Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বান্দরবানে সেনাবাহিনী-জেএসএস সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের গোলাগুলি, সেনা সদস্যসহ নিহত ৪

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১১:১৪ এএম | আপডেট : ২:৫৮ পিএম, ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

পার্বত্য জেলা বান্দরবানের রুমা জোনের একটি টহল দলের সাথে সন্তু লারমা সমর্থিত জেএসএস মূল দলের সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের গোলাগুলিতে সেনাবাহিনীর একজন সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার ও তিনজন সশস্ত্র সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় একজন সেনা সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। বুধবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়, জেএসএস সন্ত্রাসীদের একটি দল রুমা উপজেলার বথিপাড়া এলাকায় চাঁদাবাজির জন্য আসছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে রাইং খিয়াং লেক আর্মি ক্যাম্প থেকে সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হাবিবের নেতৃত্বে একটি টহল দল বথি পাড়ার উদ্দেশ্যে যায়। রাত আনুমানিক সাড়ে দশটায় টহল দলটি উক্ত এলাকায় পৌঁছালে পাড়ার নিকটস্থ একটি জুম ঘর থেকে সন্ত্রাসীরা অতর্কিত গুলি বর্ষণ করে। জবাবে সেনা টহল দলের সাহসী পাল্টা হামলায় জেএসএস মূল দলের তিনজন সশস্ত্র সন্ত্রাসী গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যায়। এ সময় পলায়নপর সন্ত্রাসীদের এলোপাথারি গুলিতে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে টহল কমান্ডার সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হাবিবুর রহমান ঘটনাস্থলেই শাহাদাত বরণ করেন। সৈনিক ফিরোজ নামে এক জন সেনাসদস্য ডান পায়ে গুলিবিদ্ধ হন। আহত সেনা সদস্যকে বৃহস্পতিবার সকালে রুমা থেকে চট্টগ্রাম সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়েছে।


উক্ত অভিযানে সেনা টহল দল কর্তৃক সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত ১ টি এসএমজি, ২৭৫ রাউন্ড তাজা গুলি, ৩ টি এম্যোনিশন ম্যাগাজিন, ৩ টি গাদা বন্দুক, গাদা বন্দুকের ৫ রাউন্ড গুলি, ৪ জোড়া ইউনিফর্ম এবং চাঁদাবাজির নগদ ৫২৯০০.০০ টাকা উদ্ধার করা হয়। বর্তমানে সেনা টহল দল উক্ত এলাকায় ব্যাপক তল্লাশী জারি রেখেছে এবং স্থানীয় ব্যক্তিবর্গের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে।
এখানে উল্লেখ্য যে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তির অনুচ্ছেদ ঘ এর ধারা অনুযায়ী সকল অস্ত্র ও গোলাবারুদ জমা দেওয়ার মাধ্যমে তৎকালীন শান্তিবাহিনী সকল সদস্যের আত্মসমর্পণের শর্ত থাকলেও জেএসএস তা ভঙ্গ করে চুক্তি সম্পাদনের পরবর্তী সময় হতেই সশস্ত্র সন্ত্রাসী লালন করে আসছে। যদিও প্রায়শ জেএসএস সরকারের বিরুদ্ধে শান্তি চুক্তির শর্ত ভঙ্গ ও বাস্তবায়ন না করার অভিযোগ করে থাকে। বর্তমানে পার্বত্য চট্টগ্রামে তৎপর চারটি আঞ্চলিক দল হত্যা, গুম ,চাঁদাবাজি ইত্যাদি দুষ্কৃতিমূলক কর্মকান্ড পরিচালনার মাধ্যমে পাহাড়ের নিরীহ সাধারণ মানুষের জনজীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে। পাশাপাশি সশস্ত্র আন্দোলনের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামকে বিচ্ছিন্ন করে স্বাধীন জুম্মল্যান্ড সৃষ্টি পায়তারা করছে, যা নিঃসন্দেহে দেশদ্রোহিতার শামিল। এ পরিস্থিতিতে দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী বুকের রক্ত দিয়ে হলেও দেশের স্বাধীনতা ও ভূখণ্ডের অখণ্ডতা রক্ষায় বদ্ধপরিকর।



 

Show all comments
  • Md. zakiul islam ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১১:৩৩ এএম says : 0
    পার্শ্ব বর্তী দেশ গুলুর আশ্রয় প্রসয়ে , মদদ পুষ্ট হয়ে সন্ত্রাসীরা এখন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে । ঈশান কোনে কালো মেঘ জমে উঠেছে । হুশিয়ার সাবধান ।
    Total Reply(0) Reply
  • Kamar Zaman ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৩:০২ পিএম says : 0
    Inna lillahi wa inna ilaihi rajeun
    Total Reply(0) Reply
  • Ruhul Amin ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৩:০৩ পিএম says : 0
    তড়িৎ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে না হলে দ্বিতীয় ইজরাইল সৃষ্টি হবে। পেছনের শক্তি কে চিহ্নিত করতে হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • Dilder Hossain ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৩:০৪ পিএম says : 0
    আল্লাহ্‌ ভাইটাকে জান্নাতবাসী করুক
    Total Reply(0) Reply
  • Salman Ahmad Elias ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৩:০৫ পিএম says : 0
    এখনি প্রদেক্ষপ নেওয়া দরকার
    Total Reply(0) Reply
  • Tanvir Ahmed ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৩:০৫ পিএম says : 0
    বান্দরবান যে কোন সময় বাংলাদেশের হাত চাড়া হয়ে যেতে পারে। তাই এখনিই এসব সন্ত্রাসীদের প্রতিরোধে ব্যবস্হা নিতে হবে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সংঘর্ষে নিহত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ