Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

৬ সদস্যের কমিটিতে ৩ জন বিচারপতি কেন?

সার্চ কমিটি নিয়ে প্রশ্ন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:০২ এএম

বর্তমান নির্বাচন কমিশন আইনের মাধ্যমে শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠন করা সম্ভব না বলে মন্তব্য করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, সার্চ কমিটির সদস্য ৬ জন, তার মধ্যে তিনজনই বিচারপতি। একটা সার্চ কমিটিতে তিন জন বিচারপতির প্রয়োজন আছে কিনা? এই প্রশ্ন তাদের নিজেদের মনে ওঠা প্রয়োজন ছিল। এটা অশোভনীয়, এটা হয় না। দেশ যখন নৈরাজ্যে ভোগে, ন্যায়নীতি কারও মনে থাকে না। দেশে যদি প্রকৃত নির্বাচন করতে হয়, জনগণকে যদি ভোটের অধিকার ফেরত দিতে হয়, তাহলে শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন দরকার। বর্তমান আইনে সেই ব্যবস্থা নেই। গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ভাসানী অনুসারী পরিষদ আয়োজিত ‘ঐতিহাসিক কাগমারী সম্মেলন দিবস’ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, যারা সার্চ কমিটিতে আছেন, তারা তাদের সম্পত্তির হিসাব দেননি। তাহলে তাদের প্রতি আস্থা থাকবে কী করে। নির্বাচন কমিশনার হিসেবে সত্যিকারের সাহসী ও সজ্জন ব্যক্তিকে দিলে হয়তো নির্বাচন কিছুটা সুষ্ঠু হতে পারে। তিনি বলেন, ৬ সদস্যের একটা সার্চ কমিটিতে তিন জন বিচারপতির প্রয়োজন আছে কিনা? এই প্রশ্ন তাদের নিজেদের মনে ওঠা প্রয়োজন ছিল। এটা অশোভনীয়, এটা হয় না। দেশ যখন নৈরাজ্যে ভোগে, ন্যায়নীতি কারও মনে থাকে না।

নির্বাচন কমিশনে দায়িত্ব পালনে যোগ্য মনে করেন এমন কয়েকটি নাম উল্লেখ করে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, আমাদের অনেক রাজনৈতিক দল কমিশন হিসেবে নাম এখনও মনস্থির করেনি। বিএনপি বলেছে, নাম দেবে না। তবে কয়েকটা নাম আপনারা বিবেচনায় আনতে পারেন।

সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, জাতীয় সরকার করুন, আর সর্বদলীয় সরকারই করুন, তাদেরকে দুবছর সময় দিতে হবে। তাহলেই সংবিধানে যে কতগুলো ত্রুটি আছে, সেগুলো সংশোধন হবে। তিনি বলেন, সাখাওয়াত হোসেন আগে নির্বাচন কমিশনার ছিলেন, তাকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার করা হলে তিনি পথঘাট চেনেন, তিনি শক্তভাবে কাজগুলো করতে পারবেন। তার সঙ্গে সাবেক সেনা কর্মকর্তা ইকবাল করিম ভূঁইয়া, তিনি আজিজ নন, সজ্জন ব্যক্তি হিসেবে তার সুনাম আছে। ড. বদিউল আলম মজুমদার ও বিচারপতি নাজমুন আরা, সুলতানা কামালের মতো সত্যিকারে সজ্জন ও সাহসী লোকজনদের কমিশনে আনলে কমিশন কিছুটা বিতর্ক মুক্ত থাকবে।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আমরা যদি ভেবে কাজ করতাম, আমাদের ব্যক্তিত্বের সংকট বলি, দেশের জনগণের কথা বলি, মানুষের কষ্টের কথা বলি, সেরকম কিছু হতো না। আজ কী করে বলছেন সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্য চাই।

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, আওয়ামী লীগের পূর্বের ইতিহাস ষড়যন্ত্রের রক্তাক্ত ইতিহাস। তারপরও তারা একইভাবে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রেখেছে আন্তর্জাতিক শক্তিগুলোর মাধ্যমে। এক সময় আন্তর্জাতিক শক্তিগুলো সবাই একচেটিয়াভাবে তাদের সমর্থন করেছিল। সেই শক্তির জোরে তারা রাষ্ট্র, জনগণের ট্যাক্সের টাকায় চালিত প্রশাসনকে দলীয় শক্তিতে পরিণত করেছে। মানুষের উপরে ত্রাস সৃষ্টি করে, দমন নিপীড়ন চালিয়েছে। এখন আন্তর্জাতিক শক্তির সমর্থনে ফাটল ধরেছে। আওয়ামী লীগ এখন কম্পমান।
গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, আওয়ামী লীগ এক সময় গণমানুষের দল ছিল, তাদের তুমুল জনপ্রিয়তা ছিল। কিন্তু তারা সেই জনপ্রিয়তা হারিয়ে ফেলেছে। তারা এখন দুর্বৃত্তের দলে পরিণত হয়েছে।

আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু প্রমুখ।



 

Show all comments
  • মোহাম্মদ দলিলুর রহমান ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৪:৫৫ এএম says : 0
    আসলে জাতীয় নির্বাচন একেবারে সিদা সাদা অযথা এইটা সেইটা,সার্স কমিটির কি পয়োজন সেনাবাহিনী কে নির্বাচনের সব দায়িত্ব দিয়ে দেওয়া হউক,নির্বাচন শেষ করে যারা জনগণের ভোটে জয়ী হবেন তাদের হাতে সেনাবাহিনী ক্ষমতা প্রদান করবেন।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সার্চ কমিটি

১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২
১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ