মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
চলতি বছর গ্রীষ্মে ইউরোপে করোনা সংক্রমণ বাড়বে বলে সতর্কবার্তা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডগিুলোউএইচও)। সংস্থার ইউরোপ শাখার প্রধান হ্যান্স ক্লাগ গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, অধিকাংশ দেশ করোনা বিধিনিষেধ শিথিল করায় ইতোমধ্যে দৈনিক সংক্রমণে উল্লম্ফণ দেখা দিয়েছে মহাদেশেটির বিভিন্ন দেশে। সংবাদ সম্মেলনে হ্যান্স ক্লাগ বলেন, ‘ইউরোপ মহাদেশের বিভিন্ন দেশ জনসমাগম, জনসমক্ষে মাস্ক ব্যবহারের মতো বিধিনিষেধসমূহ উঠিয়ে দেওয়ায় চলতি গ্রীষ্ম থেকেই দৈনিক সংক্রমণ ব্যাপক হারে বাড়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে এবং ইতোমধ্যে কয়েকটি দেশে সংক্রমণ বাড়ছেও।’ ডগিুলোউএইচও’র ইউরোপ শাখার পরিচালক জানান, মাত্র এক মাসের ব্যবধানে ইউরোপে দৈনিক সংক্রমণ বেড়েছে প্রায় তিনগুণ।
‘গত মে মাসের শেষ দিকেও ইউরোপে প্রতিদিন গড়ে দেড় লাখ মানুষ করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হতেন। জুন মাস থেকে এই সংখ্যা বাড়তে শুরু করে এবং গত সপ্তাহের পরিসংখ্যান যাচাই করে আমরা জেনেছি— বর্তমানে ইউরোপে দৈনিক সংক্রমণ পৌঁছেছে প্রায় ৫ লাখে।’
ইউরোপেরর সাত দেশ অস্ট্রিয়া, সাইপ্রাস, ফ্রান্স, জার্মানি, গ্রিস, লুক্সেমবার্গ ও পর্তুগালে বর্তমানে সংক্রণের উর্ধ্বগতি শুরু হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান হ্যান্স ক্লাগ। করোনাভাইরাসের সবচেয়ে সংক্রামক ধরন ওমিক্রন দলভুক্ত ভাইরাস বিএ পয়েন্ট ফাইভের কারণে এসব দেশে সংক্রমণ বাড়ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। ‘বর্তমানে প্রতিদিন ইউরোপে কোভিডজনিত অসুস্থতায় মারা যাচ্ছেন গড়ে ৫০০ জন। ২০২০ সালে গ্রীষ্মেও ইউরোপে করোনাজনিত কারণে মৃত্যুর হার এ রকমই ছিল।’ ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে বিশ্বের প্রথম করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। করোনায় প্রথম মৃত্যুর ঘটনাটিও ঘটেছিল চীনে। তারপর অত্যন্ত দ্রুতগতিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসটি। পরিস্থিতি সামাল দিতে ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডগিুলোউএইচও)। কিন্তু’ তাতেও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় অবশেষে ওই বছরের ১১ মার্চ করোনাকে মহামারি হিসেবে ঘোষণা করে ডগিুলোউএইচও। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৫৫ কোটি ১৯ লাখ ২৯ হাজার ৫২৮ জন এবং এ রোগে মৃত্যু হয়েছে মোট ৬৩ লাখ ৫৬ হাজার ৫৬২ জনের। এএফপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।