Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

যুগান্তকারী গবেষণা, ক্ষতস্থান থেকেই নতুন করে উৎপন্ন হবে বিচ্ছিন্ন অঙ্গ!

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৫:৪৯ পিএম

শরীর থেকে যদি কোনও অঙ্গ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় তাহলে কষ্টের আর সীমা থাকে না। কিন্তু আর দুঃখ পাওয়ার কোনও কারণ নেই। কারণ বিজ্ঞানের সৌজন্যে এ বার মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই নতুন করে তৈরি হবে বিচ্ছিন্ন অঙ্গ। সম্প্রতি আমেরিকার কয়েকজন বিশিষ্ট বিজ্ঞানীদের গবেষণায় উঠে এসেছে এমনই তথ্য।

ওই বিজ্ঞানীদের দাবি, তারা ইতিমধ্যেই তৈরি করেছে এক বিশেষ মলম। যা মানুষের শরীরের বাদ যাওয়া অংশের কাছে লাগিয়ে দিলেই নতুন করে গঠিত হবে বিচ্ছিন্ন অঙ্গ। মাত্র কয়েকদিন আগেই সায়েন্স এ্যাডভান্স পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে এই গবেষণাপত্রটি।

বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন ইতিমধ্যেই এই পরীক্ষাটি তারা একটি আফ্রিকান স্ত্রী ব্যাঙের উপর করেছেন এবং সাফল্যও পেয়েছেন। তারা প্রথমে ওই ব্যাঙটির পা কেটে বাদ দেন এবং ওই কাটা অংশে তাদের তৈরি প্রলেপ লাগিয়ে দেন। এই প্রলেপটি লাগানোর পর সেখানে একটি ক্যাপ জড়িয়ে দেন বিজ্ঞানীরা।

এর পর তারা লক্ষ করেন ওই ব্যাঙটির ক্ষত সম্পূর্ণ রূপে সেরে উঠেছে এবং কাটা পায়ের অংশ থেকে ফের নতুন করে পা গজাতে শুরু করেছে। শুধুমাত্র নতুন করে পা তৈরি হওয়াই নয়, তারা আরও লক্ষ করেছেন, মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই কাজ শুরু করেছে এই বিশেষ মলম। প্রায় পাঁচ ধরনের ওষুধ মিশিয়ে এই মলমটি তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন একাধিক মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা।

জানা গিয়েছে, নতুন করে মানুষের অঙ্গ উৎপত্তির এই বিশেষ ধারণা তারা পেয়েছেন টিকটিকির থেকে। কারণ টিকটিকির লেজ মাঝে মধ্যেই কেটে পড়ে যায়। ফের ওই টিকটিকির শরীরে নতুন করে লেজ কীভাবে তৈরি হয়, এই কৌতূহল থেকেই এই গবেষণাটি চালিয়েছিলেন বিশেষজ্ঞরা। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক সায়েন্স অ্যাডভান্সেস জার্নালে এমনই আশার বাণী শুনিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এই মলমটি মানুষের শরীরেও বিশেষভাবে কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

জানা গিয়েছে, আমেরিকার ইউএফটিএস (UFTS) এবং হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক জন গবেষক গবেষণাটি করছেন। কীভাবে মানুষের শরীরের কাটা অঙ্গগুলিকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা যায় সে ভাবনা থেকেই বিজ্ঞানীরা এই সাফল্য পেয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে। বিজ্ঞানীরা এই চিকিৎসা পদ্ধতিটির নাম রেখেছেন ‘লিম্ব টু গ্রো’ অর্থাৎ কাটা অংশের বৃদ্ধি। সূত্র: দ্য নিউইয়র্ক টাইমস।



 

Show all comments

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আমেরিকা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ