মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
করোনা মহামারি শেষ হচ্ছে, এমনটা ধরে নিয়ে ইউরোপের বেশ কিছু দেশ কড়াকড়ি শিথিল করছে। অন্যদিকে কিছু দেশ এখনো সেই ঝুঁকি নিতে প্রস্তুত নয়। স্বাস্থ্য পরিবেষার উপর চাপ এড়াতে সতর্কতা বজায় রাখছে তারা। যাবতীয় বাধানিষেধ দূর করে পুরোপুরি করোনা মহামারির আগের অবস্থায় ফিরে যাওয়া সম্ভব কিনা, সে বিষয়ে তর্কবিতর্ক রয়েছে। তবে ইউরোপের কিছু দেশ ওমিক্রন ঢেউ সত্তে¡ও অনেক বিধিনিষেধ শিথিল করছে। জনসাধারণের একটা বড় অংশ করোনা টিকা নেওয়ায় এমন ‘সাহসি’ পদক্ষেপ নিতে চাইছে বেশ কিছু দেশের সরকার। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও বিধিনিয়ম শিথিল করার পক্ষে সওয়াল করছে। যে সব দেশের মানুষের মধ্যে উচ্চ মাত্রায় প্রতিরোধ ক্ষমতা সৃষ্টি হয়েছে, যেখানে গণস্বাস্থ্য পরিষেবা কাঠামো যথেষ্ট শক্তিশালী এবং মহামারির প্রবণতা সঠিক দিশায় এগোচ্ছে, সেখানে এমন পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে বলে ডাবিøউএইচও মনে করে। তবে রাজনৈতিক চাপের কারণে তড়িঘড়ি করে এমন বেপরোয়া সিদ্ধান্ত সম্পর্কে সতর্ক করে দিচ্ছে এই প্রতিষ্ঠান। এমন প্রেক্ষাপটে ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, আয়ারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস এবং বেশ কয়েকটি নর্ডিক দেশ করোনা সংক্রান্ত বিধিনিয়ম শিথিল করছে। নরওয়ে ও ডেনমার্কে সংক্রমণের হার বেড়ে চললেও সরকার এমন পদক্ষেপ নিচ্ছে। ডেনমার্কের অনেক মানুষ অবশ্য স্বেচ্ছায় মাস্ক পরছেন। গত সপ্তাহ থেকে ইংল্যান্ডে আর প্রায় কোনো বিধিনিয়মই চালু নেই। শুধু পরীক্ষায় করোনা ধরা পড়লে মানুষকে বিচ্ছিন্ন থাকতে হচ্ছে। সুইজারল্যান্ডও বুধবার জানিয়েছে, যে সংক্রমণ বেড়ে চললেও হাসপাতালের উপর তেমন চাপ না থাকায় অনেক বিধিনিয়ম তুলে নেওয়া হচ্ছে। ইউরোপের সব দেশ অবশ্য করোনা সংক্রান্ত নিয়ম শিথিল করছে না। ইটালি বরং আরও কড়া নিয়ম চালু করেছে। সোমবার থেকে ব্যাংক ও ডাকঘরে প্রবেশের জন্য হেলথ পাস দেখানোর পাশাপাশি করোনা টেস্টের ফলও দেখাতে হচ্ছে। ৫০ বছরের বেশি বয়সের কোনো মানুষ টিকা না নিলে ১০০ ইউরো জরিমানাও করা হচ্ছে। গ্রিসে ৬০ বছরের বেশি বয়সের মানুষের জন্য সেই জরিমানার অঙ্ক ৬০ ইউরো। ইউরোপের প্রথম দেশ হিসেবে অস্ট্রিয়া সবার জন্য করোনা টিকা বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত নেবার পর ধাপে ধাপে কিছু পদক্ষেপ নেবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জার্মানিতে বিভিন্ন মহলের চাপ সত্তে¡ও ফেডারেল সরকার এখনো করোনা সংক্রান্ত কড়াকড়ি তুলে নিতে প্রস্তুত নয়। পরিস্থিতি বিবেচনা করে দায়িত্বজ্ঞানের ভিত্তিতে বিধিনিয়ম শিথিল করা হবে বলে সরকারি এক মুখপাত্র জানিয়েছেন। তবে এখনো সেই সময় আসেনি বলে তিনি মন্তব্য করেন। বিরোধী ইউনিয়ন শিবির অবশ্য এখন থেকেই এমন পদক্ষেপের প্রস্তুতির জন্য চাপ দিচ্ছে। সরকারের শরিক উদারপন্থি এফডিপি দলও স্পষ্ট পদক্ষেপের পক্ষে সওয়াল করছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ফেব্রুয়ারি মাসের শেষেই সংক্রমণের হার আবার কমতে শুরু করবে, কয়েকটি রাজ্যের সরকার এখনই কিছু বিধিনিষেধ শিথিল করছে। আগামী ১৬ই ফেব্রুয়ারি চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আবার আলোচনা হবে। তখন শর্তসাপেক্ষে বিধিনিষেধ শিথিল করার সম্মিলিত সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। ডিপিএ, এপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।