Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

২০২৪ থেকে তিমি শিকার বন্ধ আইসল্যান্ডে

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১১:৪৯ এএম

২০২৪ সাল থেকেই সমুদ্রে তিমি শিকার বন্ধ করে দেবে আইসল্যান্ড। একদিকে দ্রুত গতিতে তিমির সংখ্যা হ্রাস এবং অন্যদিকে ক্রমশ বেড়ে চলা সমালোচনা, এই দুইয়ের জেরেই তাদের এই সিদ্ধান্ত বলে দাবি সরকারি সূত্রের।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন দেশের মৎস্য ও কৃষি মন্ত্রী ভ্যানদিস ভ্যাভার্সদোত্তির। তিনি জানিয়েছেন, সরকার চাইলেও এখনই তিমি শিকার বন্ধ করা সম্ভব নয়। কারণ, নির্দিষ্ট চুক্তির ভিত্তিতে মৎস্যজীবীরা তিমি শিকার করেন। তাদের অধিকাংশেরই ২০২৪ সাল পর্যন্ত তিমি শিকারের লাইসেন্স রয়েছে। তারপরই এই বিষয়ে নতুন পদক্ষেপ করা সম্ভব।

আইসল্যান্ডের এই সিদ্ধান্তের পিছনে অর্থনৈতিক কারণও যে রয়েছে তাও স্বীকার করে নিয়েছেন মন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, ইদানীং সেভাবে আর বড় তিমি পাওয়া যাচ্ছে না। যে তিমিগুলি মৎস্যজীবীদের ফাঁদে উঠছে, তার থেকে বিশাল কিছু মুনাফাও হচ্ছে না। ফলে তিমি শিকার করে দেশের অর্থনীতির আর কোনও লাভ হচ্ছে না। উপরন্তু, আন্তর্জাতিক মহলে সমালোচনা বাড়ছে। তাই ২০২৪ সালের পর আর তিমি শিকারের অনুমতি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

এই প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, "এতদিন আইসল্যান্ডে শিকার করা তিমির সবথেকে বড় ক্রেতা ছিল জাপান। সেদেশে তিমির মাংসের ভালো চাহিদা রয়েছে। কিন্তু, ইদানীং সেই চাহিদাতেও ভাটা পড়েছে। তিমি শিকার করে যখন জাতীয় অর্থনীতির কোনও লাভই হচ্ছে না, তখন আমরা কেনই বা ঝুঁকি নিয়ে তিমি শিকার চালিয়ে যাব?" প্রসঙ্গত, ৩০ বছর ধরে তিমি শিকার নিষিদ্ধ থাকার পর ২০১৯ সাল থেকে জাপানে ফের বাণিজ্যিকভাবে তিমি শিকার শুরু হয়। ফলে তিমির মাংস সংগ্রহের জন্য আইসল্যান্ডের উপর তাদের নির্ভরতা কমে। এতে জাপানের সুবিধা হলেও, আইসল্যান্ডের লোকসান হয়েছে।

১৯৮৬ সালে তিমি শিকার নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল 'আন্তর্জাতিক তিমি শিকার কমিশন' (আইডাব্লিউসি)। কিন্তু, ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে জাপান আইডাব্লিউসি থেকে বেরিয়ে যায়। দেশে যাতে ফের তিমি শিকার শুরু করা যায়, তার নিশ্চিত করতেই এই সিদ্ধান্ত নেয় তারা। এই প্রেক্ষাপট টেনে ভ্যানদিস ভ্যাভার্সদোত্তির বলেন, তিমি শিকার নিয়ে বিশ্বজুড়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে। কারণ, তিমির শিকার বাড়লে সমুদ্রের বাস্তুতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

পাশাপাশি, আমেরিকার খুচরো দোকানগুলিতেও আইসল্যান্ডের বিভিন্ন পণ্যের বিক্রি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আইসল্যান্ড তিমি শিকার চালিয়ে যাওয়াতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। এতে আইসল্যান্ডের বড় আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। প্রসঙ্গত, জাপানের পর ১৯৯২ সালে আইসল্যান্ডও আইডাব্লিউসি ছেড়ে বেরিয়ে আসে। কিন্তু পরে তারা আবারI আইডাব্লিউসি-তে যোগ দেয়। তবে সেই সময় তিমি শিকার বন্ধের বিরোধিতা করাই ছিল আইসল্যান্সের লক্ষ্য। এখন অবশ্য পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করেছে। সূত্র: সিএনএন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আইসল্যান্ড

২৬ মার্চ, ২০২১

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ