পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সার্চ কমিটির কাছে নাম দেওয়াকে অর্থহীন বলেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আমাদের কাছে এইগুলোর (সার্চ কমিটিতে নাম দেয়া) কোনো মূল্য নেই, অর্থহীন। আমরা নাম দেওয়ার তো প্রশ্নই উঠতে পারে না। আমরা গতবারের অভিজ্ঞতা এবং এর আগের অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি এগুলোতে কোনো লাভ হয় না। সরকার যে থাকে তার যে পছন্দনীয় কমিশন তারা তৈরি করবে সেটাই তারা তৈরি করে। নির্বাচন কমিশনে (ইসি) নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোকে আগামী চারদিনের মধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচন কমিশনার পদে নাম প্রস্তাব করতে সার্চ কমিটির সিদ্ধান্তের প্রতি সাংবাদিকরা দৃষ্টি আকর্ষণ করলে গতকাল সোমবার বিএনপি মহাসচিব এই মন্তব্য করেন।
এদিন সকাল ১১টায় বিএনপি মহাসচিব পান্থপথে বিআরবি হাসপাতালে নাটোরের গরুদাসপুর উপজেলার সভাপতি সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজকে দেখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের সার্চ কমিটির প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল অভিযোগ করে বলেন, আমরা মনে করি যে, আওয়ামী লীগ নিজেদের ক্ষমতায় টিকে থাকবার জন্যে, আবার ক্ষমতায় যাওয়ার জন্যে যা যা করা দরকার তাই করছে। অর্থ্যাৎ তারা আইনও একটা প্রণয়ন করে নিয়েছে। যেটা সম্পূর্ণভাবে জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে, জনগণ এটা চায়নি। এই সার্চ কমিটি, ওল্ড ওয়াইন ইন দ্য নিউ বোতল (নতুন বোতলে পুরনো মদ- প্রবাদের মতো)। গত দুইবার যেভাবে করেছে ঠিক একইভাবে আবারো জাস্ট একটা খোলস লাগিয়ে মানুষকে প্রতারণা করা। দেখানো যে, আমরা এভাবে করছি, সুন্দরভাবে করছি দেখো, সকলের মতামত নিচ্ছি, নিয়ে করছি। তারপর দেখা যাবে যে, সেই হুদার (কেএম নুরুল হুদা) মতো লোকজনকেই তারা প্রধান নির্বাচন কমিশনার করবে। এই সার্চ কমিটির মধ্যে আপনারা নিশ্চয় লক্ষ্য করেছেন যে, বেশিরভাগ সদস্যই আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত। একজন আছেন যিনি আওয়ামী লীগের নমিনেশন চেয়েছিলেন।
তিনি বলেন, এই ধরনের সার্চ কমিটি তারা তৈরি করবে এটা আমরা আগে থেকেই জানতাম। জানি বলেই প্রেসিডেন্টের কাছে যাওয়ার ব্যাপারে আমরা না করে দিয়েছি। এখনো বলেছি যে, এই নির্বাচন কমিশন ও সার্চ কমিটি সেটা আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কখনোই গ্রহনযোগ্য হবে না। নির্বাচনই গ্রহনযোগ্য হবে না যদি সেটা নির্বাচনকালীন সময়ে আওয়ামী লীগ সরকার থাকে। আমরা মনে করি, নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে না।
সরকারি নিপীড়ন বেড়েছে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, কিছুদিন ধরে রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর সরকারি নিপীড়ন বেড়েছে, বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর ওপরে আওয়ামী সন্ত্রাসী কার্যকলাপ অনেকটা বেড়েছে। গণতান্ত্রিক সমস্ত স্পেসগুলোকে তারা ধবংস করে দিচ্ছে। একটা মিটিং করতে দেয় না। রোববার নয়াপল্টনের অফিসের সামনে ছাত্রদলের ছেলেরা একটা সভা করতে গিয়েছিলো। সেখানে জয়গা পর্যন্ত দেয়া হয়নি। কোনো স্পেস দেয়া হচ্ছে না।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টা এখন গোটা বিশ্বে স্বীকৃত, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। ইতোমধ্যে বাংলাদেশের র্যাবের কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এই ধরনের নিষেধাজ্ঞা তখনই আসে যখন একটা দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়, জনগণকে নির্যাতন করা হয় এবং জোর করে ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করে সরকার। এক প্রশ্নের জবাবে মিয়ানমারের সেনা শাসিত সরকারের প্রসঙ্গ টেনে বিএনপি মহাসচিব বলেন, চরিত্র একটাই। বাংলাদেশ সরকারের যে চরিত্র, মিয়ানমার সরকারের একই চরিত্র। ওদের মিলিটারি ক্ষমতা জান্তা নিয়েছে। এরা (সরকার) জনগণকে বন্দুকের নল দিয়ে দমিয়ে রাখছে এবং মানুষের আশা-আকাক্সক্ষাকে ধ্বংস করে দিচ্ছে।
গুমের বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এটা হাস্যকর শুধু নয়, অত্যন্ত দুঃখজনক। কারণ যাদের সন্তান গেছে, যার স্বামী গেছে, যাদের পরিজন গেছে। বাংলাদেশের মানুষ জানে তাদেরকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী তুলে নিয়ে গিয়েছিলো। এই সরকার তো এখন পর্যন্ত জবাব দেয়নি। আমি পররাষ্ট্র মন্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করতে চাই যে, কারা কারা ভূ-মধ্যসাগরে সলিল সমাধি হয়েছে তাদের নামগুলো প্রকাশ করুন। যারা গুম হয়েছে তাদের মধ্যে কারা কারা গেছে। তাহলে আমরা মনে করবো যে, আপনারা জানেন যে, ভূ-মধ্যসাগরে আপনারা কাদেরকে কাদেরকে আপনারা সমাধি করেছেন, আপনারা সেগুলো জানতেন।
এই সময়ে দলের সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুসহ নাটারের স্থানীয় বিএনপি, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।