Inqilab Logo

শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

ভারসাম্যের কূটনীতি চ্যালেঞ্জ দিল্লির

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১১:৩৪ এএম

এক দিকে তৈরি হওয়া চীন-রাশিয়া অক্ষ, অপর দিকে আমেরিকার সঙ্গে ইউরোপের নতুন জোট গড়ার প্রয়াস— এই দুই মহাশক্তির মাঝে ভারসাম্য রেখে চলা ক্রমশ কঠিন হয়ে দাঁড়াবে ভারতের জন্য। এমনটাই মনে করছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, পরিস্থিতি অনুযায়ী অত্যন্ত সতর্ক পদক্ষেপ করতে হবে নয়াদিল্লিকে।

গত শুক্রবার ‘রুশি-চিনি ভাই ভাই’ হয়েছে! রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বলেছেন, দু’দেশের সহযোগিতার ক্ষেত্রে আর ‘কোনও সীমারেখাই’ থাকবে না। চলতি সপ্তাহে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শোলৎজ। ইউরোপ এবং আমেরিকার মধ্যে একটি চীন-বিরোধী ব্লক তৈরিতে সেতুবন্ধনের কাজ করছেন জার্মানির চ্যান্সেলর।

রাশিয়া-চীন এবং আমেরিকা-ইউরোপের কিছু দেশ— তৈরি হচ্ছে দু’টি মহাশক্তিধর জোট বা ব্লক। প্রশ্ন উঠছে, যুযুধান দুই পক্ষের রাজনীতির মধ্যে ভারত কোন পথে হাঁটবে? কূটনৈতিক বিশ্লেষকদের একটা বড় অংশের মতে, বিষয়টি ভারতের হাতে নেই। গোটাটা নির্ভর করছে অনেকগুলি পরিস্থিতির উপর। প্রথমত, ওই দুই সম্ভাব্য জোট অদূর ভবিষ্যতে পরস্পরের বিরুদ্ধে কতটা সুর চড়াবে, তার উপরে নির্ভর করছে ভারতের কৌশলগত পথনির্দেশিকা।

পাশাপাশি, চীন, রাশিয়া এবং আমেরিকার সঙ্গে ভারতের নিজস্ব দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের দিকটিও খুবই জরুরি। এমন একটি সময় দুই বৃহৎ শক্তিজোটের মধ্যে পারস্পরিক রেষারেষি হচ্ছে, যখন ভারতের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক ক্রমশ তলানিতে পৌঁছচ্ছে। নয়াদিল্লি এখন স্বাভাবিক ভাবেই আগের তুলনায় অনেক বেশি পশ্চিমে ঝুঁকে থাকতে বাধ্য হচ্ছে। এই সপ্তাহেই বসবে আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া এবং জাপানের সঙ্গে ভারতের চীন-বিরোধী চতুর্দেশীয় অক্ষ কোয়াড-এর পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক। মে মাসে এই চারটি দেশের শীর্ষ নেতাদের বৈঠক। এই বৈঠকগুলিতে চীন-রাশিয়া অক্ষকে কী ভাবে দেখা হবে তা নিয়ে অবশ্যই আলোচনা হবে।

কূটনৈতিক শিবিরের মতে, এশিয়ায় ও ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের আগ্রাসী কূটনীতি ও রণনীতির কারণে যদি আমেরিকা আঞ্চলিক সহযোগী হিসাবে ভারতের গুরুত্ব কিছুটা বাড়াতে শুরু করে (ইতিমধ্যেই যা শুরু করছে ওয়াশিংটন), তবে রাশিয়ার সঙ্গেও দর কষাকষির ক্ষেত্রে কিছুটা বাড়তি জায়গা পাবে নয়াদিল্লি। তবে পথ যথেষ্ট জটিল বলেই মনে করা হচ্ছে। সূত্র: টাইমস নাউ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত-যুক্তরাষ্ট্র


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ