে ক্রমশ জনপ্রিয় হচ্ছে। এটাকে আরও বেগবান করার জন্য মানুষকে উৎসাহিত করতে হবে। মাঠে-ঘাটে ব্যাপক তাল গাছ লাগাতে মানুষকে উৎসাহিত করা দরকার। স¤প্রতি দেশে ব্যাপক বজ্রপাত হচ্ছে এবং তাতে অনেক নিহত-আহত হচ্ছে। গত বছর দেশে বজ্রপাতে ২৬০ জন মানুষ নিহত হয়েছে। এটা ফাকা মাঠেই ঘটছে বেশি। বৃক্ষ বজ্রপাত থেকে রক্ষা করে। কিন্তু মাঠে বড় বৃক্ষ লাগালে তার ডাল ও পাতার কারণে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হবে। তাল গাছে তা হবে না। তাই মাঠে জমির আইলে ও উচুস্থানে পরিকল্পিতভাবে তাল গাছ লাগাতে হবে। তাহলে বজ্রপাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। তাল গাছ ঘরের ছাদে ও জ্বালানি হিসাবেও ব্যবহৃত হয়। এর ফল খুবই সুস্বাদু। আবার বন্যা ও খরা সহিঞ্চুও। উল্লেখ্য যে, বজ্রপাতে মানুষের মৃত্যুহার কমাতে টিআরের টাকায় বজ্রপাত নিরোধক দÐ ও ছাউনি নির্মাণ করার উদ্যোগ নিয়েছে দুর্যোগ মন্ত্রণালয়। কিন্তু এটি খুবই ব্যয়বহুল। তাই তাল গাছ লাগানোই শ্রেয়। ইতোপূর্বে সরকারি উদ্যোগে এটি করা হয়েছে। অপরদিকে, সব নদীর দু’তীরের সীমানায় তাল ও খেজুর গাছ লাগাতে হবে। তাহলে নানাবিধ উপকারসহ ভাঙ্গন থেকে অনেকটা রক্ষা পাওয়া যাবে। নদীর সীমানাও স্থায়ীভাবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে।

দেশব্যাপী ব্যাপকভাবে বৃক্ষ লাগানোর জন্য সাধারণ মানুষকেও উদ্যোগী হতে হবে। প্রয়োজনীয় বৃক্ষ প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার জন্য অপরিহার্য। উপরন্তু বৃক্ষরোপণ এখন খুবই লাভজনকও। দেশে নতুন নতুন দামী ফল উদ্ভাবন হয়ে চাষ হচ্ছে। তাতে চাষিরা খুবই লাভবান হচ্ছে, যার অন্যতম হচ্ছে, সূর্য ডিম আম। এর মূল্য কেজি প্রতি হাজার টাকার অধিক। এছাড়া, একই গাছে দশ ধরনের ফল চাষ হচ্ছে। সৌদি খেজুর, ড্রাগন, ক্যাপসিকাম, ত্বীনসহ ২০ ধরনের বিদেশি ও মূল্যবান ফলের চাষ হচ্ছে এখন দেশে। অপরদিকে, আসবাব পত্রের কাঠের ও জ্বালানি কাঠের মূল্যও অনেক। সর্বোপরি ধর্মীয় দিক দিয়েও বৃক্ষরোপণ খুবই পুণ্যের কাজ। বৃক্ষের মাধ্যমে মানুষের অশেষ কল্যাণ ছাড়াও পাখি ও প্রাণীকুলেরও অনেক কল্যাণ হয়। তাই সার্বিক দিক বিবেচনা করে দেশে বৃক্ষরোপণে সামাজিক বিপ্লব হওয়া দরকার। তাহলে বায়ুদূষণের মাত্রা হ্রাস পাবে। ফল ও কাঠের উৎপাদন বেড়ে চাহিদা পূরণ হবে।

স্মরণীয় যে, প্রয়োজনীয় বনাঞ্চল সৃষ্টি ও বৃক্ষ রোপণ করলে বায়ুদূষণ কমবে। কিন্তু শতভাগ বন্ধ হবে না। বায়ুদূষণ শতভাগ বন্ধ করার জন্য যানবাহন ও কলকারাখানার কালো ধোয়া বন্ধ করতে হবে। এছাড়া, রাস্তা এবং বাড়ি ও প্রতিষ্ঠান নির্মাণের ধুলা বন্ধ করতে নিয়মিত পানি ছিটানোর ব্যবস্থা করা দরকার। অবৈধ সব ইটভাটা বন্ধ এবং বৈধ ইটভাটাগুলোকেও আধুনিক করতে হবে। কয়লা দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ করতে হবে। বৈদ্যুতিক যানবাহন ব্যবহারের দিকে অধিক গুরুত্ব দিতে হবে।

লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বনশিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশন
আরও পড়ুন