নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস ডেস্ক : চার বছর আগেও ফিফা র্যাংকিংয়ে যে দলের অবস্থান ছিল ১শ’ ত্রিশের উপরে, সেই দলের অবস্থান এখন মাত্র ৩৪! আইসল্যান্ড ফুটবলের এই রুপকথার শুরু সেই বাছাই পর্ব থেকে। সেখানে নেদার্যরান্ডসকে বিদায় করে প্রথমবারের মত ইউরোর মূল পর্বে জায়গা করে নেয় মাত্র ৩ লাখ ৩০ হাজার জনসংখ্যার দেশটি। মূল পর্বে এসেও অব্যাহত আছে তাদের সেই স্বপ্নযাত্রা। ইউরোপের অন্যতম শক্তিশালী দুই দল পর্তুগাল আর হাঙ্গেরির বিপক্ষে ১-১ গোলের ড্র, এরপর ফিফা র্যাংকিংয়ের দশ নম্বর দল অস্ট্রিয়াকে হারিয়ে শেষ ষোলয় জায়গা করে নেয়া। তবে আসল রূপকথার জন্ম হয়নি তখনও। শেষ আটে এসে পিছিয়ে থেকেও একেবারে চ্যাম্পিয়নদের মত খেলেই ইংল্যান্ডকে তারা ধরাশায়ী করে ২-১ গোলে! উড়তে থাকা এই আইসল্যান্ডের আজকের প্রতিপক্ষ শিরোপাশায় বিভোর স্বাগতিক ফ্রান্স।
ইতিহাস, ঐতিহ্য, রেকর্ড, পরিসংখ্যান সবই ফরাসিদের অনুকূলে। এ পর্যন্ত ফ্রান্স যে বড় দুই বৈশ্বিক ফুটবল শিরোপা জিতেছে তা স্বাগতিক হয়েই (ইউরো ১৯৮৪ ও বিশ্বকাপ ১৯৯৮)। রেকর্ডও বলছে ঘরের মাঠে শেষ ১৬ ম্যাচের ১৪টি-ই জিতেছে তারা, হার নেই একটিও। ঘরের মাঠে তাদের শেষ হারও অর্ধশতকেরও আগে, ১৯৬০ সালে। এছাড়া ১৯৫৭ সালের বিশ্বকাপে সেই যে ৮-০ গোলের বিশাল ব্যবধানে তাদের কাছে হেরেছিল আইসল্যান্ড, আজও পর্যন্ত সেই ধারা অব্যহত আছে, শুধু হারের ব্যবধান কমেছে মাত্র। চার বছর আগে শেষ প্রীতি ম্যাচে আইসল্যান্ড হেরেছিল ৩-২ গোলে। এরপরও ফ্রান্সকে একতরফাভাবে ফেভারিট বলা যাচ্ছে না, সেটা প্রতিপক্ষের নাম আইসল্যান্ড বলেই! আউসল্যান্ডাররা যে এখন রুপকথার সহযাত্রী। ইংল্যান্ডও তো এমনি অপরাজেও ছিল তাদের বিপক্ষে। ঠিকই তো তাদের হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে তারা।
সেদিন ইংল্যান্ডের ধরাশায়ী হওয়ার আসল কারণটা প্রকাশ করলেন ফরাসি ডিফেন্ডার পাত্রিক এভরা। সাবেক ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড তারকা বিশ্বাস করেন, আইসল্যান্ডকে যথেষ্ট শ্রদ্ধা জানাতে সেদিন ব্যর্থ হয়েছিল ইংল্যান্ড। যে কারণে হেরেছিল তারা। কথার সত্যতা মেলে সেদিনের ম্যাচে জয়ের নায়ক সিগুর্ডসনের কথায়ও, “ওরা (ইংল্যান্ড) ভেবেছিল ম্যাচটা অনায়াসে জিততে পারবে, যেন পার্কে বেড়াতে এসেছে।”
প্রতিপক্ষ যতই বড় হোক একবুক আশা আর কিছুই না হারানোর মুক্তচিন্তাই এই ম্যাচে আইসল্যান্ডের সবচেয়ে বড় শক্তি। দলের যুগ্ম প্রধান কোচ হেইমার হলগ্রিমসন তো ইংল্যান্ডকে হারিয়ে বলেছেনই, “আমি মনে করি লেস্টার সিটির মত করেই আমরা আসরে সমাপ্তি টানতে পারি। তারা খেলেছে তাদের সাধ্যমত, আমরা চেষ্টা করছি আমাদের সাধ্যনুযায়ী।” (উল্লেখ্য গেল প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা জয়ী দল লেস্টার সিটি। এর আগের মৌসুমে লিগ থেকে অবনমনের জন্য লড়ছিল তারা।) হেইমার আরো বলেন, “দু’দলেরই টিম স্প্রিট চরমে। জয়ের সুযোগও তাই দুই দলের সমান সমান।”
ফরাসি কোচ দিদিয়ার দেশম আজ দলে পাবেন না দলের অন্যতম তারকা এনগোলো কন্তেকে। রিপাবলিক অব আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে আসরে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড পাওয়ায় এই ম্যাচে খেলতে পারবেন না লেস্টার তারকা। কন্তের বিশ্বাস, তার দল জয় অব্যহত রাখবে। তবে আইসল্যান্ডকে ঠিকই সমীহের সুরে ৩৫ বছর বয়সী বলেন, “আইসল্যান্ডের প্রতি আমাদের পূর্ণ শ্রদ্ধা আছে, এর মানে আবার এই না যে আমরা তাদের হারাতে পারব না।”
ষ ফুটবলে আইসল্যান্ড কখনোই ফ্রান্সকে হারাতে পারেনি। দু’দলের মোট ১১ বারের সাক্ষাতে ফ্রান্সের জয় ৮টি, বাকি ৩টি ড্র।
ষ দু’দলের শেষ দুই সাক্ষাতের ম্যাচে গোল হয়েছিল ১০টি, দুটিই ফ্রান্স জিতেছিল ৩-২ ব্যবধানে।
ষ ঘরের মাঠে বড় কোন আসরে ৫৬ বছর ধরে অপরাজিত ফ্রান্স। ১৬ ম্যাচে জয় ১৪টি, দু’টি ড্র।
ষ এবারের আসরে লক্ষ্য বরাবর আইসল্যান্ডের চেয়ে ৪৪টি বেশি শট নিয়েছে ফ্রান্স, কিন্তু গোল সংখ্যা দু’দলেরই সমান (৬টি)।
ষ আসরে প্রথমবারের মত অংশ নিয়ে এখনো অপরাজিত আইসল্যান্ড। গ্রæপ পর্বে দুই ড্র, একটি জয়।
ষ ওয়েলসের সাথে আইসল্যান্ডই একমাত্র দল যারা প্রতি ম্যাচেই গোল করেছে। তবে আইসল্যান্ডের হয়ে গোল ৬টি করেছেন ৬ জন ভিন্ন খেলোয়াড়!
ষ চার ম্যাচেই একই একাদশ নিয়ে খেলা শুরু করেছে আইসল্যান্ড।
ষ অঁতোয়ান গ্রিজম্যান শেষ ৪ ম্যাচে করেছেন ৩ গোল। কিন্তু স্টেডি ডি ফ্রান্সে ৬০৩ মিনিট ধরে জালের দেখা পাননি অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ স্ট্রইকার!
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।