Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ চায় না আঙ্কারা

লেবাননের জন্য তুরস্কের সাহায্য ও সহযোগিতা প্রয়োজন : নাজিব

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:০৫ এএম

বৈরুত বন্দরের অবকাঠামো পুনর্নির্মাণে প্রস্তুত তুরস্ক
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান বলেছেন, লেবাননের বৈরুত বন্দরের অবকাঠামো পুনর্নির্মাণ প্রকল্পের দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত তুরস্ক। মঙ্গলবার লেবাননের প্রধানমন্ত্রীর সাথে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এমন মন্তব্য করেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট। তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারাতে অনুষ্ঠিত এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতিকে স্বাগত জানান এরদোগান। এ যৌথ সংবাদ সম্মেলনের আগে দু’দেশের শীর্ষ নেতা ও অন্যান্য প্রতিনিধিরা এক আলোচনা বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন। এদিকে লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতি বলেন, লেবাননের জন্য তুরস্কের সাহায্য ও সহযোগিতা প্রয়োজন। তিনি বলেন, আজ আমাদের তুরস্কের সাহায্য ও সহযোগিতা দরকার। আমি আশা করি যে এরদোগানের সাথে আমার ব্যক্তিগত সম্পর্কের কারণে সাহায্য ও সহযোগিতার অনেক দরজা খুলে যাবে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে কখনোই যুদ্ধ চায় না তুরস্ক। শান্তিপূর্ণ উপায়ে চলমান উত্তেজনা সমাধান হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তিনি। তুরস্কের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় ট্রাবজন শহরে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এরদোগান বলেন, আমরা কখনোই রাশিয়া এবং ইউক্রেনের যুদ্ধ চাই না। এটি এই অঞ্চলের জন্য কখনোই মঙ্গলজনক কিছু নয়। ন্যাটোর সদস্য দেশ হিসেবে আমরা এমন কিছু চাই না, আমরা এটা গ্রহণ করবো না... আমি আশা করি আমরা শান্তিপূর্ণভাবেই চলমান সমস্যার সমাধানে পৌঁছাতে পারবো। তুর্কি প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, চলতি মাসেই ইউক্রেন সফরে যাচ্ছি। আর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন অদূর ভবিষ্যৎ-এ তুরস্ক সফরে আসবে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান বলেন, বৈঠকে আমরা তুরস্ক-লেবানন সম্পর্কের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। আলোচনায় আমরা পারস্পরিক সহযোগিতামূলক উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব দিয়েছি। আমি আমার বন্ধুর (লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতি) সাথে আলোচনার সময় এ বিষয়টির ওপর গুরুত্ব দিয়েছি যে কিভাবে আমরা (তুরস্ক) লেবাননের জন্য কিছু করতে পারি। এছাড়া লেবাননে আমরা কোন ক্ষেত্রগুলোতে পদক্ষেপ নিতে পারি তার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। লেবাননের বৈরুত বন্দরে বিস্ফোরণের দিনই আমি আমার সহকারী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ওই বন্দরে পাঠিয়েছি। তারা বৈরুত বন্দরে পৌঁছে লেবাননের জনগণের প্রতি আমাদের (তুরস্কের) সংহতি প্রকাশ করেছেন। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট বলেন, বৈরুত বন্দরে বিস্ফোরণের পর তুরস্ক হলো প্রথম দেশ যারা লেবাননে তাদের সাহায্য পাঠিয়েছিল। লেবাননে ওই সময় অ্যাম্বুলেন্স প্লেনও পাঠিয়েছিল তুরস্ক। ওই সময় লেবাননের জনগণের মধ্যে কোনো পার্থক্য করেনি তুরস্ক। এরদোগান বলেন, তিনি লেবাননে সরকার পুনর্গঠন করার প্রক্রিয়াকে সমর্থন করেন। এ সময় তিনি বলেন যে করোনাকালীন সময়েও তুরস্ক ও লেবাননের বাণিজ্যিক সম্পর্ক বৃদ্ধি পেয়েছে। দু’দেশের বাণিজ্যের আকার এখন ১.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। গত বছর এ বাণিজ্যক লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে ৮০ শতাংশেরও বেশি। লেবাননের বৈরুত বন্দরের অবকাঠামো পুনর্র্নিমাণ প্রকল্পের বিষয়ে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান বলেন, আমি বলেছি যে তুর্কি কোম্পানিগুলো লেবাননের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো নির্মাণে প্রস্তুত। এমনকি লেবাননের বৈরুত বন্দরের অবকাঠামো পুনর্র্নিমাণ প্রকল্পের দায়িত্বও নিতে চায় তুর্কি কোম্পানিগুলো। এছাড়া লেবাননে আরো পর্যটক যাওয়ার বিষয়েও জোর দেন এরদোগান। এদিকে লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতি বলেন, লেবাননের জন্য তুরস্কের সাহায্য ও সহযোগিতা প্রয়োজন। তিনি বলেন, আজ আমাদের তুরস্কের সাহায্য ও সহযোগিতা দরকার। আনাদোলু এজেন্সি।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: লেবানন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ