মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ফেসবুকের মূল কোম্পানি মেটা প্ল্যাটফর্মসের শেয়ারে রেকর্ড দরপতনে একদিনেই ২ হাজার ৯০০ কোটি মার্কিন ডলার সমমূল্যের সম্পদ হারিয়েছেন মার্ক জুকারবার্গ। এতে বিশ্বের শীর্ষধনীর তালিকাতেও অনেকটা পিছিয়ে পড়েছেন তিনি। অর্থ-সম্পদের দিক থেকে মেটা সিইও’র অবস্থান এখন ভারতের মুকেশ আম্বানি-গৌতম আদানিরও নিচে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবর অনুসারে, বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) মেটার শেয়ারের দর কমেছে একলাফে ২৬ শতাংশ। এতে তাদের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ২০ হাজার কোটি ডলারেরও বেশি। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে কোনো মার্কিন প্রতিষ্ঠানের একদিনে সবচেয়ে বেশি সম্পদ হারানোর ঘটনা এটি।
মেটার শেয়ারের দর কমে যাওয়ায় ধস নেমেছে এর প্রধান নির্বাহী জুকারবার্গের সম্পদেও। একদিনে ২ হাজার ৯০০ কোটি ডলার কমে তার বর্তমান সম্পদের পরিমাণ এখন ৮ হাজার ৫০০ কোটি ডলার। ফেসবুকের মূল কোম্পানির ১২ দশমিক ৮ শতাংশ শেয়ারের মালিক মার্ক জুকারবার্গ।
সম্পদ কমে যাওয়ায় ফোর্বসের বিলিয়নিয়ার ইনডেক্সে ১২তম অবস্থানে নেমে গেছেন মেটা সিইও। জুকারবার্গের একদিনে ২ হাজার ৯০০ কোটি ডলার হারানোর ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে অন্যতম সর্বোচ্চ। এক্ষেত্রে তার আগে রয়েছেন কেবল টেসলা সিইও ইলন মাস্ক। গত নভেম্বরে একদিনে ৩ হাজার ৫০০ কোটি ডলার সম্পদ হারিয়েছিলেন বর্তমান বিশ্বের শীর্ষধনী।
নিক্কেই এশিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফেসবুকের বাজারমূল্য পড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে টিকটক ও এ জাতীয় বিভিন্ন প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাপসের উত্থান বড় প্রভাবক হিসেবে কাজ করছে। জুকারবার্গ এর জন্য বিনিয়োগ ও পরিবর্তনশীল অনলাইন বিজ্ঞাপনকে দায়ী করেছেন।
গত বছরের চতুর্থ প্রান্তিকে মেটার আয় হয়েছে প্রত্যাশার চেয়ে অনেক কম। এসময় এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে এর ব্যবহারকারীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে, যা তাদের অন্যতম বড় বাজার। একই অবস্থা অন্য অঞ্চলগুলোতেও।
মেটার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, প্রতিযোগিতা বাড়ায় বছরের শেষ প্রান্তিকে ধাক্কা খেয়েছে তারা। তাছাড়া, অ্যাপলের প্রাইভেসি নীতির পরিবর্তন ও নতুন বিনিয়োগ ব্যয়কেও দায়ী করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
মেটার প্রধান সামাজিক নেটওয়ার্ক ফেসবুকে গত ডিসেম্বরে প্রায় ২০০ কোটি গ্রাহক সক্রিয় ছিল, যা মাস তিনেক আগের তুলনায় অন্তত ১০ লাখ কম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।