পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভারতের তৈরি ৪২০ মালবাহী বগি কিনছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। পণ্য পরিবহনের সক্ষমতা বাড়াতে এসব মালবাহী বগি কেনা হচ্ছে। দেশটির একটি বেসরকারি কোম্পানি থেকে কেনা বগি ৩০ মাসের মধ্যে রেলে যুক্ত হবে। এসব বগি কিনতে খরচ করা হচ্ছে ২ কোটি ৭১ লাখ ৩৫ হাজার ২১০ ডলার বা ২৩৩ কোটি ২০ লাখ টাকার মতো। এ লক্ষ্যে গতকাল রোববার হিন্দুস্তান ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের রোলিং স্টক অপারেশন উন্নয়ন প্রকল্প (রোলিং স্টক সংগ্রহ)-এর আওতায় এসব বগি কেনা হবে। এতে অর্থসহায়তা দিচ্ছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক বা এডিবি। রেল ভবনের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রকল্প পরিচালক মিজানুর রহমান এবং সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের ভাইস প্রেসিডেন্ট (মার্কেটিং) প্রদীপ গুহ চুক্তিতে সই করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। রেলসচিব হুমায়ুন কবীর ও রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্র নাথ মজুমদার এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে রেলমন্ত্রী বলেন, এ প্রকল্পে এমনিতেই অনেক দেরি হয়ে গেছে। আমরা চাই হিন্দুস্থান ইঞ্জিনিয়ারিং নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই বগিগুলো সরবরাহ করবে। আমরা তাদের কাছে মানের দিক থেকে ইউরোপীয় স্ট্যান্ডার্ড বগি চাই এবং একটু সস্তায় চাই। আমাদের লোকোমোটিভ স্বল্পতা, অনেক রোলিংস্টক স্বল্পতা রয়েছে। আমরা চাই রেলের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, হিন্দুস্তান ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে কেনা এসব ব্রডগেজ মালবাহী বগির সর্বোচ্চ ধারণক্ষমতা হবে ১৮ দশমিক ৫ টন। সর্বোচ্চ ১০০ কিলোমিটার বেগে ছুটতে পারবে বগিগুলো। ৪২০টি বগির মধ্যে ২৯০টি কাভার্ড ওয়াগন, ১১৬টি ওপেন ওয়াগন এবং ১৪টি বগি ব্রেক ভ্যান ধরনের। সবগুলো বগি হবে স্টেনলেস স্টিলের তৈরি। ফলে সেগুলোতে মরিচা ধরবে না বলে জানানো হয়।
প্রকল্পটির প্রায় শেষ পর্যায়ে এসে বগিগুলো কেনা হচ্ছে। ২০১৮ সালের জুলাইয়ে শুরু হওয়া প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা আগামীর জুনে। টেন্ডারসহ নানা জটিলতায় এতদিন প্রকল্পটির কাজ স্থবির ছিল। মেয়াদ বাড়াতে প্রকল্পটি সংশোধনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানান পরিচালক মিজানুর রহমান।
আগামী ১৮ মাসের মধ্যে কোম্পানিটি এসব বগি সরবরাহ শুরু করবে এবং ২৭ মাসের মধ্যে সরবরাহ করা শেষ করবে। পরের তিন মাসের মধ্যে বগিগুলোর কমিশনিং সম্পন্ন হবে। সব মিলিয়ে ৩০ মাসের জন্য চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে হিন্দুস্তান ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সঙ্গে। এ প্রকল্পের আওতায় ১ হাজার বগি সংগ্রহ করা হবে। বাকি বগিগুলো আসবে চীন থেকে।
গত ২৮ ডিসেম্বর ৫৮০টি বগি কিনতে চীনা প্রতিষ্ঠান সিআরআরসি স্যানডং কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি করেছিল রেলওয়ে। ৩ হাজার ৬০২ কোটি টাকার এই প্রকল্পে ২ হাজার ৮৩৯ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।