বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ভারতের জাতীয় বার্তা সংস্থা ইউনাইটেড নিউজ অব ইন্ডিয়ার (ইউএনআই) বাংলাদেশের বিশেষ প্রতিনিধি সাংবাদিক মীর আফরোজ জামানকে আশুলিয়ার ভূমিদস্যু ও কতিপয় জালিয়াত চক্র বেশ কিছুদিন ধরে মোবাইলে নানা ভাবে হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সাংবাদিক মীর আফরোজ জামান উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেছেন।
(জিডি নাম্বার ১৯৩, ০৩/০২/২০২২) র্যাব ও সিআইডিকে বিষয়টি অবহিত করা হলেও এখন পর্যন্ত তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। মীর আফরোজ জামান বলেন, বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাত আনুমানিক সোয়া দশটার দিকে একটি মোবাইল নম্বর থেকে পর পর বেশ কয়েকটি কল আসে। কিন্তু কোনো কথা বলে না। ওই একই নম্বর থেকে পুনরায় রাত পৌনে ১২টার দিকে আবারও কল দেওয়া হয় কিন্তু আমি ধরতে ধরতেই কলটি কেটে দেয়। প্রায় এক মাস ধরে আমাকে এই ভাবে কল দেওয়া হচ্ছে। আমি মনে করি এটি আমার পেশাগত দায়িত্ব পালন করার ক্ষেত্রে বড় ধরণের হুমকি।তিনি বলেন, ২০১৬ এবং ২০১৮ সালে উত্তরা পশ্চিম থানায় এ সংক্রান্ত দুটো জিডি করার পরেও পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। ডেইলি সান, ভোরের কাগজ থেকে শুরু করে বেশ কিছু মিডিয়া নিউজ করেছিল।
মীর আফরোজ জামান বলেন, ২০০৫ সালে আশুলিয়ার শ্রীখন্ডিয়ায় সোয়া সাত শতাংশ জমি ক্রয় করে ২০০৮ সালে সেখানে একটি পরিবার বসবাস করার মত টিনসেডের একটি বাড়ি নির্মাণ করি। আমার বাবা-মা অনেকদিন ওই বাড়িতে ছিলেন। পরে একটি ভাড়াটিয়া পরিবার বেশ কিছুদিন ছিল। কিন্তু এলাকার কিছু চাঁদাবাজ ভূমিদস্যু চক্র ওই ভাড়াটিয়াকে বিরক্ত করত। পরে ভাড়াটিয়া বাড়ি ছেড়ে দিয়ে অন্যত্র চলে যায়। সেই থেকে বাড়টি তালাবন্ধ অবস্থায় ছিল। তিনি বলেন, সর্বশেষ গত বছরের নভেম্বর মাসের ২ তারিখে আমার স্ত্রীসহ ওই বাড়িতে গিয়ে দেখি দরজার তালা ভাঙা, ঘরের ভেতরে যত জিনিস ছিল সেগুলো কিছুই নেই। পরে আমি স্থানীয় জনগণের সামনে দুটো তালা কিনে দরজায় লাগিয়ে দেই এবং ওইদিনই আশুলিয়া থানায় একটি জিডি করি (১৭৩ তাং ০২/১১/২০২১) এবং ঢাকার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে একটি সিআর মামলা করি যেটি সিআইডি তদন্ত করছে। আমি অনুমান করছি জমি সংক্রান্ত জের ধরেই এ ধরণের হুমকি দেওয়া হতে পারে।
উল্লেখ্য, মীর আফরোজ জামান ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক জনকল্যাণ সম্পাদক এবং দুবার নির্বাহী পরিষদের সদস্য ছিলেন। গত বিএফইউজে নির্বাচনে তিনি দপ্তর সম্পাদক পদে প্রার্থী ছিলেন। বর্তমানে তিনি ইন্ডিয়ান মিডিয়া করেসপন্ডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইমক্যাব) যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।