পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক সাফায়েত মাহবুব ফারাইজিকে হত্যার অভিযোগে বাড্ডা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার তয়াছের জাহানসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। মামলার অপর আসামিরা হলেন- ভাটারা থানার এসআই মশিউর, ভিকটিমের ‘বান্ধবী’ সুজানা তাবাসসুম সালাম, আফতাব, শাখাওয়াত, আসওয়াদ, বাড়ির মালিক কামরুল হক ও কেয়ারটেকার রিপন।
গতকাল ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাতুল রাকিবের আদালতে এ মামলা করেন ফারাইজির মা শামিমুন নাহার। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ শেষে পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) আগামী ৯ মার্চ তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। বাদীর আইনজীবী সারোয়ার হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, জন্মদিন পালনের জন্য ভুক্তভোগী সাফায়েত মাহাবুব ফারাইজী ২০২১ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে আসেন। এরপর সাফায়েত তার মা শামীমুন নাহার লিপির সঙ্গে আসামি সুজানা তাবাসসুম সালাম, মো. আফতাব, মো. শাখাওয়াত ও আসওয়াদকে বন্ধু বলে পরিচয় করে দেন। মাঝে মধ্যে আসামি সুজানা তাবাসসুম সালাম দেখা করতে ভুক্তভোগী সাফায়েতের বাসায় আসতেন।
পরে এ মামলার বাদী শামীমুন নাহার জানতে পারেন, আসামিরা তাদের বাসায় নেশা গ্রহণ করেন এবং ছেলে সাফায়েতকে তা খেতে বলতেন। এরপর আসামি সুজানা তাবাসসুমকে ভুক্তভোগী সাফায়েতের সঙ্গে দেখা ও বাসায় আসতে না করেন তিনি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ২০২১ সালের ২৩ নভেম্বর আসামি সুজানা তাবাসসুম, মো. আফতাব, মো. শাখাওয়াত ও আসওয়াদ পরস্পর যোগসাজশে বাদীর বাসায় গিয়ে গালিগালাজ ও আঘাত করেন। তখন বাদী ৯৯৯- এ কল করে রামপুরা থানা থেকে পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করেন। পরে পুলিশ এসে বিষয়টি মীমাংসা করে। এরপর ভুক্তভোগী সাফায়েত আসামিদের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন।
পরবর্তীতে ১০ ডিসেম্বর বাদী ও তার ছেলে সাফায়েত গুলশানে কাজে যান। সেখান থেকে বাসায় ফেরার পথে আসামি সুজানা তাবাসসুম, মো. আফতাব, মো. শাখাওয়াত ও আসওয়াদ তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে তারা আহত হন। পরে তারা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে সাধারণ ডায়েরি করার জন্য গুলশান থানায় যান। কিন্তু থানা তাদের সাধারণ ডায়েরি গ্রহণ করেনি। এ ঘটনার দিন আসামিরা বাদীর বাড়িতে গিয়ে তাবাসসুমের সঙ্গে সাফায়েতের যোগাযোগ ও সম্পর্ক রাখতে বলেন। নাহলে সাফায়েত দেশে থাকতে পারবে না বলে জানায়।
গত ২৫ ডিসেম্বর ভুক্তভোগী সাফায়েত বড়দিনের অনুষ্ঠান পালন করতে বের হন এবং রাত পৌনে ১২ টায় ফিরে আসেন। এ সময় আসামি সুজানা তাবাসসুম, মো. আফতাব, মো. শাখাওয়াত ও আসওয়াদকে দেখে বাদী রাগান্বিত হন। তখন ভুক্তভোগী সাফায়েত তাদের নিয়ে চলে যান। পরবর্তী সময়ে ভুক্তভোগী সাফায়েত আর বাসায় ফিরে আসেননি। এরপর ২৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬ টার দিকে ভাটারা থানা এলাকা থেকে ভুক্তভোগী সাফায়েতের লাশ উদ্ধার করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।